সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

2011 থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

Remember... Life is just a memory...

When you try your best but you don't succeed / when you get what you want but not what you need... When you leave something you can't replace / when you love someone but it goes to waste / could it be worse... Lights will guide you home / and ignite your bones / and I will try to fix you... গান শুনতে শুনতে ব্লগ লেখার অভ্যাস মরে যায় নি তাহলে ! সে যাক। আজ দশ নাম্বার নেমেছিলাম। রাস্তার দু-ধারে কয়েকটা দোকানে প্রিন্টের কাজ করা হয় কিনা, সেই খোঁজ নিলাম। রাস্তাটা প্রশস্ত হয়েছে বিশ্বকাপ ক্রিকেটের সময়। ময়লার স্তুপটাও সরানো হয়েছিলো-- এখন আবার রিস্টোর করেছে। সাধু যোসেফের নব্যালয়, ম্যাগনোলিয়া ভিলা, এগুলো পার করে ডানের রাস্তায় ঢুকলাম। কিছুদুর এগোনোর পর ডানের রাস্তায় তাকালাম, কোনো কম্পিউটার কম্পোজ / প্রিন্টের দোকান চোখে পড়ে কিনা। "ওয়ারদা টেলিকম" এর ছেলেটা তো এই রাস্তার কথাই বুছিয়েছে। তারপর সামনে তাকালাম। হায় আমি ! হায় আমার ব্রেইন ! এই রাস্তায় তো আমি বহুবার এসেছি। এবছরই এসেছি। গতবছরও এসেছি। কী করে আমি সেই রাস্তাকে ভুলে গেলাম ? এই রাস্তা দিয়ে হেঁটে গেলাম, মামা

স্বপ্নগুলোকে কবর দিয়ে...

"না, এটা আগে পিটিয়ে শক্ত করতে হবে। তাহলে সুবিধা হবে। এখনও অনেক নরম।" "আরে, এটার সাথে তো পেপার লেগে গেসে।" "আমি বেশিরভাগ পিষছি, আপনি বাকিটুকু করেন।" "দেখসেন, চালার পর কতটুকু হয়ে গেসে ! হরলিকস এর মাত্র দুই বোয়েমেই ভরে গেসে ! অথচ প্রথমে কত বেশি দেখাচ্ছিলো !" তারপর আমাদের বসে মাটির খেলনা বানানো। মাটির পাখি, তার নাম দেয়া হলো স্কুলের বইয়ের সেই পাখিটার নামে-- রংরাং পাখি। হাতি-- তার পিঠের মাঝে পয়সা রাখার ব্যবস্থা করা হলো ! মাটির ঘর, তার মাঝেও পয়সা রাখা যাবে। মাটির ঘন্টা-- কিন্তু দোকানের সেই মাটির ঘন্টার মত শব্দ তো আর হলো না ! মাটির নৌকা, ফুল, হাঁস, মসজিদ আর মন্দির ! আর মাটির নীল রঙের ডলফিনটা। মাটির ঘোড়া, যার লেজটা বানাবার সময় হাসতে হাসতে গড়াগড়ি যাবার অবস্থা-- কুকুরের মত হয়ে যাচ্ছিলো বারবার ! তারপর মাটির শেষ গুঁড়োটুকু দিয়ে শাড়ি-পরা, কলসি কাঁখের দুই সেন্টিমিটার লম্বা ছিপছিপে মহিলাটা। এরপর আবার দিন গড়াতে থাকে। মাটি নিয়ে খেলার দিন শেষ হয়ে যায়। মানুষ ব্যস্ত হয়ে পড়ে। সে বড় হয়ে যায়। সবাই তো আর বড় "হয়" না-- অন

জাগো.......

খুব বেশিদিন আগে নয় কলেজের ফ্রেন্ডদের সাথে দেখা হলো। সিলেটের SUST এ পড়ে দু'জন, আর বাকীরা ঢাকার-ই বিভিন্ন প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিতে (আমিসহ)। ওদের যেই গেট-টুগেদারগুলোতে আমার যাওয়া হয়, সেখানে হয় পুরোটা সময় আমি চুপ থাকি আর মৃদু-মৃদু হাসি, নয়তো আমিই কথা বলতে থাকি, বাকিরা মাঝে মাঝে দু-চারটা বলার সুযোগ পায় ! সেদিন পরিবেশ অনুকুলে পেয়ে সিরিয়াস নানান বিষয়ে কথা শুরু করে দিলাম। প্রথম কথা শুরু "হয়ে গেলো" "জাগো ফাউন্ডেশান" নিয়ে। শেষমেষ অবশ্য ভাগ্য নির্ধারিত কিনা, এটা নিয়েই তর্ক চলেছিলো। ঘটনা হলো, জাগো ফাউন্ডেশান বলে যে একটা কিছু আছে, সেটাই জানতাম শুধু। তবে, এটা সম্পর্কে প্রথমেই আমার মতামত নির্ধারিত ছিলো। সেটা হয়েছিলো এইভাবে-- ভাই-বোনদের আড্ডা চলছিলো, আর সেসাথে মেজাপু ফেইসবুকে দু-চারটা ব্রাউজিং করছিলো। তারপর জাগো নিয়ে কিছু লিঙ্ক বের হলো। সবাই সোৎসাহে হলুদ টি-শার্টদের অপকর্মের প্রমাণ দেখলো এবং ছিঃছিঃ করলো, সেইসাথে এর প্যাট্রনাইজ করে কারা, তাদের উদ্দেশ্য কী কী হতে পারে -- সবই বর্ণিত হয়ে গেলো। আমার ক্লান্ত লাগছিলো বলে সোফার 'পর শুয়েই থাকলাম। বিস্তারিত ক

গ্রামের গল্প

অনেকদিন ব্লগ লেখা হয় না। সর্বশেষ ব্লগটা লিখেছি একমাস আগে। ইদানিং সময় এত দ্রুত পার হয়ে যাচ্ছে যে কিছুই লেখার সময় পাচ্ছি না। অবশ্য এমাসের দুই তারিখ থেকে আঠারো তারিখ পর্যন্ত একদম পড়াশুনা ছাড়া দিন পার করেছি। এমন সময়ের বেশ আনন্দ আছে। আর হ্যাঁ- এই সময়ের মাঝেই কোরবানির ঈদ পার হয়ে গিয়েছে। এই ঈদে লেখার মত বেশ কিছু স্মৃতি সঞ্চয় হয়েছে। ঢাকায় ফিরেই ভেবেছিলাম সেগুলো লিখে ফেলবো, কিন্তু নেট-কম্পিউটার বন্ধ হয়ে থাকায় লেখা হয়ে ওঠে নি। বাসায় একটা নেটবুক আছে, কিন্তু অত ছোট জিনিসে লিখত বসতে মন ওঠে না। সে যাক।

Don't Settle

কিছুদিন আগে এক বন্ধুর বাসায় গিয়েছিলাম। তার বোন এবার এইচ.এস.সি পরীক্ষা দিয়েছে। সরকারি ইউনিভার্সিটিগুলোতে পরীক্ষা দিয়ে যাচ্ছে, আবার প্রাইভেটে ভর্তি হবার চিন্তাও করছে। আমি তার সাথে দু-চারটা কথা বললাম। "আব্বু চেয়েছিলো ডাক্তার হবো।" "আপু বলছে ফার্মাসিতে পড়তে।" ..... এইসব কথা। আমি বললাম, "তুমি কী পড়তে চাও ?" সে -- "ঠিক জানে না" কী নিয়ে পড়বে। তখন স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির সমাবর্তন অনুষ্ঠানে স্টিভ জবসের দেয়া সেই কথাটা মনে ding দিয়ে গেলো - Don't settle. Keep looking for it.... আমি বললাম, "Don't live anyone else's life." হয়তো সে-ও একসময় "কিছু একটা" হবার স্বপ্ন দেখত...। সময় আর বাস্তবতা সেই স্বপ্নগুলোকে প্রথমে মনের আড়াল করেছে, পরে মেরে ফেলেছে। এখন হয়ত তার দূরতম স্মৃতিতেও সেই স্বপ্নগুলো নেই...। আজ হঠাৎই সেই দিনটার কথা মনে করে ভাবলাম- "আরে, তাইতো ! আমিও একসময় স্বপ্ন দেখতাম !" সময় এখন আর সেই না-হবার-স্বপ্নগুলোর কথা ভাববার অবকাশ দেয় না। আজ কিভাবে যেনো বেশ খানিকটা অলস সময় পেয়ে মন সেই পুরনো ভাবনাগুলোকে তুলে এনেছে। আ

গানেতিহাস

অনেকদিন ব্লগ লেখা হচ্ছে না। আমি ব্যস্ত হয়ে পড়লাম নাকি আবার ? নিজেকে ব্যস্ত ভাবতে ইচ্ছা হয় না। মনে হয়, আমি যেনো কখনোই ব্যস্ত না হই। প্রতিদিনই যেনো ব্লগ লেখার জন্যে একটু করে সময় থেকে যায়। কিন্তু তা আর হয় না। সেই চার তারিখের পর, আজ রাত বারোটা দশে প্রোগ্রামিং বই আর আইডিই ক্লোজ করে ভাবলাম- ঘুমাতে যাবার আগে একটা গান শুনে যাই। প্রথমে প্লে করলাম Beethoven's Ode to Joy, তারপর প্লে করলাম 9th Symphony, তারপর দেখি B দিয়ে যত গানের তালিকায় আইয়ুব বাচ্চুর "বেলা শেষে" গানটা। এমনিতেই গান শোনা হয় না, তার 'পর আবার আইয়ুব বাচ্চু- যে কিনা আর এখনকার যুগের নয়- কিন্তু গানটা শুনতে শুনতে মনে হল- সাহস করে আরেকটু রাত জেগে একটা ব্লগ নাহয় লিখেই ফেলি !

ঈদ, ঈদ, ঈদ :)

আজ ঈদ (ছিল ?)। আমি ঈদে বাইরে যাই না। গত ব্লগটাতেই এ নিয়ে বেশ কথা লেখা হয়েছে। তবু আজ আমার যাওয়া হলো। গতকাল ব্লগটা লেখার সময়ই মনে হচ্ছিলো যে আজ ঈদ হবে। তা-ই হলো। আর, লিখেছিলাম যে বন্ধুদের সাথে দেখা করবো না, কারণ তাদের মজাও মাটি হবে, মাটি হবে আমারটাও। কিন্তু আজ দেখা হলো, বন্ধুর বাসায় যাওয়া হলো এবং-। এবং ভালোই লাগলো !

ডায়রি : অগাস্ট ৩০, বিকেল।

ডায়রিটা কাগজেই লেখা লাগতো। কিন্তু খুব ক্লান্তি লাগছে। কেবল ঘুম থেকে উঠলাম। আগামীকাল বা পরশু ঈদ। কেনো যেনো মনে হচ্ছে আগামীকাল হবে। কে জানে !

তত্ত্বকথা - ২

ক'দিন আগে ইয়াহু মেসেঞ্জারে কলেজের এক ফ্রেন্ডের সাথে কথা হচ্ছিলো। অনেকদিন তার সাথে আমার দেখা হয় না, কথা হয় না। "কেমন আছো ?"- জিজ্ঞাসা করলে সে বলে- "আলহামদুলিল্লাহ।" আমাকেও একই কথা জিজ্ঞাসা করলো সে। আমি বললাম, "ভালো আছি, বেশ ভালোই আছি। গতদিন আমার বাসায় অমুক, অমুক আর অমুকেরা এসেছিলো। বেশ এক আড্ডা হয়ে গেলো।" - আমার কেনো জানি আর ফ্রেন্ড ভালো লাগে না। মেবি অনেক ধাক্কা খেয়েছি ফ্রেন্ডদের থেকে, এইজন্য। আমি ফ্রেন্ডদের জন্য আছি কিন্তু ফ্রেন্ডরা কেউ আমার জন্য নাই। - ঠিক ধরেছো। এই জিনিসটা বুঝতে তোমার এতদিন লেগেছে। - জানো মাসুদ, আমি সবসময় ফ্রেন্ডদের জন্য যা করেছি, নিঃস্বার্থভাবে করার চেষ্টা করেছি। আলাদা একটা দুনিয়া-ই ছিলো আমার ফ্রেন্ডদের জন্য। ওদের প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে দিন নেই রাত নেই যখন বলেছে ঠিক তখন পাশে পেয়েছে আমাকে। সত্যি বলতে আমি সেটা পাই নি। - হুম, তা ঠিক। - সবাই শুধু স্বার্থ দেখে। খুব কষ্ট হয় মাঝে মাঝে। - ......., তুমি খুব আবেগী ছেলে। - আমি এখন আমার ফ্যামিলির মানুষগুলোর প্রতি সবচেয়ে বেশি কেয়ারিং। লাইফে যা করছি বা করবো শুধু তাদের জন্যই করবো

UNTITLED - 5

আমি এখন দুইটা টিউশনি করি। একজন ক্লাস সেভেনের ছাত্র, আরেকজন ক্লাস টেন-এর। গতরাতে সিদ্ধান্ত নিলাম এদেরকে নিয়ে একটা ব্লগ লেখা যেতে পারে। আসলে গতরাতে সেহরি পর্যন্ত না ঘুমিয়ে জেগে থেকে যীনাতের সাথে নানান তত্ত্বজ্ঞানী আলোচনা করেছি। আমাদের বিভিন্ন 'বন্ধু'-'বান্ধবদের' নিয়ে। নানান কথা...। তারপর একফাঁকে বডি ল্যাঙ্গুয়েজ নিয়ে কথা উঠল। যীনাতও নিজের প্রশংসা করার চেষ্টা করলো, আমিও করলাম। সেই বডি ল্যাঙ্গুয়েজ থেকেই আমার ছাত্রদের কথা।

দুইটি ব্লগ, একসাথে

১ . গুপ্তচার হ্যামফারকে বৃটিশ উপনিবেশ মন্ত্রণালয়ের ডিজি যেই হাজার পৃষ্ঠার বইটা পড়তে দেয় , তাতে মুসলমানদের দুর্বল দিক , তাদের শক্তিশালী দিক , তাদের দুর্বল দিকের সুযোগ নেবার উপায় , শক্তিশালী দিকগুলোকে দুর্বল করার উপায় - ইত্যাদি পয়েন্ট করে লেখা ছিলো। এটা ১৭১০ সালের বেশ কয়েক বছর পরের ঘটনা।

শেষ চিহ্ণ

(গল্প) --> এইতো , সেদিন এরকমই বৃষ্টি হচ্ছিলো - এর চেয়েও বেশি। তখন সন্ধ্যা নেমেছে , তেরো তলা কমার্শিয়াল ভবনের অনেকগুলো ফ্লোরেই আলো নিভে গেছে , মানুষজন সব বের হয়ে গাড়িতে উঠছে , গাড়িগুলো চোখের সামনে দিয়ে চলে যাচ্ছে - আর ক্লাস শেষে বেরিয়ে আমরা দু’জন বৃষ্টিতে আটকা পড়ে শেডের নিচে দাঁড়িয়ে আছি। সেদিনটা আমার খুব মনে আছে - তুমুল বৃষ্টিতে দু - হাত দূরে থাকা মানুষ পর্যন্ত ঝাপসা হয়ে উঠছিলো , আর আমরা কিছুটা সময়ের জন্য চুপ হয়ে গিয়ে দু’জনেই রাস্তার উপর গুলশান লেকের উপচে পড়া পানির স্রোত দেখছিলাম। সেদিনই শেষবারের মত - নাহ , তোমাকে প্রথম থেকেই বলি।

পুরনো বদঅভ্যাস (এমাসের শেষ পোস্ট !)

এসো নীপবনে / ছায়াবিথী তলে এসো / করো স্নান নবধারা জলে / এসো নীপবনে / ছায়াবিথী তলে এসো / করো স্নান... ... যুঁথিমালা দলে এসো নীপবনে / ছায়াবিথী তলে এসো / গান শুনতে শুনতে ব্লগ লেখা আমার পুরনো বদঅভ্যাস। এই গানটা সেদিন হঠাৎই নেটে পেয়ে গেলাম। আসলে, কিছু গান আছে, যেগুলো মনের মধ্যে মাঝে মাঝে আপনা থেকে গেয়ে ওঠে, কিন্তু পিসিতে বসলে তােদর খোঁজার কথা মাথায় আসে না, কিংবা নেট থেকে নামানোর চিন্তা আসে না। এই গানটা আম্মু মাঝে মাঝে গাইত। এখন হয়ত আর খেয়ালে আসে না, তাই গায় না। ইরানে থাকতে নাকি ভাইয়া আম্মুকে বলত- "মমন, ছায়াবিথী তলে বেগু।" অর্থ হল- আম্মু, ছায়াবিথী তলে গানটা বলেন। :) এখন অবশ্য ভাইয়ার মুখের বুলি ইংলিশ হয়ে গিয়েছে :(

ব্লগিঙেতিহাস...

অনেক দিন রাত জেগে ব্লগ লেখা হয় না। আজ সময় আর মুড পেয়ে লিখতে বসে গেলাম। কী বলব ? আজকে নাহয় আমার ব্লগিং করার শুরু নিয়ে বলি। ব্লগিঙের ইতিহাস বলতে গেলে অনেক কথা বলা হয়ে যাবে, তাই...।

ডায়রি : মার্চ ২৮, সন্ধ্যা।

আসরের আগ দিয়ে দোকানে গেলাম কিছু জিনিস আনার জন্য। লিস্ট দিয়ে দাঁড়িয়ে আছি , হঠাৎ দেখলাম দু’জন মহিলা এসে দাঁড়িয়েছে দোকানের সামনে। ঐ চেহারাদুটো আমি দেখেছি একটানা পাঁচ বছর। এই দু’জন ম্যাডাম - ই আমার খুব প্রিয় ছিল। আলেয়া ম্যাডাম। বিউটি কর ( আমরা বলতাম দিদিমণি ) ম্যাডাম। আমি দোকানের ভিতরে দাঁড়িয়ে ছিলাম। আলেয়া ম্যাডাম আর দিদিমণি ম্যাডাম ভদ্রতা করছেন - কে কিনবেন। আমি আর সে সুযোগ দিলাম কই ? ম্যাডামদের দেখে আমি যেন ক্লাস সিক্সের সেই বাচ্চা ছেলেটা হয়ে গেলাম। খুব খুশি লাগছিলো। দোকান থেকে নেমে গিয়ে দু’জনের সামনে দাঁড়িয়ে পড়লাম - “ সালাম , ম্যাডাম আমাকে চিনতে পারসেন ?” তাঁরাও খুব খুশি আমাকে দেখে : “ হ্যা , চিনতে পারব না কেন ? পরিবর্তন বলতে লম্বা হইসো।” বলে আলেয়া ম্যাডাম আমার মাথা থেকে পা পর্যন্ত তর্জনী দিয়ে উচ্চতাটা নির্দেশ করলেন। “ ম্যাডাম কেমন আছেন ? অনেকদিন পর আপনাদের দেখে খুব ভালো লাগলো।” - আমি বাচ্চা ছেলেটি হয়ে গেলাম ম্যাডামদের সামনে , আর দোকানের ছেলে তিনটা কাজ বাদ দিয়ে তা - ই দেখতে লাগল।

অনেকদিন পর, ব্লগ লেখার মুড - 'চলে এসেছে' !

অনেকদিন পর, আজকে সত্যিই একটা ব্লগ লেখার মুড চলে এসেছে। যেকোন সময় সেটা হারিয়ে যেতে পারে, কিন্তু ভাবলাম, এর মাঝেই কিছুটা লিখে নিই। কী যে লিখব...। কী লিখব ? আমার নিজের গল্প ? আমার ব্যক্তিগত কথা ? নাকি ক্লাসের বাচ্চা ছেলেটির আজকের বিরক্তিকর কথাবার্তা ? যে বিকেলে ফোটোকপি করবার সময় বলছে - তোমার নাম্বার ডিলিট করে দেবো। আরে ..., আমার নাম্বার তুমি ডিলিট করো কি না করো, তা দিয়ে আমার কিছু আসে যায় ? আর আমি ক্লাসে সিআর, আমার নাম্বার ডিলিট করলে তোমারই প্রবলেম। বেহুদা ভেজাল। এই ছেলেটার OS একেবারে করাপ্ট হয়ে গিয়েছে। সবারই কিছু না কিছু কম্প্যাটিবিলিটি প্রবলেম থাকে, কিন্তু এর এক্কেবারে গেছে। হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার - কিচ্ছু মিলেমিশে কাজ করে না। এগুলো হল বাপ-মা'র দোষ। গত দুইদিন রাতে একা একা ছাদে দাঁড়িয়ে থেকে আমাকে ফোন দিয়ে মিনিটের পর মিনিট উল্টাপাল্টা কথা বলেছে। ঐসময় লাফ দিয়ে পড়ে মরলে.... এসবের দোষ কিন্তু বাপ-মা'র, আবারো বলছি।

জন্মদিন

গতবছর আমার উনিশতম জন্মবার্ষিকী ছিল। সেটা ছিল ২০১০ সাল। আমাদের HSC পরীক্ষার প্র্যাকটিকাল সবে শেষ হয়েছে - দু-চারদিন গিয়েছে কেবল, আমার জন্মদিন চলে এলো। ফোনে "Happy Birthday" লেখা পড়া, আর সামনাসামনি শোনার অনেক পার্থক্য। সামনাসামনি যখন কেউ বলে - "Happy Birthday !", তখন আমি অস্বস্তিতে পড়ে যাই। কী বলব ভেবে পাই না। আর আমার একটা বড় সমস্যা হল, মুখ দিয়ে 'ধন্যবাদ' কথাটা বের হতে চায় না। আমি করুণ হাসি দিই ! যাহোক, যা বলছিলাম, গত জন্মদিনের কথা।

unsorted words, untitled - 1

এখন বাইরে বৃষ্টি হচ্ছে দেখে লিখতে বসে গেলাম। আর সেইসাথে রবীন্দ্রনাথের গান প্লে দিয়ে দিলাম – এমনো দিনে তারে বলা যায় / এমনো ঘন ঘোর বরিষায় / এমনো দিনে মন খোলা যায় / এমনো মেঘ স্বরে / বাদল ঝর ঝরে / তপনহীন ঘন তমসায় / এমনো দিনে তারে বলা যায়। ব্যস – হয়ে গেল বৃষ্টি বিলাস।

ব্লগ লিখতে পারছি না কেন ?

এখন ভোর। এমন সময়ে ব্লগ লেখা হয়না অনেকদিন হল। সর্বশেষ কবে এমন পবিত্র একটা সময়ে ব্লগ লিখেছিলাম  ?  ঠিক মনে পড়ে না। সম্ভবত খুব বৃষ্টি হচ্ছিল সেদিন ,  আর ছোটবেলার বৃষ্টির স্মৃতিগুলো প্রিন্টারের আবেগহীন অক্ষরে বেরিয়ে এসেছিল। অনেকদিন পর আজ তেমনি করে লিখতে মন চাইছে। ঐ লেখাটা ছিল ,  খুব সম্ভব দু’বছর আগে। তারপর কতদিন গিয়েছে  !  কিন্তু ফজরের পবিত্রতা নিয়ে বসে আর লেখা হয়ে ওঠেনি। আজও লেখা হত না ,  গত কয়েকদিন যাবৎ ফজরের পর পিসিতে বসে লেখার কাজটা শেষ করছি ,  কিছুতেই অন্য কিছু করা হয়ে ঊঠছে না ,  না প্রোগ্রাম ,  না গান শোনা  /  মুভি দেখা কিংবা প্রিয় ব্লগ পড়া। আজও লেখার কাজটা করছিলাম ,  পাসওয়ার্ড এন্টার করে কেবল ফাইলে ঢুকেছি ,  এমন সময়ে কয়েকটা ব্লগ পড়তে মন চাইল। দুয়েকটা ব্লগ পড়ে লেখার সোর্স ফাইলে ঢুকলাম আবার আর এমন কিছু পড়লাম ,  যা মন খারাপ করিয়ে দিল।

তিনটি ব্লগ, একসাথে।

১.  আজ সকালে ঘুম থেকে উঠেছি অনেক দেরীতে। গতরাতে পৌনে চারটায় ঘুমিয়েছিলাম যে! রাত একটা-দেড়টা থেকে ডাইনিং টেবিলে বসে একটু একটু করে লবণ দিয়ে তেঁতুল খেয়েছি আর যীনাতের সাথে কথা বলেছি  । এভাবে খেতে খেতে অনেক তেঁতুল খেয়ে ফেললাম। যীনাত বলল যে ঠোঁট সাদা হয়ে গিয়েছে! অনেক রাত হয়ে গিয়েছিল, আম্মু ঘুম থেকে উঠে আমাদের জীবনের হুমকি দিল  । তারপরও, আরও রাত জেগে পৌনে চারটায় ঘুমালাম। গতকাল মিড টার্ম পরীক্ষা শেষ হয়েছে যে!

নয়নী

এখন থেকে প্রায় সাত মাস আগে -  পাঁচই অগাস্ট পাবনায় গিয়েছিলাম। সেখানে ,  ছয়ই অগাস্ট আম্মুর সাথে আম্মুর আত্মীয় - স্বজনদের সাথে দেখা করেছিলাম। অনেকদিন পর আজ সেখানে দেখা দুটো চোখ কেন যেন বারবার মনের মাঝে ভেসে উঠছে। আমাদেরই দূর সম্পর্কের আত্মীয় হবে কোনভাবে ,  আমি ঠিক বলতে পারব না কীভাবে। সেই  ' আত্মীয়ের '  মেয়ের নাম ছিল নাজিফা। না না ,  কোন প্রেম ভাব জাগেনি আমার -  বসিনি মনের মাঝে কলি হয়ে থাকা কোন প্রেমের গল্প করতে।

মণিকোঠায়.....

একটা মানুষের মনে ক ’ জনকে স্থান দেয়া যায়? গত ক ’ দিন হল এই চিন্তাটাই মাথায় ধপসিয়ে(অর্থাৎ, ধপাস করে) পড়েছে। অনেকে বলেন- “ ছোট থাকতেই ভালো ছিলাম। ” হয়তোবা। আমিও অনেকসময় নিজেকে একথা বলি। ছোট থাকতে ভাবতাম- বড় হলে এই করব, সেই করব, যত জনের উপর মনে রাগ আছে, ঝাল মিটিয়ে নেব, এইসব ;) এখন, যখন কিছুটা বড় হয়েছি, তখন মনে হয়- ছোট থাকতেই ভালো ছিলাম, এত কিছু বুঝতাম না, ঝামেলাও ছিলো না, চিন্তাও ছিল না। কিন্তু মানুষ বড় হয়ে যায়।

শীতের স্মরণে.....

এই রুমের কার্পেটটা ছোট। পিসিতে বসে মেঝেতে পা রেখে বেশ ঠান্ডা লাগছে। দরজা খুলে বারান্দায় গেলেই আবার একটু রোদ পাওয়া যাবে। ঢাকায় শীত আসে দেরীতে। যায় সবার আগে। ফিল করার আগেই শীত চলে যায়। কিন্তু এই শীতকালটা আমার খুবই প্রিয়। যদিও প্রায়ই কাবু হয়ে পড়ি, দশের নিচে তাপমাত্রা নামলেই। তবুও, আজকে ব্লগ লিখতে বসে হঠাৎই মনে হচ্ছে, শীতকালটা যেন চলে যাচ্ছে। ধরে রাখা দরকার।