সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

মার্চ, ২০১৮ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

Kiss me, kiss me a lot, for I am afraid to lose you, to lose you afterwards...

প্রতিটা প্লেন কত স্বপ্ন বয়ে আনে। এই স্বপ্নগুলোকে সফল করার জন্য সংশ্লিষ্ট মানুষদের চেষ্টার কমতি থাকে না। তবুও দুর্ঘটনা ঘটে যায়, কিছু করার থাকে না। ইউএস বাংলার ফ্লাইট BS211 নেপালের কাঠমাণ্ডুতে বিধ্বস্ত হয়েছে। ফেইসবুকে সেসব ছবি ভেসে বেড়াচ্ছে। নববিবাহিতার মেহেদী রাঙা হাত, আঙুলে রিঙ পরা -- ধ্বংসস্তুপের নিচে। হানিমুনে 'সাধ্যের মধ্যে' নেপাল যাচ্ছিল হয়ত! মেডিকেলের একটা বই -- আধপোড়া। চার বছর বাংলাদেশে পড়াশুনা করে নিজদেশ নেপালে ফিরে যাচ্ছিল, স্বপ্নের 'ডাক্তার' হবার জন্য! কেজানে সেজন্যে গত চারটা বছর কত সাধ আহ্লাদ থেকে নিজেকে বঞ্চিত করেছে, নির্ঘুম রাত পার করেছে! একটা ছোট চিরকুট, তাতে ইংলিশে লেখা -- "জানি না তোমার এটা পছন্দ হবে কিনা, তবুও এটা প'রো।" এমন আরো অনেক ছবি। প্রতিটা ছবি এক একটা গল্প। এগুলো আমরা জানতে পারছি, কারণ ফ্লাই করার আগে তাদের সেলফি দেবার মত ক্যামেরা ছিল, উপহার দেবার মত টাকা ছিল, চিরকুটে ভালোবাসার কথা লিখবার মত সুন্দর আবেগ ছিল, কিংবা নেপাল থেকে বাংলাদেশে গিয়ে ডাক্তারি পড়বার টাকা ছিল। অপরদিকে ঢাকার মিরপুরে যে বস্তিতে আগুন লেগে আট হাজার ঘর পুড়ে

Journey...

আমার ক্লাস টেন পর্যন্ত আম্মু আমাকে স্কুলে আনা-নেওয়া করেছে। আমার ক্লাসমেটদের কাছে এটাকে স্বাধীনতা খর্ব করা বলে মনে হতো, কিন্তু আমার এতে কোনো আক্ষেপ ছিল না। কারণ বাসার বাইরে থেকে আমার পাবার মত কিছু ছিল না: আমার প্রয়োজনীয় সবকিছু আমি বাসাতেই পেয়েছি। না, এমন না যে আমাদের অনেক টাকা পয়সা ছিল আর খেলনা দিয়ে ঘর বোঝাই থাকত! বরং কোনো খেলনা বা কোনোকিছুর জন্য আবদারই করতাম না আমরা ভাইবোনেরা। কারণ আমরা ছোটবেলা থেকেই জানতাম, আমাদের সেই সামর্থ্য নেই। খুব টাকা-পয়সা কখনোই ছিল না, এখনও নেই। মাঠে-ঘাটে খেলতে যাওয়া নেই, ঘরভর্তি খেলনা তো দূরের কথা, একটা টিভি পর্যন্ত নেই -- কেবল ঘরের ভিতরে আর ঘরের দরজা-জানালা দিয়ে আম্মুর চোখ যতদূরে যায়, ততদূর পর্যন্ত ছিল আমাদের চলাফেলার সীমানা। সমবয়েসী প্রতিবেশীদের সাথে খেলা বা গল্প -- সেটাও ঐ সীমানার ভিতরেই। শুনলে খুব নিরানন্দ মনে হতে পারে, কিন্তু আমাদের আনন্দের জায়গাটা ছিল অন্যখানে। চিলের থেকে ছানাকে বাঁচানোর জন্য মা মুরগি ডানা দিয়ে বাচ্চাগুলোকে ঢেকে রাখে: সেই ডানার নিচেই আমাদের একটা ছোট্ট বাসা ছিল, ভাড়া বাসা। সেখানের একটা ঘরে মেঝে থেকে ছ