সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

ফেব্রুয়ারী, ২০১৪ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

ঐশী গ্রন্থ চেনার উপায় : কুরআনের অপরিহার্য বৈশিষ্ট্য

ঐশী গ্রন্থ চেনার উপায় ও কুরআনের অপরিহার্য বৈশিষ্ট্য নিয়ে আলোচনা করার আগে মানুষের চিরন্তন অপূর্ণতা সংক্রান্ত দর্শনের উপর কিছুটা আলোকপাত করা প্রয়োজন। মানুষের সকল ধর্মচিন্তার মূলে রয়েছে উৎসের সন্ধান। এমনকি ছোট একটি বাচ্চাও কোনো শব্দ শুনলে সেই শব্দের উৎসের সন্ধান করে : শব্দের দিকে মুখ ফিরিয়ে খুঁজতে থাকে – কোথা থেকে শব্দটা এলো ? ঘরের মাঝে অচেনা কোনো জিনিস দেখলে সোৎসাহে সেটার দিকে ছুটে যায় , জিনিসটা সম্পর্কে জানার চেষ্টা করে : ভাবে – কোথা থেকে এলো এই অদ্ভুত জিনিস ? আরো বড় হবার পর জীবনের একটা সময়ে মানুষের মাঝে নিজের অস্তিত্ব নিয়ে চিন্তা আসে। নিজের উৎসের সন্ধান করতে করতে মানুষ চিন্তা করে যে , দুনিয়ার প্রথম মা ' কে কে সৃষ্টি করেছিলো ? পৃথিবীর প্রথম মানুষটির সৃষ্টি হয়েছিলো কিভাবে ? এই উৎসের সন্ধান মানুষের নিতান্তই মৌলিক চাহিদা। প্রতিদিনকার খাওয়া দাওয়ার চাহিদা পূরণ হওয়া সত্ত্বেও মানুষের মাঝে নিজের উৎসকে জানার চাহিদা বিদ্যমান থাকে। এমনকি দুনিয়ার আরাম - আয়েস , সুখ - শান্তি ইত্যাদি সকল কিছু পাবার পরও দিনশেষে মানুষ অতৃপ্ত থেকে যায়। নিজের উৎস সম্পর্কে না জানা পর্যন্ত সে তৃপ্ত হয় না। ঠিক যেভ

নবী চেনার উপায়

নবী রাসূলগণ আজীবন নিষ্পাপ ছিলেন কিনা , নিষ্পাপ হলেও নির্ভুল ছিলেন কিনা , এই মূল আলোচনা শুরু করার জন্য যে গ্রাউন্ড সেট ( পটভূমি বিস্তার ) করা প্রয়োজন , তাতেই মূল প্রশ্নের উত্তর আলোচিত হয়ে যাবে আশা করি। প্রথম প্রশ্ন হলো : নবী কী ? আলোচনা শুরুর আগে মানুষ ও তার সৃষ্টিকর্তার মাঝের সম্পর্ক ও বৈশিষ্ট্য নিয়ে প্রথমেই সংক্ষেপে উল্লেখ করা প্রয়োজন। আল্লাহ তায়ালা মানুষকে সৃষ্টি করেছেন তাঁর ইচ্ছায় তাঁর সৃষ্টিক্ষমতার স্বাধীন বহিঃপ্রকাশ হিসেবে। মানুষকে পৃথিবীতে থাকতে দেয়া হয়েছে। পৃথিবীতে প্রতিটি মানুষেরই জীবনকাল সীমিত। এছাড়াও আল্লাহ তায়ালা মানুষের দুনিয়াবি জীবনে তার উপর বিভিন্ন নিয়ম - নীতি ও সীমা আরোপ করে দিয়েছেন , যাকে সার্বিকভাবে কার্যকারণবিধি (cause and effect law, or, law of causality) বলা যেতে পারে। আল্লাহ তায়ালা সকল পজিটিভ ( গুণবাচক , ধণাত্মক ) গুণের অধিকারী , এবং “সীমা” বিষয়টি তাঁর জন্যে প্রযোজ্য নয়। অপরপক্ষে , মানুষ “সৃষ্টি” , অর্থাৎ সৃষ্টবস্তু (created) বলেই সে সীমিত গুণবৈশিষ্ট্যের অধিকারী। আল্লাহ মানুষকে সীমিত পরিমাণে স্বাধীনতা ( অর্থাৎ স্বাধীন ইচ্ছাশক্তি অনুযায়ী কাজ করার ক্ষমতা