সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

unsorted words, untitled - 1


এখন বাইরে বৃষ্টি হচ্ছে দেখে লিখতে বসে গেলাম। আর সেইসাথে রবীন্দ্রনাথের গান প্লে দিয়ে দিলাম – এমনো দিনে তারে বলা যায় / এমনো ঘন ঘোর বরিষায় / এমনো দিনে মন খোলা যায় / এমনো মেঘ স্বরে / বাদল ঝর ঝরে / তপনহীন ঘন তমসায় / এমনো দিনে তারে বলা যায়।
ব্যস – হয়ে গেল বৃষ্টি বিলাস।
সে কথা শুনিবে না কেহ আর / নিভৃত নির্জন চারিধার / দুজনে মুখোমুখি / গভীর দুঃখে দুঃখী / আকাশে জল ঝরে অনিবার / জগতে কেহ যেন নাহি আর / সমাসংসার মিছে সব / মিছে জীবনের কলরব / কেবলি আঁখি দিয়ে / আখির সুধা পিয়ে / হৃদয় দিয়ে হৃদি অনুভব / আধারে মিশে গেছে আর সব / তাহাতে এ জগতে ক্ষতি কার / নামাতে পারি যদি মনোভার / শ্রাবণ বরিষণে একদা গৃহকোণে / দুকথা বলি যদি কাছে তার / তাহাতে আসে যাবে কিবা কার / ব্যাকুল বেগে আজি বহে বায় / বিজুলি থেকে থেকে চমকায় / যে কথা এজীবনে রহিয়া গেল মনে / সেকথা আজি যেন বলা যায় / এমনো ঘন ঘোর বরিষায় / এমনো দিনে তারে বলা যায়/
যাহ ! পুরো লিরিকটাই তুলে দিলাম। এখন দশটা বেজে দশ মিনিট। (বাজারে ঘড়ি কিনতে গেলে এই সময়টা বাজিয়ে রাখা হয়) – কিন্তু আকাশের দিকে তাকালে কে বলবে যে এখন সকাল ? একেবারে সন্ধ্যার অন্ধকার নেমেছে।
গতকাল বিকেলে, আমি ঘুমাচ্ছিলাম। এমন সময় সেজাপুর মুখে টাইটানিকের নায়কের মত অর্থহীন শব্দ (যখন জাহাজের সামনে দাড়ায়, ওর বন্ধুর সাথে) শুনে ঘুম ভেঙে গেল – দেখলাম বাইরে বেশ বাতাস হচ্ছে, আর আকাশটা একেবারে - কী বলে এই রংটাকে ? আমার মনে হল চারিদিকে সবকিছু সেপিয়া মোডে ভিডিও হচ্ছে। যীনাত ছবি তুলতে লেগে গেল। ঘুম থেকে উঠে দেখলাম তেল না দেওয়ার কারণে বালিশের সাথে মাথার চুউঁচু হয়ে চূড়া হয়ে গিয়েছে !
যাহোক। কী বলতে কী বলছি। আজ আমার একটা পরীক্ষা আছে। ইংলিশ পরীক্ষা। এই ইংলিশ ম্যাডামটিকে আমার বেশ পছন্দ, তার ক্লাস আমার ভালো লাগে। তবে কিনা, ম্যাডামের ক্লাসে আমি প্রায়ই উদাস হয়ে অন্য কথা ভাবতে থাকি, আর চোখের ফোকাস অসীমে চলে যায়, তখন ম্যাডাম সেই অসীমের ভিতরে কোন একটা বিন্দুতে পড়ে যান ! আর আমার মনে হয় ম্যাডাম একবার ছোট হচ্ছে, আবার বড় হচ্ছে...। একদিন এমনি করে আমি চোখের ফোকাস অসীমে সেট করে সাহিত্যিক চিন্তাভাবনা করছিলাম, ম্যাডামের ধমকে সম্বিত ফিরে পেলাম। ম্যাডাম বিভিন্ন প্রশ্ন করে যাচ্ছে, ক্লাসের কেউ পারছে না, আমি উত্তরগুলো জানি, কিন্তু আমি তখন সাহিত্য নিয়ে চিন্তা করছি, তাও যদি ইংলিশ সাহিত্য হতো, কথা ছিলো, তা নয়, বাংলা সাহিত্য, একেবারে আমার নিজের করা সাহিত্য - “মাসুদ তোমার কী হয়েছে ? তুমি সব পারো চুপ করে বসে আছো কেন ?” তারপরে ম্যাডামের হয়তো মনে হলো, এমন উদাসী ব্যক্তিকে হঠাৎ ধমক দিয়ে মাটিতে পেড়ে ফেলেছেন, তাই একটু মায়া হল (কিংবা আমার চেহারার অকারণ কারুণ্য (!) দেখে মায়া হয়েছিল হয়তো) আর বললেন : “শুধু পরীক্ষায় ভালো পেলেই তো হবে না, ক্লাস পারফরম্যান্স এও তো নাম্বার আছে।” আমার চোখের ফোকাস আবার ম্যাডামের উপর সেট হল। ম্যাডামের বাবার ধমক খেয়েছিলাম কলেজের অ্যাসেম্বলি গ্রাউন্ডে - “তোমাদের জুতোয় ধুলা দেখা যাচ্ছে...।” কে জানে কী করে স্যার অত দূর থেকে সবার জুতোর ধুলো দেখতে পেলেন, অথচ তাঁর আসা উপলক্ষ্যে সারা কলেজ ধোয়া মোছার সাথে সাথে আমাদের জুতোও আমরা কালি করেছিলাম ! আর ম্যাডামের ধমক খেলাম ক্লাসে।
যাকগে।
বৃষ্টিবিলাস করতে বসে গরু রচনা হয়ে গেল।
আমার লেখার ধরণে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এসেছে - এই লেখাটা পড়লে কেউ হয়তো এমন ভাববে, তার হয়তো ভালো লাগবে না। কিন্তু না, ভাইয়ার দেয়া নামের বৈশিষ্ট্য এখনও আমি ধারণ করে চলেছি - ‘বুড়ো’। তবে কিনা, আজকে একটু মনে হল উল্টাপাল্টা লিখি, তাই লিখতে বসলাম।
আমি সাধারণত এলোমেলো লেখা লিখি না। হাবিজাবি লেখা আমার হাতে আসে না (কীবোর্ডে আসে না !)। কিন্তু পিসিতে unsorted words, untitled নামের ফাইলটা দেখে ওপেন করে শিরোনামের যথার্থতা তৈরীর জন্যই লিখতে বসে গেলাম !
এখন দশটা চব্বিশ। আর বেশিক্ষণ আমার লেখা ঠিক হবে না। কারণ, ইংলিশ হলেও, একটু তো অন্তত পড়া দরকার পরীক্ষার আগে। তাও আবার যেন তেন পরীক্ষা না, ফাইনাল এক্সাম – ৫০ নাম্বার আছে এতে।
আজকে আম্মু বাসায় নাই, ফজরের নামাজের পর আম্মুকে গাড়িতে তুলে দিলাম – নানাজীর সাথে পাবনা গেল। ঘুমের ঝুলে আমি গাড়ির বুটে ব্যাগটা দিয়ে গেটে এসে দাঁড়ালাম, আম্মু দরজা একহাতে খুলে আরেক হাতে আমাকে খোদা হাফেজ জানালো, আমি গাড়িটা চলে যাবার জন্য গেটে দাঁড়িয়ে থাকলাম। কিন্তু গাড়ির চালকের মন চাইলো না, সুরুজ ভাই আমাকে হাত দিয়ে ইশারা করে অপর পাশে আসতে বললেন। ভাবলাম – আবার কী ? আমি তো ঘুমের মাঝে অর্ধেক স্বপ্ন দেখা বাদ দিয়ে এসেছি, বাকীটুকু তো দেখতে হবে। তারপর অপর পাশে গিয়ে দেখলাম, নানাজী। ওহ, নানাজী যে গাড়ির সামনের সিটে বসা, ঘুমের ঝুলে আমি খেয়ালই করি নাই ! খোদা হাফেজ জানিয়ে বাসায় চলে এলাম।
আব্বু অফিসে। গুলশানে পিংক সিটির পাশ দিয়ে ভার্সিটিতে যাই সবসময়, ওখানে একটা খানদানী রেস্টুরেন্ট আছে, সকালে আব্বু ফোনে সেখানে যাওয়ার দাওয়াত পেল। আমি তখন কম্পিউটারে ‘গভীর সাহিত্য’ করছি, কিন্তু ঐ রেস্টুরেন্টের নাম শুনে আমার সাহিত্য ছুটে গেল – ভাবলাম, বিয়ের দাওয়াত হলে আব্বুর সাথে যাওয়া যেতে পারে ! কিন্তু না, অন্য কিছু। ধুর !
দশটা আগ দিয়ে আমি ঘুমিয়ে পড়েছিলাম, ঘুম থেকে উঠে দেখি যীনাত বাসায় নাই। ওহ, ক্লাসে গিয়েছে। বড়াপু আবার খিচুড়ি বসিয়ে দিল একটু আগে। বৃষ্টির শব্দের সাথে মশলা ব্লেন্ডের শব্দ মিশে গিয়েছিলো !
দাদী ঘুমাচ্ছে। সেজাপুও ঘুমাচ্ছে। তাও সোফার ‘পর। আর আমি নিচে কার্পেটের ‘পরেই ঘুমিয়ে পড়েছিলাম, সেজাপু ইংলিশ নোটটা আমার মুখের উপর ফেলে দিয়ে বলল – পড়ো।
তাও আরো পাঁচ মিনিট চোখ বন্ধ করে শুয়ে থাকলাম। স্বপ্নে কী যেন দেখছিলাম, ও হ্যাঁ, মনে পড়েছে, কলেজের বন্ধু লিমনকে দেখলাম কলেজ ড্রেস পরে পুকুরে ডুব দিল, অন্যপাশ দিয়ে উঠল লুঙ্গি আর লাল একটা টি শার্ট পড়ে ! জাদু ! আবার দেখলাম, এক শ্বেতাঙ্গ আমাদের বাথরুম ব্যবহার করতে এসেছে - আমি তাই অবাক হয়ে দেখছি - শেফা খালা কী করে এই লোককে নিয়ে এলো !
লোকটা বাথরুমে গেল কিনা, তা জানার আগেই মুখের উপর ইংলিশ নোট এসে পড়ল, তবুও চোখ বন্ধ করে জানার চেষ্টা করলাম, অনেকসময় এভাবে দুই ভাগে স্বপ্ন দেখার অভিজ্ঞতা আছে - কিন্তু লাভ হল না। রুমের বারান্দা দিয়ে ঠান্ডা বাতাস এসে আমার পায়ের পাতাকে ঠান্ডা করে দিল (ভালোই হল, ঐ লোকটা আর আমাদের বাসার বাথরুম ব্যবহার করতে পারল না !)
বাসাটা একদম ফাঁকা ফাঁকা লাগছে। আমরা মাত্র চারজন মানুষ তো বাসায়, তাই।
বৃষ্টি শেষ ! এখন নারিকেল গাছের পাতাগুলো টিয়া রঙের হয়ে গিয়েছে। বিকেলেই হয়তো আবার ‘শহুরে ধুলা রঙের’ হয়ে যাবে।
যাহোক, আজকে ইংলিশ পরীক্ষা। স্কুলে ইংলিশ পরীক্ষার আগে আমি আর যীনাত কিছু পড়তাম না। সারাদিন হাসাহাসি করে সকালে আবার গান-টান শুনে বেরোতাম ! একদিন পরীক্ষার আগে আমি আর যীনাত দু'জনে গল্প করছি কিছু একটা, আম্মু বলল – ইংলিশ বলে কি একদমই পড়া নাই ? একটু clause আর phrase টা চোখ বুলিয়ে যাও। আমরা দুইজন ক্লস-ফ্রেস নামে গান বানিয়ে গাইতে লাগলাম। আম্মু তো রেগে শেষ !
ধুর, এখন আবার খিচুড়ি দেখতে হবে। বড়াপু বলছে - একটু খিচুড়িটা দেখো দশ মিনিট, আমার পড়া আছে।
- আমারও তো পরীক্ষা আজকে।
- তাতে কি, তুমি তো সব পারো। আমার পড়া না হলে বিশাল লস হয়ে যাবে।
বড়াপু আবার CA পড়ে, এই পরীক্ষায় পাশ করলে তার উপার্জন বেড়ে যাবে !
নাহ, পৌনে এগারোটা বেজে গেল। আমি এজাতীয় লেখা লিখি না, কিন্তু ইদানিং একটা ‘গভীর সাহিত্য’ নিয়ে ব্যস্ত আছি, তাই ‘মাসুদ–স্টাইলের ব্লগ’ লেখা হচ্ছে না। একটু হাবিজাবি লিখে ব্লগারকে hello বলার জন্য এটুকু লিখলাম আরকি !

(এই শিরোনামে যা যা লিখব, তাতে কোন date & time stamp দেওয়া হবে না, তাই, কবে লিখলাম, সেটাও মনে থাকবে না !)

মন্তব্যসমূহ

  1. ক্লস-ফ্রেস ছাড়া পুরো লেখাটাই বিরক্তিকর।
    এধরণের লেখা কেন যে পোস্ট করা হয়, আমি বুঝতে পারি না।

    উত্তরমুছুন

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

[ব্লগে কমেন্ট পোস্ট করার পরও যদি না দেখায়, তাহলে দ্বিতীয়বার পোস্ট করার প্রয়োজন নেই। খুব সম্ভবত স্প্যাম গার্ড সেটাকে সরিয়ে নিয়েছে, আমি পাবলিশ করে দেবো।]

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

শিয়া-সুন্নি বিরোধ সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রশ্ন এবং উভয় পক্ষের জবাব

শিয়া-সুন্নি বিভেদ ও দ্বন্দ বহু পুরনো বিষয়। এই দ্বন্দ নিরসনে ইতিহাসে বহু দ্বীনি ব্যক্তিত্ব বৃহত্তর মুসলিম ঐক্য প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করেছেন। বিপ্লবের পরপর ডা. জাকির নায়েকের ওস্তাদ আহমদ দীদাত ইরানের যান এবং সেখান থেকে ফিরে এসে শিয়া-সুন্নি ঐক্য ডায়লগে তাঁর অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন, যা আমি এক সপ্তাহ আগে অনুবাদ করে প্রকাশ করেছিলাম । যা-ই হোক, এই দ্বন্দ নিশ্চিতভাবেই মুসলমানদের জন্য একটি নেতিবাচক ও দুর্বলতার দিক। এমনকি তা অনেককে চরমপন্থার দিকেও নিয়ে গিয়েছে। আগে যেই শিয়া-সুন্নি দ্বন্দ আলেমসমাজ ও কতিপয় জানাশোনা ব্যক্তির মাঝে সীমাবদ্ধ ছিলো, বর্তমান সহজ তথ্যপ্রযুক্তির যুগে তা প্রায় সকল লেভেলে ছড়িয়ে পড়েছে। দেখা যাচ্ছে যে, একদল আরেক দলকে এমন অনেক অভিযোগ করছে, যেগুলো হয়তো শিয়া-সুন্নি উভয় আলেমই অগ্রহণযোগ্য বলে বাতিল করে দেবেন। তবে তথ্যের অবাধ প্রবাহের একটি সুবিধা হলো, এতে মিথ্যার প্রচার যেমন অতি সহজ, তেমনি একইভাবে মানুষের দ্বারে সত্যকে পৌঁছে দেওয়াও খুব সহজ। আমি ব্যক্তিগতভাবে শিয়া ও সুন্নি উভয়কেই মুসলিম ভাই বলে গণ্য করি। কিন্তু তাদের বৃহত্তর ঐক্যে পৌঁছানোর ব্যর্থতা, পরস্পর শত্রুতা ও প্রেজ

ইমাম খোমেনীর জীবন : এক ইসলামী বিপ্লবের ইতিহাস

রুহুল্লাহর গল্প ইমাম আয়াতুল্লাহ রুহুল্লাহ আল মুসাভী আল খোমেনী। বিশ্ব ইমাম খোমেনীকে প্রথমবারের মত চিনেছে ১৯৭৮ সালের শেষাশেষি , যখন ইরানের রাজতন্ত্রের বিরোধিতা করার কারণে তিনি ফ্রান্সে নির্বাসিত ছিলেন। প্যারিসের অদূরে বসে ইরানের শাহ মুহাম্মদ রেজা পাহলভীর বিরুদ্ধে ইমাম খোমেনীর ঘোষিত যুদ্ধ এবং আমেরিকা বিরোধী কঠোর বক্তব্য এক অভূতপূর্ব মিডিয়া কাভারেজ এনে দিলো , এবং ইমামকে বিংশ শতকের অন্যতম বিপ্লবী চরিত্র হিসেবে পরিচিত করলো। পত্র - পত্রিকা আর নিউজ বুলেটিনে তাঁর ছবি ভরে উঠলো। এই ছবি বিশ্বের অসংখ্য মানুষের কাছে , বিশেষতঃ পশ্চিমা বিশ্বের কাছে নিতান্তই অপরিচিত ছিলো। সাদা দাড়ি এবং কালো পাগড়িধারী এই মানুষটিকে দেখে মনে হতো যেনো ইতিহাসের পাতা থেকে সময় অতিক্রম করে বর্তমানে চলে এসেছেন। তাঁর সমস্তকিছুই ছিলো নতুন আর অপরিচিত। এমনকি তাঁর নামটিও : রুহুল্লাহ। আর দুনিয়ার অসংখ্য পলিটিশিয়ান ও সাংবাদিকদের মনে যে প্রশ্নটি নাড়া দিয়ে যাচ্ছিলো , তা ছিলো : কী ধরণের বিপ্লবী মানুষ এই খোমেনী ?

শিয়া-সুন্নি ঐক্য ডায়লগ এবং আহমেদ দিদাতের ইরান অভিজ্ঞতা

(লেখাটি পিডিএফ আকারে ডাউনলোড করতে এখানে ক্লিক করুন। ) আহমেদ দিদাত ( ১৯১৮ - ২০০৫ ) এর নাম হয়তো অনেকের অজানা থাকবে। তবে ডা . জাকির নায়েকের নাম নিশ্চয়ই অজানা নয়। ডা . জাকির নায়েকের বর্তমান কর্মকাণ্ডের অনুপ্রেরণা হলেন আহমেদ দিদাত। আহমেদ দিদাত , যিনি কিনা ডা . জাকির নায়েকের নাম দিয়েছিলেন " দিদাত প্লাস " – পৃথিবীজুড়ে ঘুরে বেড়ানো এবং তুলনামূলক ধর্মতত্ত্ব নিয়ে লেকচার দেয়া ছিলো তাঁর কাজ। যাহোক , ১৯৭৯ সালে ইমাম খোমেইনীর নেতৃত্বে ইসলামী বিপ্লবের মাধ্যমে ইরানে ২৫০০ বছরের রাজতন্ত্রের অবসান ঘটে এবং ইসলামী ইরানের জন্ম হয়। বিপ্লব - পরবর্তী ইরানে ভিজিট করেন আহমেদ দিদাত , সাক্ষাৎ করেন ইমাম খোমেইনীর সাথে এবং নিজদেশে ফিরে এসে ১৯৮২ সালের মার্চ মাসে তাঁর অনুভূতি তুলে ধরেন। আহমেদ দিদাতের নানা বিষয়ে বক্তব্য ও চিন্তাভাবনা বাংলা ভাষায় কিছু না কিছু পাওয়া যায়। কিন্তু শিয়া - সুন্নি ঐক্যের এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে তাঁর চমৎকার বক্তব্যের অনুবাদ কোথাও না পেয়ে সবার সাথে শেয়ার করার উদ্দেশ্যেই অনুবাদ করে ফেললাম। আরেকটি বিষয় উল্লেখ করা প্রয়োজন। মূল অডিও কোথাও কোথাও শুনতে বা বুঝতে অসুবিধা