সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

মে, ২০১৬ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

আধ্যাত্মিক যাত্রার পূর্বপ্রস্তুতি

ভূমিকা বেশ কিছুদিন যাবৎ মানুষের হৃদয়ের জগত সম্পর্কে কিছু লেখার কথা ভাবছিলাম। অর্থাৎ, আধ্যাত্মিক বিষয়াবলী, এবং আধ্যাত্মিক উন্নতি ও চর্চার কিছু পথ। অথচ সেটা কিভাবে সম্ভব? যেখানে আল্লাহ তায়ালা নিজেই এই বিষয়গুলিকে প্রকাশ্য করেননি, বরং লুকিয়ে রেখেছেন কুরআনের বিভিন্ন আয়াতের আড়ালে। আমরা জানি যে, ব্যাখ্যায় মূলভাবের মান কমে যায়। তবু আল্লাহ তায়ালা কুরআন দিয়েছেন, আবার তার ব্যাখ্যাকারকও দিয়েছেন। নাযিল অর্থ অবতরণ, নেমে আসা, উঁচু থেকে নিচুতে নামা। সদাজ্ঞানী আল্লাহপাকের থেকে মুহাম্মদ (সা.) এর অন্তরে যখন “ভাব” প্রদান করা হলো, তখনই তার মান কমে গেল, কেননা তাকে মানব-হৃদয়ে ধারণ করার মত করে আল্লাহপাক ব্যাখ্যা করলেন। তবু সেটা সর্বোচ্চ পর্যায়, কেননা কোন নূরই মুহাম্মদী নূরের সমান হতে পারে না। এরপর মহামানব মুহাম্মদ (সা.) যখন তাঁর অন্তরের এই ভাবকে আল্লাহর আদেশক্রমে সর্বোন্নত ভাষা আরবীতে প্রকাশ করলেন, তখন তার মান আরো কমে গেলো। আমরা পেলাম মহাগ্রন্থ আল কুরআন। সেই কুরআনেই যখন আধ্যাত্মিক বিষয়াবলীকে আমরা লুক্কায়িত দেখতে পাই, তবে প্রকৃত মহাসত্য না জানি কী রকম! এরপর যুগে যুগে ওলী-আউলিয়া, বড় বড় আ’রেফ -- তাঁরা নিজ