সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

2012 থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

জাফর ইকবাল : একজন স্বাধীন লেখক

আজকের প্রথম আলোতে জাফর ইকবাল সাহেবের একটি সাদাসিধে কথা প্রকাশিত হয়েছে : “ বিশ্বজিতের লাল শার্ট”। আবেগী কথাবার্তা আর " স্যার - স্যার” সম্বোধনের আড়ম্বর বাদ দিয়ে মুল কথাটা বলে যাই। গত ৭ ডিসেম্বর ও আজকে , ২০ ডিসেম্বরে প্রকাশিত হয়েছে জাফর ইকবালের দুটি লেখা। শিরোনাম যথাক্রমে " তোমরা যারা শিবির করো” এবং “বিশ্বজিতের লাল শার্ট”। তার আজকের লেখার শিরোনামটা চমৎকার , তবে তার লেখনীতে আমরা এমন শিরোনাম দেখি না : " মুজাহিদের সাদা টুপি " ( ১৭ বছর বয়সী শিবির কর্মী , যাকে পুলিশ গুলি করে হত্যা করেছে ) " নাম - না - জানা ছেলের নীল শার্ট " ( ৪ ডিসেম্বরে মিরপুরের কালশীতে রাস্তায় ফেলে যেই শিবিরকর্মীকে লীগের ছেলেরা পিটিয়ে মৃত ভেবে ফেলে রেখে চলে গিয়েছিলো ) “ নাম - না - জানা বৃদ্ধের স্বজনদের কান্না” ( বিশ্বজিত হত্যার একই দিনে , ৯ ডিসেম্বরে যেই বৃদ্ধ জামাত কর্মীকে হত্যা করা হয়েছিলো ) “ ২৮শে অক্টোবরের দুঃসহ স্মৃতি ” ( ২৮শে অক্টোবর , ২০০৬ এ লীগের ছেলেরা লগি - বৈঠা দিয়ে পিটিয়ে ৫ জন শিবির কর্মীকে হত্যা করে প্রকাশ্যে তাদের লাশের উপর নেচেছিলো ) কিংবা আরো অনে

ঘেটুপুত্র কমলা : হুমায়ুন আহমেদের শেষ কর্ম

হাওরে পানি এলে তিন মাস জমিদারের কোনো কাজ থাকে না। এই কর্মহীন সময়ে আমোদ ফূর্তি করার জন্য জমিদার সাহেব ঘেটুগানের দল ভাড়া করে আনে। ঘেটুগানের দলে কমবয়েসী সুন্দর ছেলে থাকে। এই ছেলে মেয়ে সেজে নাচ - গান করে এবং জমিদারের ইচ্ছানুযায়ী তার সাথে সমকামিতায় লিপ্ত হয়। এজাতীয় ছেলেদেরকে ঘেটুপুত্র বলা হতো। মুভির ঘেটুপুত্রের নাম কমলা। টাকার অভাবে সে এই কাজে আসে। ঘেটু দলে তার বাবাও থাকে , সে হলো দলের অধিকারী। বেশ ক ' দিন জমিদারকে আনন্দ দেবার পর একদিন জমিদারে স্ত্রীর হিংসার শিকার হয়ে কমলার অপমৃত্যু ঘটে : কাজের মহিলা টাকার বিনিময়ে কমলাকে ছাদ থেকে ফেলে দিয়ে হত্যা করে। হুমায়ন আহমেদের শেষ কর্ম হলো এই " ঘেটুপুত্র কমলা” নামক মুভি। মুভির মূল বিষয় সমকামিতা (homosexuality) । ইতোমধ্যেই এটা বেশ আলোচিত - সমালোচিত হয়েছে। ঈদের দিনে প্রচারিত হয়েছিলো টিভিতে , সেই ভার্সন দেখলাম গতকাল। হুমায়ুন আহমেদের কথা - কর্ম নিয়ে কখনো সেভাবে লেখার প্রয়োজন বোধ করি নাই , কিন্তু মুভিটা দেখা হয়ে যাওয়ায় লেখার প্রয়োজন বোধ করছি। কেউ হয়তো দেখেছেন , কেউ হয়তো দেখেন নি , কেউ হয়তো শুধু পত্র - পত্রিকা ক

বাংলাদেশ এবং ভালোবাসা

এখনকার দিনে কি কেউ আর ছবির অ্যালবাম দেখে ? এমনকি পিসিতেও স্টোর করে বলে মনে হয় না। সব অ্যালবাম তো এখন "ফেসবুক অ্যালবাম" ! বাসায় কতগুলো অ্যালবাম আছে। সবচে' পুরনো অ্যালবামটা হলো ইরানি অ্যালবাম। কী আশ্চর্য ! আব্বু-আম্মু সেখানে আট বছর ছিলো, আমাদের ছ'জনের মাঝে চার ভাই বোনেরই জন্ম হলো সেখানটায়, কিন্তু ছবি মোটে শ' খানেক হবে কিনা সন্দেহ ! অথচ সেখানকার কত প্রভাব আমাদের উপর -- আমরা "সালাম" বলি, "আসসালামু আলাইকুম" বলি না, এবং আরো অনেক কিছু। এই নিয়ে কতবার নানাজীর কাছে শুনতে হয়েছে -- "তোমাদের ইরানি কায়দা...।" বাংলাদেশ যখন কঠিন সময় পার করে, তখন উদ্বিগ্ন হই, কাগজে-কলমে, পত্রিকায় কিংবা কিবোর্ডে চিন্তার ঝড় তুলে ফেলি। আবার যখন আমেরিকার মুখের উপর কঠোর জবাব দিয়ে ইরান প্রযুক্তিতে এগিয়ে যায়, তখন ভিতরে ভিতরে উত্তেজনা অনুভব করি। ইউটিউবে হঠাৎ-ই ইরানি ঘুমপাড়ানি গান আবিষ্কার করে থ্রিলড হই। সেজাপু-মেজাপুকে ডেকে শুনাই। কিংবা সেজাপু যখন ইরানি মুভি ডাউনলোড করে -- Song of Sparrows -- তখন মুভি না দেখা আমিও মুভি দেখতে বসি। কিন্তু সেই ইরানের শ' খা

গানেতিহাস - ২

আমার গান শোনার স্মৃতি ছোটবেলা থেকে। তখন বাসায় রেকর্ডার ছিলো। সেটাতে ক্যাসেট লাগালেই বেশ গান শোনা যেতো ! ভাইয়া যা আনতো, তা-ই শোনা হতো। মাঝে মাঝে খালা-মামাদেরটা ধার করে এনে চালানো হতো। আমাদের রেকর্ডারটা বহু পুরনো ছিলো, কিন্তু ভালোই চলতো। আমার চেয়েও বয়স বেশি ছিলো সেটার। গান শোনা হতো মাইলস, এলআরবি, সোলস এবং আরো কিছু ব্যান্ডের গান। নাম মনে আসছে না। হাসান এর গানও শোনা হতো। সে তো এখন মিডিয়া থেকে উধাও। ইংলিশ গানও শোনা হলো সেই ক্যাসেটেই। প্রথম গান ছিলো মাইকেল জ্যাকসনের। এরপর থেকে যে কত গান চলেছে ! আবার আমি যখন ক্লাস 6-7 এ উঠলাম, ততদিনে ঐ রেকর্ডারটা ঘুম দিয়েছে, নিউজ শোনার জন্য একটা জিনিস কেনা হলো, যেটাকে বোধহয় ট্রানজিস্টর বলাই ভালো। সেখানে VOA Music Mix শুনতাম আমি, স্কুলে যাবার আগে। যাক, রেডিওর মাধ্যমে চার্ট টপার অনেক চমৎকার চমৎকার গান শোনা হতো। এখনও হয় নাকি ঐসব অনুষ্ঠান ? কে জানে ! হায়রে এসব কথা ভুলেই গিয়েছি ! এমনভাবে ভুলেছি যেনো জীবনটা মাত্র এই ২০১০ সাল থেকে শুরু হয়েছে। ভিডিও সং দেখলাম প্রথম নানাজীর কম্পিউটারে। সেসময় বাংলাদেশেই কম্পিউটার নতুন। টেক-প্রিয় নানার বদৌলতে কম্পিউটারের চ

You can only connect the dots backwards...

বহুদিন পর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হারিয়ে যাওয়া কোনো বন্ধুকে ফেইসবুকে খুঁজে পেলে মনটা লাফ দিয়ে আকাশ ছুঁয়ে আসে। তারপর স্থির হয়ে বসি। একটু প্রোফাইলটা ঘুরে দেখা যাক। মনে মনে বলি -- বাপরে... ও কত বদলে গিয়েছে ! চেনাই যায় না। কিংবা -- আরে এইটা অমুক ! একদম হুজুর হয়ে গেলো কবে ? স্টিভ জবসের বিখ্যাত একটা কোটেশান হলো -- you can only connect the dots backwards. তা বটে ঠিক। একজন সফল ব্যক্তি যখন স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির সমাবর্তনে বক্তব্য রাখে, তখন সে সহজভাবে বলতে পারে -- you can only connect..., সে সহজভাবে বলতে পারে -- আমি টিনের ক্যান কুড়িয়ে খাবার যোগাড় করতাম। কিন্তু যে ব্যক্তির ক্যানভাসে এই কষ্টের ডটগুলোর শেষ মাথা স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে যায় না, কিংবা অনারারি পিএইচডি বয়ে আনে না, সে আর বয়স হবার পর বলতে পারে না -- you can only...

রকমারি - ৪

"নিজের মতো" বলে যে একটা ব্যাপার আছে, সেটা বুঝতেই আমার অনেক সময় লেগেছে। স্বকীয়তাকে চিনেছি আমি অনেক দেরীতে। আমরা ছয় ভাইবোন। প্লাস বাবা-মা -- এই আটজন মানুষ। প্রত্যেকেই "স্বকীয়তায়" ভরপুর। প্রত্যেকেই অপরের থেকে অনেক আলাদা। এর মাঝে ছোটবেলায়ই সেজাপুর তীব্র স্বকীয়তা প্রকাশ পেয়েছিলো। তার-ই বোধকরি সবচে' কমবয়েসে -- আর বাকিদের কথা অতটা মনে নেই, বলতে পারবো না। যীনাত ছোটবেলায় অনেকটা ভ্যাবলাকান্ত টাইপের ছিলো। কিন্তু পরে বুঝলাম যে সে আসলে অভিনয় করতো, ঐসময় বোকা সেজে থেকে আমার সাথে সাথে ঘুরে আমার যত কর্ম-অপকর্ম রেকর্ড করতো, যেনো পরে ব্ল্যাকমেইল করা যায়। এদিকে আমার আবার অনেকটা এয়ারপ্লেনের ব্ল্যাকবক্সের মতো অবস্থা -- পুরনো দিনের কিছু মনে থাকে না। সেই সুযোগে আমার নামে বানোয়াট গল্পও চালিয়ে দেয় সে। বাকি তিনজনও এক-একজন boss, কিন্তু সেকথা বলতে গেলে লেখা বড় হয়ে যাবে অনেক। আমি দেখাদেখি boss হতে চাইতাম ছোটবেলায়। কিন্তু "নকল করা" কাজটা আমাদের পারিবারিক-ঘৃন্য-বিষয়। সুতরাং, স্বকীয়তা তৈরী করতেই হলো -- উপায় ছিলো না আর। নইলে আমি বাকি ভাইবোনদের নকল করেই চাল

UNTITLED - 9

এক ফ্রেন্ডের স্বপ্নের কথা বলি। স্বপ্নটা এমন -- মনে হয় আমি বাড়ির বারান্দায় বসে থাকবো। হাতে কোনো বই থাকবে। বিকেল বেলা। "ও" বারান্দায় এসে বসবে। বলবে, কী করছো। বলবো, এইতো, কিছু না। তারপর ও বলবে, দাঁড়াও, তোমার জন্য চা বানিয়ে আনি। চা আমার খুব পছন্দ। তারপর ও আমার জন্য চা বানিয়ে আনবে। তারপর... বাকিটুকু বলবো না।  বন্ধুটি যখন তার কল্পনার সংসারের গল্প বলতে থাকে, তখন -- না, আমি নিজের সংসার কল্পনা করি না।  তবে আমি তার কল্পনার প্লট তৈরী করে ফেলি মনে মনে ! উপরের কথাগুলো এক ফ্রেন্ডের, কিন্তু সেগুলো শুনবার সময়ে আমি কল্পনা করলাম গুলশান-২ এর ১০৩ নাম্বার রোডের এক বাড়ির D শেপের খোলা বারান্দাটা। সেখানে একটা দোলনা রাখা -- দু'জন বসা যায়, এমন। ছিমছাম, রডের তৈরী মিনিমালিস্টিক ডিজাইনের দোলনা। সেখানে বসে বন্ধুটি কোনো একটা বাংলা উপন্যাস পড়ছে। পাতলা একটা বই। বিকেল বেলা। যদিও সামনেই ব্যস্ত রোড, কিন্তু আজ সেখানে শব্দ নেই। মৃদুমন্দ বাতাস, যেটাতে গরম লাগে না। তারপর তার "ও" (ওয়াইফ) বারান্দায় এলো। এসে পেছন থেকে "কী করছো" বলে... । তারপর বন্ধুটা একটু হেসে বলবে, এইতো, কিছু ন

আমি বাড়ি যাচ্ছি...

দুপুর আড়াইটা। পরীক্ষা শেষে ইউনিভার্সিটি থেকে বের হলাম সবাইকে বিদায় জানিয়ে। পরিচিত এক আঙ্কেলের কাছে গেলাম। আঙ্কেল বলেছিলো যে আমি যেদিন বাড়ি যাবো, তার আগে তার কাছে যেতে। সে আমাকে একটা বেল্ট গিফট করলো। বিকাল চারটা। বাসায় আসলাম। বাসা ভাড়ার আমার অংশটুকু অপুকে দিলাম, যেনো দশ তারিখ ও ভাড়া দেওয়ার সময় আমারটাও দিয়ে দেয়। তারপর আমার ব্যাগ গুছালাম। বোনের জন্য কিছু জিনিস কিনেছি ঈদ উপলক্ষে। আমার বার্থডে তে ফ্রেন্ড চকোলেট গিফট করেছিলো, ওখান থেকে আমি অনেকগুলো চকোলেট রেখে দিয়েছিলাম আমার বোনের আর মা-র জন্য -- ওগুলো নিলাম। আমার রুমমেট তার অফিস থেকে অরেঞ্জ ফ্লেভারড টি এনেছিলো আমার জন্য, কারণ আমি চা খুব পছন্দ করি। সেখান থেকে কয়েকটা টি ব্যাগ আমার বোনের জন্য নিলাম। অপু ন্যুডলস রান্না করেছিলো, সেটা বক্সে ভরে ব্যাগে নিলাম। মোবাইল আর ল্যাপটপ চার্জে দিয়ে রেখেছিলাম, সেগুলো ব্যাগে ভরলাম। ছয়টা বেজে গেলো। ব্যাগ গুছানোর সময় আম্মু একবার ফোন দিয়েছিলো। জানতে চায় আসবো কবে। আমি বলেছি বাড়ি নাও আসতে পারি। আজই আসবো, তবে নানু বাড়ি। তারপর আমার বোনকে ফোন দিলাম। ওর সাথে টুকটাক কথা হলো। আমি এখন বাসে,

রকমারি - ৩

জীবনের অনেক সময় অনেক কাজে নষ্ট করেছি। কিন্তু সেজন্যে অনুতাপ করি না। মনে হয় জীবনের অনেকটা সময় বাকি আছে। মনে হয় আরো অনেক কিছু করতে পারবো। রঙিন মুহুর্ত তৈরী করার পিছনে অনেক সময় ব্যয় করেছি। যখনই সুযোগ পেয়েছি, আর সব ফেলে রেখে সর্বোচ্চ সময় ব্যয় করেছি। স্মৃতি তৈরী করেছি। ডায়রির পাতা ভরিয়েছি। পরে, এক একটা সময়ে ঐ কাজগুলোকে অর্থহীন মনে হয়েছে; যখন দেখেছি সেই রঙগুলো সাদাকালো হয়ে গিয়েছে ! কিন্তু তবু আমি অনুতাপ করি নি। মনে হয় করবোও না কখনো। কারণ , অন্তত ঐ মুহুর্তের জন্যে হলেও তো সময়গুলো চমৎকার ছিলো ! এটা তো নির্দোষ মদের মত, যে মদে পাপ হয় না। খাবার সময়টা অনেক সুখানুভুতি, কিন্তু আফটার ইফেক্টস সুখের হবে কিনা, তা নিশ্চিত করে বলা যায় না ! এই নির্দোষ মদে অনেক সময় পার করেছি। আফটার ইফেক্টগুলো যখন চমৎকার হয় নি, তখন ঘড়ির দু' ঘন্টাকে চার ঘন্টা মনে হয়েছে। মনে হয়েছে, চারটি ঘন্টা শেষ করে ফেলেছি, এবং তা ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়েছে। তবে অনুতাপ করি নি। শিক্ষা হয়েছে অনেক। এখন মনে হয় ভালো মদ চিনতে শিখেছি ! নইলে অন্তত "মাত্রা" জানি ! তবু এই নেশা ছাড়তে পারি না। ভাগ্যের শিশুর মত

পয়লা রমজান, আমার নতুন বছর

১লা জানুয়ারীতে আমার এক বছর যায় না। আমার এক বছর যায় ১লা রমজানে, রোজার ঈদে আর আমার জন্মদিনে। আজ তেমনি আমার একটা বছর শুরু হচ্ছে। এসময় আমি ডায়রি কিংবা ব্লগ লিখবোই। গত রোজা থেকে এই রোজায় অনেক পার্থক্য। একটা সময় ছিলো, যখন এত দ্রুত সবকিছুর পরিবর্তন হতো না। কিন্তু তখন লিখবার প্রবল আগ্রহের কারণে পাতার পর পাতা ডায়রি লিখে যেতাম। এখন, যখন লিখবার এত্তকিছু আমার হাতে, তখন কেনো যে শিরোমানহীনের গান শুনতে শুনতে লেখার হাত অসাড় হয়ে আসে ! ভাড়া থাকা জীবন। সাড়ে ষোল বছর একই বাসায় থাকবার পর নতুন বাসায় এলাম। ভালো হোক, মন্দ হোক -- ওটাই ছিলো "আমাদের" বাসা। ওখানেই আমি আমার স্মৃতিগুলো তৈরী করেছি, আমার শৈশব-কৈশোর, আমার ছেলেবেলা -- সবতো ওখানেই ! এই নতুন বাসায় এসে এমন একটা অনুভুতি হয় যে এই বাসা "আমাদের" নয়, এটা ছেড়ে দিতে হবে একসময়। যদিও আগের বাসাটাও নিজেদের ছিলো না, কিন্তু সেখানে এমন অনুভুতি হতো না। তখন ছোট ছিলাম যে ‍!

প্রথম আলো, বিশ্বাস-অবিশ্বাস আর তথ্য-প্রমাণের দৌড়

ফেইসবুকে বন্যার পানির মত ভেসে যাওয়া শত শত পোস্টের মাঝে একটা পোস্টে চোখ আটকে গেলো। ফেইসবুকে নয়া দিগন্তের  পেইজ একটা লেখা শেয়ার দিয়েছে, সেটা আবার শেয়ার করেছে যীনাত। আমি নয়া দিগন্ত পত্রিকায় খুঁজে নিউজটা পেলাম না। যাহোক, পোস্টের শিরোনাম : " চট্টগ্রামের ফয়'স লেকে মাদক বিরোধী কনসার্টের নামে অশ্লীলতা ছড়ানো অভিযোগ   " পোস্টে কোনো পত্রিকার লিঙ্ক দেয়া হয় নি, এবং কোনো তারিখ উল্লেখ ছাড়াই একটা ছবির সাথে যা যা লেখা হয়েছে, তার মূল কথা এই : "প্রথম আলো, কনকর্ড, বাংলালিঙ্ক এর উদ্যোগে চট্টগ্রাম ফয়'স লেকে আয়োজিত মাদক-বিরোধী কনসার্টে অশ্লীলতার চর্চা হয়েছে -- তরুণ-তরুণীরা একত্রে পানিতে নেমে উচ্ছৃঙ্খলতায় মেতে ওঠে।" আমি সাধারণত এজাতীয় জিনিস ইগনোর করে যাই, তবে যে জিনিসটা আমাকে এই ব্লগ লিখতে এবং একঘন্টা গুগল সার্চে ব্যয় করতে বাধ্য করলো তা এই (স্ক্রিনশট) :

HP ProBook 4430s

২০ জুন ল্যাপটপ কিনলাম। ভেবেছিলাম খুব কম সময়ে কাজ সেরে বেরিয়ে আসবো। কিন্তু তা হয় নি। আমি যে মডেলটা চেয়েছি, ঠিক আগেরদিন সেটার লাস্ট পিস বিক্রি হয়ে গিয়েছে। নিচতলা থেকে চারতলা খুঁজেও পেলাম না। একটা পাওয়া যেতো, কিন্তু কনফিগারেশানে ছাড় দিতে হতো। দামেও কম হতো। কিন্তু কনফিগারেশানে কিছুতেই ছাড় দেয়া যাবে না। শেষমেষ Superior Electronics নামের এক দোকানে তারা বললো, এনে দেয়া যাবে, কিন্তু সময় লাগবে। BCS Computer City তে নতুন এক চালান এলো, তার মাঝে এই ProBook 4430s একটা ছিলো। এই জিনিস পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হলো প্রায় তিন ঘন্টা। সবই মিললো, শুধু স্ক্রিন সাইজ মিললো না। তাতে কী -- এই 14"-ই খারাপ কি বা ! মিডটার্ম পরীক্ষা চলে এসেছে, এখন দুই ঘন্টাও অনেক সময়। যাহোক, "জিনিসটা" নিয়ে বাসায় এলাম আমি আর মেজাপু। ProBook 4430s এবং Logitech M185

বন্ধু - বন্ধুত্ব - জন্মদিন

ডিসট্র্যাকটেড মানুষের সাথে কথা বলা কঠিন। অনেকটা কথা বলার পর দেখা যায়, আমার কথা সে কিছুই খেয়াল করে নাই। তখন রাগ হয়। আর যে মানুষের সাথে রাগ করা যায় না, তার ক্ষেত্রে হয় কষ্ট। কিন্তু কিছু করার থাকে না। *                                        *                                        *                                        * ব্লগ লেখার সময় হঠাৎ করে উঠে যেতে হলে কিংবা কারেন্ট চলে গেলে পরে আবার বসলে সেই আগের মুড আর থাকে না। ভালোলাগার মুডে যখন-তখন যাওয়া যায় না, কিন্তু দুঃখ-বিষাদকে যেকোনো পরিস্থিতিেত মনের ভিতর থেকে টেনে বের করা যায়। যাহোক, আমি মনে হয় না দুঃখ-বিষাদের গল্প লিখব এখন। *                                        *                                        *                                        * গত ৫ই জুন আমার বয়স একুশ হলো। বন্ধু-বান্ধবদের কারণে দিনটা খুব ভালো কেটেছে। তবে ব্লগ লেখা হয় নি। অভ্যাসমত ডায়রিও না। সেদিন থেকে প্রতিদিন চেষ্টা করে আজ একটু লিখতে বসেছি। ভেবেছিলাম জন্মদিনের ঘোরাঘুরির ছবিসহ সুন্দর করে সাজিয়ে বেশ মজার একটা ব্লগ লিখব। কিন্তু করা হয় নি। এখন আর স

UNTITLED-8

বেশ ক'দিন হলো ইউনিভার্সিটিতে ক্লাস নিচ্ছি। ক'দিন মানে মোটামুটিভাবে এই সিমেস্টারের শুরু থেকে। এতে আমার বেশ অভিজ্ঞতা সঞ্চয় হয়েছে। একটা ক্লাস শেষে পরবর্তী ক্লাস কিভাবে নিলে আরও ইফেক্টিভ হবে, তা চিন্তা করেছি। প্রশ্ন / নোট তৈরীর সময় স্টুডেন্ট সাইকোলজি নিয়েও একটু ভেবেছি। শিক্ষকতার মাঝে আনন্দ আছে। কম্পিউটার এঞ্জিনিয়ারিং দুনিয়ায় সত্যিকারের কাজ না করলে যেনো কিছুই করা হয় না -- এমন ধারণা অনেকের। আমারও অনুভুতি অনেকটা তেমনই। কিন্তু মানুষকে পড়ানোর মাঝেও অনেক আনন্দ ! খুব ভালোভাবে কাউকে কিছু বুঝাতে পারলে ভালোই লাগে ! আমাদের স্কুল অব সায়েন্সের ডিন একরাম স্যার অত্যন্ত অভিজ্ঞ ব্যক্তি। পরীক্ষার খাতা দেখে উনি এভাবে বলে দিতে পারেন -- অমুকের খাতা দেখেছে অমুক, আর তারটা থেকে দেখেছে এ। দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞ শিক্ষকেরা মানুষের সাইকোলজি বোঝেন সহজে। নিতান্তই অ-ভালো ছাত্র ছাড়া আর সবারই হয়তো এমন অভিজ্ঞতা আছে যে টিচার সারাটা ক্লাস তার দিকে তাকিয়েই পড়া বুঝিয়েছে। এমন হলে একটু অস্বস্তি লাগে। Integral Calculus ক্লাসটা ছাড়া মোটামুটি অন্যান্য ক্লাসে স্যার আমার দিকে তাকিয়ে পড়া বুঝান প্রায়ই

UNTITLED-7

সব সাংবাদিকই কি এভাবে গান গায় ? যেমনটা আব্বু গায় -- "হুঁহু হুঁহু হুঁ.... উহু হু... হু হু হু... মমম.. হম... হুম... হু..." সেজাপু বলে, সাংবাদিকেরা সবাই নাকি এভাবেই গান গায়। অবশ্য আমাদের তেমন একটা সাংবাদিক দেখা হয় না -- আমরা প্রায় আলাদা একটা দুনিয়ায় বাস করি। তবে খেয়াল করেছি, আরিফ ভাইয়াও এভাবে গান গায়। (হঠাৎ মনে পড়লো, বিয়ের আগে আরিফ ভাইয়া যখন শুধু আমাদের বাসায় আসত আর আমরা তাকে সত্ত্বর বিয়ে দেওয়ার পক্ষে বাসায় ওকালতি করতাম, তখন সে শুধু তার ল্যাপটপ বের করে "আমি তোমার মনের ভিতর" গানটা বাজাত !) আমি গান গাইতে পারি না।

রকমারি - ২

প্রেম কী বুঝলাম নারেএএএ এ এ এ এ এঁহে হে হেঁ হেঁ হেঁ হেঁ.... কেউ তো বললো না রে, আই লাভ ইউ উ উ উ উ উ বাসার পিছনে বস্তিতে কয়েকদিন যাবৎ এই গানটা বাজাচ্ছে। আমার মাথার মধ্যে বেশ রেকর্ড হয়ে গিয়েছে ! এই গানের আরেকটা লাইন এরকম : মজা তো করলাম না রে... (!?) ...   ...   ...   ...   ...   ...   ...   ...   ...   ...    ...   ...   ...   ...   ...   ...   ...   ...   ...   ... আমার ছাত্রকে যখন আমি পড়াচ্ছি, তখন বস্তিতে রিকশাঅলা মনের সুখে গান বাজিয়ে যাচ্ছে। পড়ানোর মাঝে একটু নীরবতা যখন আসে, তখন ছাত্র পড়ার দিকে মন না দিয়ে হেসে ওঠে, আমিও হেসে উঠি। কারণ তখন হয়তো দু'জনের মনের মধ্যে ঐসব গানের লিরিক্স ঢুকে গিয়েছে -- সারা দুনিয়া তোমার আমার বাসর ঘর (!?)

রকমারি - ১

আমার ছাত্র সাজিদ। ক্লাস এইটে পড়ে, মনিপুর স্কুলে। আমি তাকে ইংরেজী পড়াই। এক বছর হলো পড়াচ্ছি। বাসায় এসে প্রথমে সে চেয়ারে বসে। আমি হয়তো বলি -- একটু বসো, আমি নামাজটা পড়ে আসি। কিংবা, এখনও ভাত খাই নি ভার্সিটি থেকে এসে, আমি একটু খেয়ে আসি। সে বসে পত্রিকা দেখতে থাকে। তারপর আমি আরেকটা চেয়ার নিয়ে আসি। টেবিলের এক পাশে রেখে বসি। আমি বসামাত্রই সে "হাহ....." করে দম ছাড়ে। এটা ঘটবেই। এমন নয় যে সে ক্লান্ত, কয়েক মিনিট পথ হেঁটে এসেছে, চেয়ারে বসে দম ছাড়ছে। কিন্তু না -- আমি দশ মিনিট পরেই আসি কি সাজিদ চেয়ারে বসবার পরপরই আমার চেয়ারে বসি -- সে দম ছাড়বেই ! তার এই দম ছাড়ার বিষয়টি আমার চেয়ার বসার সাথে সম্পর্কিত। মাঝে মাঝে এমন হয় -- আমি হয়তো খেয়াল করি নাই ও দম ছাড়লো কিনা, আমি হঠাৎ জিজ্ঞাসা করি -- কী ব্যাপার, আজকে সাজিদ দম ছাড়লে না ? তখন সে হেসে বলে -- হুম, ছাড়সি। :D

জাফর ইকবাল

গুগল প্লাসে এই ভিডিও শেয়ার দিয়ে আমি লিখেছিলাম :   এই হলো আমাদের "জাফর ইকবাল", বিশিষ্ট "সুশীল", "মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি"। ৩রা ডিসেম্বর, ২০১১ এর পোস্ট। তারপর সেখানে কী ইন্টারেস্টিং কনর্ভাসেশানই না হলো !

মেগাপিক্সেল

- ভাবতেসি সিলেট ট্যুর করবো। - বাহ ! বেশ তো। - ফ্রেন্ডরা মিলে যাবো, আর... - যাও, মজা করো। - যাবা ? - ছবি তুলে এনো, আমি দেখবো। - আমার ক্যামেরার মেগাপিক্সেল কম... মেগাপিক্সেলের কথা চলে এলো। ভাবলাম, মেগাপিক্সেল কম, তাতে কী ? তার ফ্রেমটা তো বেশ। সেকথা বলায় আরেক বন্ধুর কথা বললো -- তার ফ্রেমটা নাকি আরো বড়। বেশ তো ! বড় ফ্রেম, বড় ছবি।

কোনদিন জাগিবে না আর...

(এই ব্লগটা দয়া করে কেউ পড়বেন না। যদিও ব্লগ একেবারেই ওপেন জিনিস, তবুও ইচ্ছা হচ্ছে এই ব্লগটা কেউ না পড়ুক। আমি এখানে কোনো বিশেষ কিছু লিখবো না, লিখবো না কোনো গোপন কথাও। বরাবরের মতই গান শুনতে শুনতে বা মিউজকি চালিয়ে লেখা ব্লগ ! পুরো ব্লগটাই বরাবরের মত। কিন্তু আপনি না পড়লে আমার ভালো লাগবে !) (ধন্যবাদ ব্লগে আসার জন্য, একটা সুন্দর ছবি দেখুন : )

ছোট অ্যাপারচার থেকে

আমি ইদানিং গান শুনি না। গান শোনাকে অহেতুক কাজ বলে মনে হয়। মনে হয়, এতে চিন্তার ফোকাস সরে যায়। মানুষের মনের দূর্বল দিকগুলো জেগে উঠতে চায়। মাটির নিচ থেকে কেউ উঠে আসতে চায় যেনো। তাই আমি গান শুনি না। দিনের মধ্যে কয়েকবার নিজের মনে বলি -- Focus ! Concentrate ! ব্লগার চিন্তা ঝাড়ার জায়গা না। আমার পরিচিত এক ব্লগার আছে, সে ব্লগারকে মনে করে চিন্তা ঝাড়বার জায়গা। ব্লগারে এসে যত এলোমেলো বিচ্ছিন্ন ভাবনাগুলোকে ঝেড়ে ফেলে নিজের জীবনটাকে, চিন্তাগুলোকে ঠিক-ঠাক রাখে। সে বলে -- ব্লগের আমি আর বাস্তবের আমি আলাদা। গার্মেন্টস এ কাপড় তৈরী হবার পর যে এলোমেলো আকৃতির কাপড়ের টুকরো বের হয়, সেগুলো যেনো সে তার ব্লগারে সাজিয়ে রেখে যায়। আমার বানানো কাপড়গুলোয় আমি অমনটা হতে দিই না। আমি তাদের নিখুঁত চাই। আমি চাই না তাদের বানাবার সময় কতগুলো উচ্ছিষ্ট বেরোক, যাদের নিয়ে আমি ব্যস্ত হয়ে পড়বো ! আর আমি জানিও না কোথায় তাদের রাখতে হয়, না ফেলতে হয়। ব্লগে এমন অ্যামবিগিউয়াস কথা লেখা ঠিক না। অনেকে ব্লগ পড়ে। ভদ্রতা করে পড়ে। আগ্রহ করে পড়ে। সার্চ করতে এসে ল্যান্ড করলে পড়ে। হাবিজাবি কথা দিয়ে অপরের সময

Copyright

আমি আইন বিশেষজ্ঞ নই। তবে, যে বিচার-বুদ্ধি ও বিবেক সকল আইনের উৎস, তা দিয়ে আমি Copyright & Piracy rethink করতে বসেছি। ১. কেনা-বেচা : আদিযুগ থেকে মানুষের মাঝে ক্রয়-বিক্রয় প্রক্রিয়া চলে আসছে। কোনো ব্যক্তি যখন কোনো কিছু বিক্রি করেন, তখন সেই জিনিসটার উপর থেকে তার সত্ত্ব চলে যায়, বস্তুটার মালিকানা চলে যায় ক্রেতার কাছে। যেমন, আলু, চা, মাছ, মাংস, শার্ট, প্যান্ট, জুতা, ইত্যাদি যখন আমরা কিনি, তখন সেটার সমস্ত মালিকানা আমাদের হােত চলে আসে। আমরা সেটাকে যেভাবে খুশি ব্যবহার করতে পারি -- কাউকে দান করতে পারি, ভোগ করতে পারি, কিংবা নিছক নষ্ট করতে পারি। আদিকালে যত সমস্ত বস্তু কেনা-বেচা করা যেত, তার সবের উপরেই ক্রেতার এ ধরণের অধিকার ছিলো। এখনও আমরা এ ধরণের বস্তুর উপর অনুরূপ অধিকার ভোগ করে থাকি। ২. প্রডাক্টের ধরণ :  প্রডাক্টকে একাধিক ভাবে একাধিক ভাগে ভাগ করা যায়। যেমন, পচনশীল দ্রব্য (expense) আর পুনর্ব্যবহার্য দ্রব্য(asset)। Expense এর উদাহরণ খাদ্যদ্রব্য, কলম, পেন্সিল, ইত্যাদি। Asset এর উদাহরণ চেয়ার-টেবিল, ফার্নিচার, ইত্যাদি; এছাড়াও হাউজহোল্ড অ্যাসেটও আছে। এই দুই ধরণের প্রডাক্টই আমরা যখন কি

যথার্থই...

পরীক্ষা শেষ হলো আঠারো তারিখ দুপুরে। বাসায় এসে গোসল-নামাজ-খাওয়া সেরে ঠিক চারটায় বেরোলাম কলেজের বন্ধুদের সােথ দেখা করতে। দু'জন আবার সিলেট থেকে এসেছে গোলমালে ইউনিভার্সিটি বন্ধ থাকার সুযোগে (!)। একজন, দুইজন, তিনজন, চারজন... চারটা, পাঁচটা, ছ'টা, সাতটা...। এলোমেলো, অসংহত বিচ্ছিন্ন সব আলাপ, কারো সিগারেট, কারো ফোনে ফেসবুক থেকে নেয়া নাম-না-জানা সুন্দরীর ছবি, কারো ফোনে মেটালিকার গান, কাঁচের কাপে দুধ দেয়া চা, কলা-ভেরি কিংবা লেইট গুডবাই আর কারো অশ্লীল কথা : এইসব মিলে -- একে বলে, 'আড্ডা'। অহেতুক তত্ত্বের কচকচানি শুরু করবো না, তবে, একে 'সামাজিকতা', কিংবা 'মেইনটেইন করা'-ও বলে।