সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

মার্চ, ২০১৯ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

ইরানে বিশ্ববিদ্যালয়ে বিবাহ উৎসব: বাংলাদেশের জন্য অনুসরণীয় মডেল

“জান্নাত পর্যন্ত সহযাত্রী” এই শ্লোগানকে সামনে রেখে গত ১১ মার্চ তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ে বিবাহ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে ৬০০ ছাত্রছাত্রী বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। বিভিন্ন বাংলা সংবাদমাধ্যমে এবিষয়ে লেখা প্রকাশিত হলেও ঘটনাটি বাংলাদেশী তরুণদের মাঝে ব্যাপকভাবে সাড়া ফেলে যখন সপ্তাহখানেক পর The Beauty of DU Campus নামের একটি পেইজ এবিষয়ে ফেইসবুকে পোস্ট করে। এখন পর্যন্ত সেই পোস্টে ১২ হাজার লাইক-কমেন্ট-শেয়ার হয়েছে; আর এই পোস্টটা এমন সময়েই করা হয়েছে, যার ঠিক আগেরদিনই জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ছাত্রীহলে ট্রাঙ্কের ভিতর থেকে নবজাতক উদ্ধারের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনা আমাদেরকে স্তম্ভিত করে দিয়েছে; একইসাথে আমাদের তরুণেরা ইরানের মত এমন ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে বিবাহ উৎসব’-কে দেখছে এহেন অনাকাঙ্খিত ঘটনা এড়াবার অন্যতম সুন্দর সমাধান হিসেবে। সেই ফেইসবুক পোস্টটির বেশকিছু উল্লেখযোগ্য মন্তব্যের মাঝে কানিজ ফাতেমা নামে একজন মন্তব্য করেছেন যে, তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ের মত এমন একটা ক্যাম্পাস যদি বাংলাদেশে থাকত (যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগ ও অর্থায়নে বিবাহ উৎসব হয়), তাহলে ছাত্রছাত্রীদের বিষণ্ণতা ৫০% কমে যেত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের

একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়

একজন মানুষের ভবিষ্যত চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের ৯৫%-এর ভিত্তি স্থাপিত হয় তার জীবনের প্রথম সাত বছরে। অর্থাৎ, জন্মের পর থেকে কমবেশি সাত বছর বয়সে পৌঁছানো পর্যন্ত সে যে মনোদৈহিক আচরণ পেয়ে থাকে, সেটাই নির্ধারণ করে দেয় সে ভবিষ্যতে সাহসী হবে নাকি ভীতু হবে, সত্যবাদী নাকি মিথ্যাবাদী হবে, সচ্চরিত্র নাকি দুশ্চরিত্র হবে, ইত্যাদি। ঈর্ষাপরায়ন হবে কিনা, গিবত করবে কিনা, আত্মপীড়ন কিংবা আত্মহত্যা করবে কিনা, ইত্যাদি। আর এই ব্যাপারটা ঘটে পরিবারে। যে পরিবার তার সন্তানের শিশু অবস্থায় তার সাথে যত উন্নত ও ভারসাম্যপূর্ণ আচরণ করেছে, সে সন্তান তত উন্নত মানুষ হতে পেরেছে। অতএব, আপনি যা হবার, তা আসলে অলরেডি হয়ে গেছেন, এবং এখন নিজেকে নানাভাবে বদলানোর প্রবল ইচ্ছা হলেও তাতে সফল হওয়া খুবই কষ্টকর ব্যাপার। এখন কারো কারো নিজের পরিবার নিয়ে কিছু বিষয়ে আফসোস হতে পারে যে: "ওমুক বিষয়টি আমি পরিবারে পাইনি…।" কিংবা কেউ হয়ত পিতামাতাকে দোষারোপও করে বসতে পারে। দোষারোপ কিংবা আফসোস -- কোনোকিছুতেই কিছু অর্জিত হয় না। কেবল সমস্যার সমাধান করলেই কিছু না কিছু অর্জিত হয়। যাহোক, এই পর্যায়ে আমি আশা করব প্রত্যেকে নিজের পরিবার থেকে প্রা

Iran ‒ Russia relation: competition, cooperation or strategic alliance?

Iran ‒ Russia relation: competition, cooperation or strategic alliance? Nure Alam Masud January 20, 2019 This paper is submitted to Javad Keypour as part of the course “Introduction to Caspian Studies” taught at Tallinn University of Technology, Tallinn, Estonia in the semester Autumn 2018/2019.    

ডিপার্চার লাউঞ্জ

তোমরা বাড়ি পৌঁছে গেছ? আমি কিন্তু এখনও ডিপার্চার লাউঞ্জে। এখানে অনেক মানুষ আমার দিকে তাকিয়ে মৃদু হাসে হাত বাড়িয়ে -- হ্যান্ডশেইক করে। আমি বাঁ-হাতটা বাড়িয়ে দেই আমার মুঠো করা ডান হাতটার দিকে তাকিয়ে, ওরাও হাত বদল করে। ওরাতো জানে না, কতটা লুকিয়ে কয়েক বিন্দু অশ্রুজল এনেছি আমি! তোমরা বাড়ি পৌঁছে গেছ? আমি কিন্তু এখনও ডিপার্চার লাউঞ্জে। হাতের মুঠোয় কয়েক বিন্দু অশ্রুজল খেলা করে! এখানেও শিশুরা হাসে ছুটে বেড়ায় এদিক-ওদিক, দৌড়ে আসে কাছে, আবার হেসে চলে যায়: খেলছে, আপন-মনে। অথচ ওরাতো জানে না শেকড় কেটে নেয়া হয়েছে ওদের -- এ-যে ডিপার্চার লাউঞ্জ, এখান থেকে যে কেউ আর ফিরে যায় না! তেমনি এক শিশু ছুটে আসে কাছে দু-হাত বাড়িয়ে, আলিঙ্গনে নিতে যেয়েও নিজেকে না-বলে উঠি। কিভাবে? এ দেহে যে তোমাদের আলিঙ্গনের ছাপ! তোমরা বাড়ি পৌঁছে গেছ? আমি কিন্তু এখনও ডিপার্চার লাউঞ্জে। চোখ বুঁজলে তোমাদের আলিঙ্গন এখনও অনুভবে আসে! প্রিয়মুখ -- চোখে ভাসে, শেষ চুম্বন রক্তে দোলে আলিঙ্গনে বাঁচবার ইচ্ছা প্রবল হয়ে উঠলে ‘পরে বোর্ডিঙের ডাক চলে আসে। তোমরা বাড়ি পৌঁছে গেছ? আমি কিন্তু এখন বোর্ডিঙের পথে। অশ্রুজল