সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

2018 থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

ব্ল্যাক ম্যাজিক ও পথ

১. ব্ল্যাক ম্যাজিক মানুষ করে থাকে দুইভাবে: জ্বীন ব্যবহার করে ও শক্তির জগতের কিছু বিশেষ key এর মাধ্যমে। এর বাইরে জ্বীনদের ভিতর থেকে কেউ কেউ নিজে থেকে এসেই মানুষকে ডিসটার্ব করে থাকে। আপনি জ্বীন স্বীকার করেন বা না করেন, ব্ল্যাক ম্যাজিককে সত্য জানেন বা না জানেন, ধার্মিক হন কি নাস্তিক হন -- আপনি এগুলো দ্বারা অ্যাফেক্টেড হতে পারেন, আপনি এর বাইরে নন। ২. মডার্ন টাইমে এসবের প্র্যাকটিস কমে গেছে (luckily)। তবুও কিছু মানুষ যাদু-বান-টোনা ইত্যাদির চর্চা করে থাকে এবং টাকার বিনিময়ে কিংবা নিজে থেকেই কারো প্রতি শত্রুতা করে ব্ল্যাক ম্যাজিক থ্রো করে। এগুলো কাটানোর উপায় কী? দেখা গেছে, দেশ ছেড়ে সুদূর অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে বসবাস করছে, তাকেও দেশ থেকে যাদু করেছে এবং নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করছে। ব্ল্যাক ম্যাজিক ইত্যাদিকে অস্বীকারকারী নিতান্তই নাস্তিক টাইপ মানুষও ব্ল্যাক ম্যাজিকের শিকার হয়ে নাচার হয়ে পড়েছেন, এমন ঘটনাও আছে। এগুলো থেকে উদ্ধার পাবার উপায় কী? কিংবা প্রতিরোধমূলক কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে? ৩. ব্ল্যাক ম্যাজিক জিনিসটা কোনো বিশেষ ধর্মের সাথে জড়িত নয়। জ্বীন জাতির সাথে কমিউনিকেইট করাটা হিন্দু-মুসল

জীবনের বিনিময়

আমার কলেজের এক বান্ধবী -- প্রথমবার যখন আমাদের বাসায় আসলো, তখন সেজাপুর কাছে হাত দেখিয়েছিল। আমরা সব ভাইবোনই তখন কমবেশি জ্যোতিষশাস্ত্র চর্চা করি, তার মাঝে সেজাপু সবচে' ভালো পারত। তার হাত দেখে সেজাপু এমন কিছু বিষয় প্রকাশ করে দিল, যা তার ভালো লাগেনি। তারপর থেকে কলেজে আমি যখনই কারো হাত দেখতাম কিংবা সংখ্যাতত্ত্বের আলোচনা করতাম, আমার সেই বান্ধবীটি আগ বাড়িয়ে খুব করে বিরোধিতা করত। কী অদ্ভুত সাইকোলজি! অথচ এই জ্যোতিষবিদ্যার প্রতি সে-ও মুগ্ধ ছিল, এবং এটা যে একটা খাঁটি বিদ্যা, তা বুঝত। সেসময় আমি বেশ চর্চার মধ্যে ছিলাম, কারো সাথে পাঁচ মিনিট কথা বলেই অনেকসময় জন্মতারিখ বলে দিতে পারতাম, কিংবা জন্মমাস। এসব সে দেখেছে, জানত। তবুও, ঐদিনের পর থেকে খুব করে বিরোধিতা করত, জ্যোতিষবিদ্যাকে ভুয়া প্রমাণের চেষ্টা করত। কী অদ্ভুত! নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর জন্য সেই যুগ থেকে আজকে পর্যন্ত কোটি কোটি নারী-পুরুষ জান-কোরবান, অথচ সেই মুহাম্মদ (সা.)-কেই তাঁর স্ত্রীদের কেউ কেউ যতটা না নবী হিসেবে দেখেছিলেন, তার চেয়ে বেশি দেখেছিলেন 'আমার স্বামী' -- এই হিসেবে। যেকারণে পারস্পরিক ঈর্ষা-বিদ্বেষ, কুটনামী, নবীর বিরুদ্ধে ষড়

দেবশিশু

বাংলাদেশে এখন শীত। সেখানে আমার রুমের মেঝেতে কার্পেট পাতা আছে। জানালায় ভারী পর্দা আঁটা আছে, আর টেবিলের কাছে একটা ছোট্ট হিটার ঘুরে ঘুরে ঘর গরম করছে। দুই সিটের সোফার উপর কিছু শীতের পোষাক এলোমেলো রাখা আছে; পাশেই দুটো খেজুর পাতার পাটি আছে: একটা শোবার, একটা খাবার। আরেকটা ছিল, প্রার্থনার। এইখানে ঈশ্বর গল্প রচনা করেছে। চোখ বুঁজলে দেখা যায়। এস্তোনিয়ায় সারা বছরই শীত: কম আর বেশি। এখানেও ঈশ্বর আছে; গল্প আছে। কেজানে কে কোন ঈশ্বরের পূজো করে? ঈশ্বর ছিল এক কাঁচের আয়না। তারপর সে মাটিকে ভালোবাসল। মাটিতে পড়ে এক ঈশ্বর ভেঙে শত খোদা হলো। সেই কাঁচের টুকরা গিয়ে বিঁধল কারো চোখে, কারো বুকে, কারোবা আবার ঠোঁটে। মর্ত্যের মানুষ স্বর্গলাভ করল। -- আর আমি? - তুমিতো ঈশ্বর! -- সত্যি? - হুম। তারপর সে দেবশিশু বড় হয়। যে আগে নিজেই পূজো দিত, এখন সে-ই পূজনীয় হয়ে ওঠে। ঈশ্বরের কলম থামে না। দিন যায়, বছর ঘুরে বছর আসে। ঈশ্বরের কলম থামে না। ঈশ্বরের কলম থামে না। নূরে আলম নভেম্বর ২৯, ২০১৮ তালিন, এস্তোনিয়া

মায়া: নতুন ভোরের অপেক্ষা

আমার পীর লা-মাকাম এর মানুষ ছিলেন। অন্ততঃ তাঁকে যারা দেখেছেন, তারা এমনটাই বলেন। আমার দুর্ভাগ্য, আমি তাঁকে দেখিনি। কিন্তু যারা দেখেছেন, তারা বলেছেন। নিজের বাড়ি থেকে শেষবারের মত বের হবার সময় প্রিয়তমা স্ত্রীর কাছ থেকে বিদায় নিয়ে তিনি বলেছিলেন, "খানম, খোদা হাফেজ! চিরদিনের জন্য তোমাদের ছেড়ে চলে যাচ্ছি, আর ফিরে আসব না...।" কারণ তিনি জানতেন, তিনি কোথায় যাচ্ছেন, কখন যাবেন। আরও বলেছিলেন, "দুনিয়ার জীবন বড়ই কন্টকাকীর্ণ।" আমি মাঝে মাঝে তাঁর কথা ভাবি। সাগরের মত বিশাল, অথচ পর্বতের মত অটল। আমরা সাধারণ মানুষেরা তাঁদের ভালোবাসা বুঝতেও পারব না। মায়ার জগতে বন্দী এই আমরা পরিবার-পরিজন, বন্ধু-বান্ধব আর দুই-চারটা প্রিয়জনের ভালোবাসার ছোট্ট ডোবায় হাবুডুবু খেতে খেতেই জীবনটা পার করে দিই। অথচ এর বাইরেও যে আরো কত রকমের ভালোবাসা আছে, আছে তার প্রাবল্যের কত মাত্রা! এইবার দেশ থেকে আসাটা আমার জন্যে বেশ কঠিন হয়েছে। কারণ খোদাতায়ালা আমাকে একটি সুন্দর গল্প উপহার দিয়েছিলেন, আর আমি তাকে মেহনত করেছি। আমি মৃতদেহে প্রাণ সঞ্চার হতে দেখেছি... তারপর তাকে আলিঙ্গনপাশ-মুক্ত করে এতদূরে আস

যেপথে তুমি খালিপায়ে হেঁটেছ...

তরুণ সমাজের কি রাজনীতিতে আসা উচিত? ...................................................... ১. না। বরং, যোগ্য ব্যক্তির রাজনীতিতে আসা উচিত। নেতৃত্ব হলো যোগ্যতার বিষয়, বয়সের বিষয় নয়। ইয়াং বয়সেই যদি কেউ নেতৃত্বের যোগ্যতা অর্জন করে, তবে তার নিজেরও যেমন দায়িত্ব লিড দেয়া, তেমনি সমাজেরও দায়িত্ব তার নেতৃত্ব মেনে নেয়া। ২. "আই হেইট পলিটিক্স", আর বিপরীতে "আই লাভ পলিটিক্স" -- কোনোটাতেই কাজ নেই। পলিটিক্স ভালোবাসারও জিনিস না, ঘৃণা করারও জিনিস না। এটা বোঝার জিনিস। "আই আন্ডারস্ট্যান্ড পলিটিক্স রিয়েলি ওয়েল" -- এইটা ইয়াং জেনারেশানের বলার কথা ছিল। এবং আশা করি, অনেকে সেটা বলার মত যোগ্যতা অর্জন করবে। এবং আমার পরিচিতদের মধ্যে আমি তেমন দেখেছিও। ৩. ম্যাক্রো ভিউ ও মাইক্রো ভিউ বলে একটা ব্যাপার আছে। দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে অতিষ্ঠ হয়ে গেলে তখন আমরা নির্দিষ্ট দুই চারটা বিষয়ের দিকে এত মনোযোগী হয়ে যাই যে, সামগ্রিক দৃশ্য আর আমাদের চোখে থাকে না। মাইক্রো-ভিউ এ বন্দী হয়ে পড়ি। বর্তমানে বাংলাদেশে যে রাজনীতি চলছে, তার সাথে জাতীয়-আন্তর্জাতিক বহু রাজনীতি, অর্থনীতি ইত

Kiss me, kiss me a lot, for I am afraid to lose you, to lose you afterwards...

প্রতিটা প্লেন কত স্বপ্ন বয়ে আনে। এই স্বপ্নগুলোকে সফল করার জন্য সংশ্লিষ্ট মানুষদের চেষ্টার কমতি থাকে না। তবুও দুর্ঘটনা ঘটে যায়, কিছু করার থাকে না। ইউএস বাংলার ফ্লাইট BS211 নেপালের কাঠমাণ্ডুতে বিধ্বস্ত হয়েছে। ফেইসবুকে সেসব ছবি ভেসে বেড়াচ্ছে। নববিবাহিতার মেহেদী রাঙা হাত, আঙুলে রিঙ পরা -- ধ্বংসস্তুপের নিচে। হানিমুনে 'সাধ্যের মধ্যে' নেপাল যাচ্ছিল হয়ত! মেডিকেলের একটা বই -- আধপোড়া। চার বছর বাংলাদেশে পড়াশুনা করে নিজদেশ নেপালে ফিরে যাচ্ছিল, স্বপ্নের 'ডাক্তার' হবার জন্য! কেজানে সেজন্যে গত চারটা বছর কত সাধ আহ্লাদ থেকে নিজেকে বঞ্চিত করেছে, নির্ঘুম রাত পার করেছে! একটা ছোট চিরকুট, তাতে ইংলিশে লেখা -- "জানি না তোমার এটা পছন্দ হবে কিনা, তবুও এটা প'রো।" এমন আরো অনেক ছবি। প্রতিটা ছবি এক একটা গল্প। এগুলো আমরা জানতে পারছি, কারণ ফ্লাই করার আগে তাদের সেলফি দেবার মত ক্যামেরা ছিল, উপহার দেবার মত টাকা ছিল, চিরকুটে ভালোবাসার কথা লিখবার মত সুন্দর আবেগ ছিল, কিংবা নেপাল থেকে বাংলাদেশে গিয়ে ডাক্তারি পড়বার টাকা ছিল। অপরদিকে ঢাকার মিরপুরে যে বস্তিতে আগুন লেগে আট হাজার ঘর পুড়ে

Journey...

আমার ক্লাস টেন পর্যন্ত আম্মু আমাকে স্কুলে আনা-নেওয়া করেছে। আমার ক্লাসমেটদের কাছে এটাকে স্বাধীনতা খর্ব করা বলে মনে হতো, কিন্তু আমার এতে কোনো আক্ষেপ ছিল না। কারণ বাসার বাইরে থেকে আমার পাবার মত কিছু ছিল না: আমার প্রয়োজনীয় সবকিছু আমি বাসাতেই পেয়েছি। না, এমন না যে আমাদের অনেক টাকা পয়সা ছিল আর খেলনা দিয়ে ঘর বোঝাই থাকত! বরং কোনো খেলনা বা কোনোকিছুর জন্য আবদারই করতাম না আমরা ভাইবোনেরা। কারণ আমরা ছোটবেলা থেকেই জানতাম, আমাদের সেই সামর্থ্য নেই। খুব টাকা-পয়সা কখনোই ছিল না, এখনও নেই। মাঠে-ঘাটে খেলতে যাওয়া নেই, ঘরভর্তি খেলনা তো দূরের কথা, একটা টিভি পর্যন্ত নেই -- কেবল ঘরের ভিতরে আর ঘরের দরজা-জানালা দিয়ে আম্মুর চোখ যতদূরে যায়, ততদূর পর্যন্ত ছিল আমাদের চলাফেলার সীমানা। সমবয়েসী প্রতিবেশীদের সাথে খেলা বা গল্প -- সেটাও ঐ সীমানার ভিতরেই। শুনলে খুব নিরানন্দ মনে হতে পারে, কিন্তু আমাদের আনন্দের জায়গাটা ছিল অন্যখানে। চিলের থেকে ছানাকে বাঁচানোর জন্য মা মুরগি ডানা দিয়ে বাচ্চাগুলোকে ঢেকে রাখে: সেই ডানার নিচেই আমাদের একটা ছোট্ট বাসা ছিল, ভাড়া বাসা। সেখানের একটা ঘরে মেঝে থেকে ছ