অনেকদিন পর, আজকে সত্যিই একটা ব্লগ লেখার মুড চলে এসেছে। যেকোন সময় সেটা হারিয়ে যেতে পারে, কিন্তু ভাবলাম, এর মাঝেই কিছুটা লিখে নিই।
কী যে লিখব...।
কী লিখব ? আমার নিজের গল্প ? আমার ব্যক্তিগত কথা ? নাকি ক্লাসের বাচ্চা ছেলেটির আজকের বিরক্তিকর কথাবার্তা ? যে বিকেলে ফোটোকপি করবার সময় বলছে - তোমার নাম্বার ডিলিট করে দেবো। আরে ..., আমার নাম্বার তুমি ডিলিট করো কি না করো, তা দিয়ে আমার কিছু আসে যায় ? আর আমি ক্লাসে সিআর, আমার নাম্বার ডিলিট করলে তোমারই প্রবলেম। বেহুদা ভেজাল।
এই ছেলেটার OS একেবারে করাপ্ট হয়ে গিয়েছে। সবারই কিছু না কিছু কম্প্যাটিবিলিটি প্রবলেম থাকে, কিন্তু এর এক্কেবারে গেছে। হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার - কিচ্ছু মিলেমিশে কাজ করে না। এগুলো হল বাপ-মা'র দোষ। গত দুইদিন রাতে একা একা ছাদে দাঁড়িয়ে থেকে আমাকে ফোন দিয়ে মিনিটের পর মিনিট উল্টাপাল্টা কথা বলেছে। ঐসময় লাফ দিয়ে পড়ে মরলে.... এসবের দোষ কিন্তু বাপ-মা'র, আবারো বলছি।
এই মুহুর্তে আমার লেখার মুড চলে গিয়েছে। এটাই আমার ব্লগের শেষ লাইন হতে পারত, কিন্তু আজকে মনে হয় অনেক বড় একটা ব্লগ লিখব। ( বিরক্ত হয়ে অর্ধেক পড়ে থুয়ে দেবার চেয়ে তাই কেউ চাইলে এখনই স্ক্রল করা বন্ধ করতে পারেন ! )
ইদানিং আমি সময়ে বরকত পাচ্ছি না।
বড়াপু কিছুদিন আগে বলল, মানুষের যেকোন অনুভুতি বেড়ে যাবার পেছনে তার নিজেরই হাত থাকে।
হুম, খুবই সহজ সত্য কথা। এটাকে তত্ত্ব আকারে দেবার কোন মানে নেই। কিন্তু কথাটি খুবই সহজ হলেও, চরম সত্য। চিন্তা-বিলাস করে মানুষ তার যেকোন অনুভুতিকে বাড়িয়ে তুলতে পারে। এই যেমন ক্লাসের বাচ্চা ছেলেটি - প্রথমদিন রাতে আমাকে ফোন দিয়ে এলোমেলো কথা বলবার পর দ্বিতীয় দিনে তার মনে হয়েছে, ভালোই তো, এভাবে ফোন দিয়ে অসুস্থ-মানসিক-বিলাস করা যায়, মাসুদ তো ফোন কেটে দেয় না বা বিরক্ত হয়ে কিছু বলে না। তাই পরদিন আবার রাতে ফোনে টাকা ভরে ছাদে গিয়ে আমাকে ফোন দিয়েছে। এমন সব কথা বলেছে, যা বলতেও আমি বিব্রত বোধ করছি। তখন আমি গরমের মধ্যে ল্যাপটপে বসে ভার্সিটিরই আরেকজনের জন্য প্রশ্ন টাইপ করছিলাম, মেইল করব বলে। তার মধ্যে দশ-পনরো মিনিট ফোন এক কানে ঠেকিয়ে রেখে আরেক হাত দিয়ে টাইপ করেছি। হাবিজাবি কথা...। তবু শুনে গেলাম এই ভেবে যে এতে যদি তার মেশিন ঠিক হয়। কিন্তু না, আজ দেখি মেশিন আরো বিগড়ে গেছে। আমাদের ল্যাবের কিছু মনিটরের মত - চড়-থাপ্পর দিলে তবেই স্ক্রিণ ঠিক হয় ! যাহোক, আমি তাকে চড় থাপ্পর দিই নাই। কারণ তার মনিটরে সঠিক তথ্য ডিসপ্লে করানো আমার দায়িত্ব নয়।
তবে, এখন থেকে এই বিগড়ানো মেশিনের বড় প্রবলেম হবে। দুঃখজনক।
মনে পড়েছে............। পোস্টের একদম শুরুতে "কী লিখব ?" এই বাক্যটা লিখবার পর যা লিখতে চেয়েছিলাম, তা মনে পড়েছে। সেটা হল, আমাকে একজন বলেছিলো, আমি নাকি 'অনেক' সময় নিয়ে 'অনেক' ভেবে-চিন্তে ব্লগ লিখি। আরো কিছু কথা বলেছিলো। সারমর্ম হল - আমি মোটেও ভালো ব্লগ লিখতে পারি না, আমার তেমন কোন যোগ্যতাও নেই, এক একটা ব্লগ অনেক কষ্টে কোনমতে পাঠযোগ্য করি, কিন্তু ভাব দেখাই যে যা মনে আসে, তা-ই লিখেছি ব্লগে।
হঠাৎই সেই কথাটা মনে পড়ে গেল।
আচ্ছা, মানুষের নানান কথা 'মনে পড়ে যায়' কেন ? আমরা যখন কম্পাইলারে একটা প্রোগ্রাম লিখি, রানটাইমে সেটা অযাচিতভাবে কোন তথ্য ডিসপ্লে করলে সেটাকে সমস্যা ধরে নিই। কিন্তু নিজেদের ব্রেইনের ক্ষেত্রে সমস্যা মনে করি না, তাই না ?
হুম...।
আজ ভার্সিটি থেকে আসবার পথে মজার একটা জিনিস দেখলাম। এক ফেরিঅলা, ছোলা বিক্রি করে। তার cart এর গায়ে কম্পিত হাতে লাল কালিতে লেখা : জামালউদ্দিন = গরম ছোলা = বুট।
এই লেখা দেখে আমি হাসতে হাসতে শেষ। অনেক-ই এলোমেলো কথাবার্তা এসব জায়গায় দেখা যায়, যেমন, ঘিলা-কলিজা-জাল-মুড়ি, কিন্তু এর মত ইউনিক আর দেখি নাই।
হঠাৎ মনে পড়ল, ইংরেজি saved শব্দটাকে মজা করে কেন যেন বলেছিল - সেভিদ। :)
আচ্ছা, ব্লগার ইমোটিকন ইন্টিগ্রেইট করছে না কেন ?
আচ্ছা, রাতের বেলা কি কাক ডাকে ? নাকি আমার কানে সমস্যা হয়েছে ? কিন্তু প্রায়ই তো রাতে কাকের ডাক শুনতে পাই। :( কে জানে, হয়তো আমার কানের মধ্যেই কিছু একটা হয়েছে।
অনেক মানুষ আছে, লেখালেখিতে একদমই ইন্টারেস্ট পায় না। আমার এমন এক ফ্রেন্ড আছে। বলে - বেশি বড় লেখা পড়তে বিরক্ত লাগে।
কিছুদিন আগে মেজাপু যখন ল্যাপটপ কিনল, তখন সাথে একটা স্পিকারও ফ্রি পাওয়া গেল। এটা আবার কামিলিয়ানের মত রঙ চেইঞ্জ করতে থাকে। রঙ না, আলো। একটু পর পর ওটার ভিতর থেকে বিভিন্ন রঙের আলো বের হতে থাকে। দেখতেও অনেকটা কামিলিয়ানের মতই !
এখন মনে হচ্ছে, ক্লাসের ঐ ছেলেটা যদি আমার এই লেখা পড়ে (যদিও সম্ভাবনা কম, সম্ভবত সে অ্যাড্রেস ভুলে গিয়েছে), তাহলে কেমন অস্বস্তিকর ব্যাপার হবে। এই জাতীয় একটা ব্যাপার ঘটেছিল আমার। লেখাটা ছিল এরকম : "... লেখাটা পড়ে এখন বেশ বিব্রত ও অস্বস্তি বোধ করছি। ... আর কাটাকাটি করতে চাই না বলেই... নতুবা ওটুকু কেটে দিতাম।" হা হা হা... কী সরল স্বীকারোক্তি !
আচ্ছা, মাঝে মাঝে গায়ে পিঁপড়া ওঠে কেন ? আমি তো এখনও বেঁচে আছি, তাই না ? নাকি পিঁপড়াদের কাছে খাদ্য হয়ে গিয়েছি ? নাকি আমি এখনও ছোট বাচ্চা রয়ে গিয়েছি যে একা একা গোসল করে বেরোনোর পর দেখা গেল কানের একটা অংশ ঠিকমতো ভিজে নাই ! তাহলে পিঁপড়ারা কেন আমার গায়ে ওঠে !
এবার অন্য কথা বলি। আজ আমার কলেজের ফ্রেন্ড সিফাতের জন্মদিন। সামনের মাসের এক তারিখে সজীবের। এগারো তারিখ লিমন, বারোতে মার্জিয়া। উনত্রিশে মোর্শেদ। আরো অনেকে আছে। কলেজে ভর্তি হবার পর নতুন নতুন এদের অনেকের জন্মদিন ডায়রিতে লিখে রেখেছিলাম। না, মানুষগুলো মন থেকে মুছে যায় নি, তবে কিনা, নানান ব্যস্ততায় ধুলো পড়তে চায় যেন। আর আমি তো ফেইসবুকও ইউজ করি না যে মনে না থাকা সত্ত্বেও নীল-সাদার পেইজের ডানদিকে ইভেন্ট এসে মনে করিয়ে দেবে, আর এমন এক মেসেজ পাঠাবো যাতে মনে হবে আমি একবছর ধরেই তারিখটা মনে করে রেখেছি ! আমার মন যাদেরকে মনে রাখে, তাদেরকে মেসেজ পাঠাই। অবশ্য আমিও একটা কাজ করি, তা হল, মোবাইলে রিমাইন্ডার দিয়ে রাখি। গিফট কিনতে মনস্থঃ করলে কয়েকদিন আগেই রিমাইন্ডার দিই; শুধু উইশ করতে হলে সেদিনে রিমাইন্ডার দিই। এইতো। এত মানুষের জন্মতারিখ মনে রাখা কি সহজ কথা ?
গত দুই তিন মাসে আমি প্রায় আড়াই থেকে তিন লাখ শব্দ টাইপ করেছি কম্পিউটারে। তাও আবার বেশিরভাগই বাংলায়। এত বেশি টাইপ করে আমি জরজর হয়ে গিয়েছি, এখন তাই লিখতে গেলে একটা ক্লান্তি চলে আসে। আমি অবশ্য জোর করে লিখি না, হাতে লেখা এলে (যেহেতু টাইপ করি, তাই কলমে না এসে হাতে আসে ;) ) তবেই লিখতে বসি। এই যেমন এখন ব্লগ লিখতে বসলাম, কিন্তু উপন্যাস নয়। কারণ তেমন মুড আসে নি। আসলে হাত দিয়ে আপনিই বেিরয়ে আসত। আমি এই ফ্লো ভালো করেই জানি। লেখা যখন ফ্লো করতে শুরু করে, তখন পরীক্ষার বাঁধ দিয়েও তাকে থামানো যায় না। গত semester এ তা-ই হয়েছিল।
নাহ, অনেক কথা হল। আর না।
ওহ হো, আরেকটা কথা। এই গানটা সেদিন সজীব দিল। ভালোই লাগল।
Aaj Ei Akash by nure_alam
নূরে আলম
জুন ২২, ২০১১।
কী যে লিখব...।
কী লিখব ? আমার নিজের গল্প ? আমার ব্যক্তিগত কথা ? নাকি ক্লাসের বাচ্চা ছেলেটির আজকের বিরক্তিকর কথাবার্তা ? যে বিকেলে ফোটোকপি করবার সময় বলছে - তোমার নাম্বার ডিলিট করে দেবো। আরে ..., আমার নাম্বার তুমি ডিলিট করো কি না করো, তা দিয়ে আমার কিছু আসে যায় ? আর আমি ক্লাসে সিআর, আমার নাম্বার ডিলিট করলে তোমারই প্রবলেম। বেহুদা ভেজাল।
এই ছেলেটার OS একেবারে করাপ্ট হয়ে গিয়েছে। সবারই কিছু না কিছু কম্প্যাটিবিলিটি প্রবলেম থাকে, কিন্তু এর এক্কেবারে গেছে। হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার - কিচ্ছু মিলেমিশে কাজ করে না। এগুলো হল বাপ-মা'র দোষ। গত দুইদিন রাতে একা একা ছাদে দাঁড়িয়ে থেকে আমাকে ফোন দিয়ে মিনিটের পর মিনিট উল্টাপাল্টা কথা বলেছে। ঐসময় লাফ দিয়ে পড়ে মরলে.... এসবের দোষ কিন্তু বাপ-মা'র, আবারো বলছি।
এই মুহুর্তে আমার লেখার মুড চলে গিয়েছে। এটাই আমার ব্লগের শেষ লাইন হতে পারত, কিন্তু আজকে মনে হয় অনেক বড় একটা ব্লগ লিখব। ( বিরক্ত হয়ে অর্ধেক পড়ে থুয়ে দেবার চেয়ে তাই কেউ চাইলে এখনই স্ক্রল করা বন্ধ করতে পারেন ! )
ইদানিং আমি সময়ে বরকত পাচ্ছি না।
বড়াপু কিছুদিন আগে বলল, মানুষের যেকোন অনুভুতি বেড়ে যাবার পেছনে তার নিজেরই হাত থাকে।
হুম, খুবই সহজ সত্য কথা। এটাকে তত্ত্ব আকারে দেবার কোন মানে নেই। কিন্তু কথাটি খুবই সহজ হলেও, চরম সত্য। চিন্তা-বিলাস করে মানুষ তার যেকোন অনুভুতিকে বাড়িয়ে তুলতে পারে। এই যেমন ক্লাসের বাচ্চা ছেলেটি - প্রথমদিন রাতে আমাকে ফোন দিয়ে এলোমেলো কথা বলবার পর দ্বিতীয় দিনে তার মনে হয়েছে, ভালোই তো, এভাবে ফোন দিয়ে অসুস্থ-মানসিক-বিলাস করা যায়, মাসুদ তো ফোন কেটে দেয় না বা বিরক্ত হয়ে কিছু বলে না। তাই পরদিন আবার রাতে ফোনে টাকা ভরে ছাদে গিয়ে আমাকে ফোন দিয়েছে। এমন সব কথা বলেছে, যা বলতেও আমি বিব্রত বোধ করছি। তখন আমি গরমের মধ্যে ল্যাপটপে বসে ভার্সিটিরই আরেকজনের জন্য প্রশ্ন টাইপ করছিলাম, মেইল করব বলে। তার মধ্যে দশ-পনরো মিনিট ফোন এক কানে ঠেকিয়ে রেখে আরেক হাত দিয়ে টাইপ করেছি। হাবিজাবি কথা...। তবু শুনে গেলাম এই ভেবে যে এতে যদি তার মেশিন ঠিক হয়। কিন্তু না, আজ দেখি মেশিন আরো বিগড়ে গেছে। আমাদের ল্যাবের কিছু মনিটরের মত - চড়-থাপ্পর দিলে তবেই স্ক্রিণ ঠিক হয় ! যাহোক, আমি তাকে চড় থাপ্পর দিই নাই। কারণ তার মনিটরে সঠিক তথ্য ডিসপ্লে করানো আমার দায়িত্ব নয়।
তবে, এখন থেকে এই বিগড়ানো মেশিনের বড় প্রবলেম হবে। দুঃখজনক।
মনে পড়েছে............। পোস্টের একদম শুরুতে "কী লিখব ?" এই বাক্যটা লিখবার পর যা লিখতে চেয়েছিলাম, তা মনে পড়েছে। সেটা হল, আমাকে একজন বলেছিলো, আমি নাকি 'অনেক' সময় নিয়ে 'অনেক' ভেবে-চিন্তে ব্লগ লিখি। আরো কিছু কথা বলেছিলো। সারমর্ম হল - আমি মোটেও ভালো ব্লগ লিখতে পারি না, আমার তেমন কোন যোগ্যতাও নেই, এক একটা ব্লগ অনেক কষ্টে কোনমতে পাঠযোগ্য করি, কিন্তু ভাব দেখাই যে যা মনে আসে, তা-ই লিখেছি ব্লগে।
হঠাৎই সেই কথাটা মনে পড়ে গেল।
আচ্ছা, মানুষের নানান কথা 'মনে পড়ে যায়' কেন ? আমরা যখন কম্পাইলারে একটা প্রোগ্রাম লিখি, রানটাইমে সেটা অযাচিতভাবে কোন তথ্য ডিসপ্লে করলে সেটাকে সমস্যা ধরে নিই। কিন্তু নিজেদের ব্রেইনের ক্ষেত্রে সমস্যা মনে করি না, তাই না ?
হুম...।
আজ ভার্সিটি থেকে আসবার পথে মজার একটা জিনিস দেখলাম। এক ফেরিঅলা, ছোলা বিক্রি করে। তার cart এর গায়ে কম্পিত হাতে লাল কালিতে লেখা : জামালউদ্দিন = গরম ছোলা = বুট।
এই লেখা দেখে আমি হাসতে হাসতে শেষ। অনেক-ই এলোমেলো কথাবার্তা এসব জায়গায় দেখা যায়, যেমন, ঘিলা-কলিজা-জাল-মুড়ি, কিন্তু এর মত ইউনিক আর দেখি নাই।
হঠাৎ মনে পড়ল, ইংরেজি saved শব্দটাকে মজা করে কেন যেন বলেছিল - সেভিদ। :)
আচ্ছা, ব্লগার ইমোটিকন ইন্টিগ্রেইট করছে না কেন ?
আচ্ছা, রাতের বেলা কি কাক ডাকে ? নাকি আমার কানে সমস্যা হয়েছে ? কিন্তু প্রায়ই তো রাতে কাকের ডাক শুনতে পাই। :( কে জানে, হয়তো আমার কানের মধ্যেই কিছু একটা হয়েছে।
অনেক মানুষ আছে, লেখালেখিতে একদমই ইন্টারেস্ট পায় না। আমার এমন এক ফ্রেন্ড আছে। বলে - বেশি বড় লেখা পড়তে বিরক্ত লাগে।
কিছুদিন আগে মেজাপু যখন ল্যাপটপ কিনল, তখন সাথে একটা স্পিকারও ফ্রি পাওয়া গেল। এটা আবার কামিলিয়ানের মত রঙ চেইঞ্জ করতে থাকে। রঙ না, আলো। একটু পর পর ওটার ভিতর থেকে বিভিন্ন রঙের আলো বের হতে থাকে। দেখতেও অনেকটা কামিলিয়ানের মতই !
এখন মনে হচ্ছে, ক্লাসের ঐ ছেলেটা যদি আমার এই লেখা পড়ে (যদিও সম্ভাবনা কম, সম্ভবত সে অ্যাড্রেস ভুলে গিয়েছে), তাহলে কেমন অস্বস্তিকর ব্যাপার হবে। এই জাতীয় একটা ব্যাপার ঘটেছিল আমার। লেখাটা ছিল এরকম : "... লেখাটা পড়ে এখন বেশ বিব্রত ও অস্বস্তি বোধ করছি। ... আর কাটাকাটি করতে চাই না বলেই... নতুবা ওটুকু কেটে দিতাম।" হা হা হা... কী সরল স্বীকারোক্তি !
আচ্ছা, মাঝে মাঝে গায়ে পিঁপড়া ওঠে কেন ? আমি তো এখনও বেঁচে আছি, তাই না ? নাকি পিঁপড়াদের কাছে খাদ্য হয়ে গিয়েছি ? নাকি আমি এখনও ছোট বাচ্চা রয়ে গিয়েছি যে একা একা গোসল করে বেরোনোর পর দেখা গেল কানের একটা অংশ ঠিকমতো ভিজে নাই ! তাহলে পিঁপড়ারা কেন আমার গায়ে ওঠে !
এবার অন্য কথা বলি। আজ আমার কলেজের ফ্রেন্ড সিফাতের জন্মদিন। সামনের মাসের এক তারিখে সজীবের। এগারো তারিখ লিমন, বারোতে মার্জিয়া। উনত্রিশে মোর্শেদ। আরো অনেকে আছে। কলেজে ভর্তি হবার পর নতুন নতুন এদের অনেকের জন্মদিন ডায়রিতে লিখে রেখেছিলাম। না, মানুষগুলো মন থেকে মুছে যায় নি, তবে কিনা, নানান ব্যস্ততায় ধুলো পড়তে চায় যেন। আর আমি তো ফেইসবুকও ইউজ করি না যে মনে না থাকা সত্ত্বেও নীল-সাদার পেইজের ডানদিকে ইভেন্ট এসে মনে করিয়ে দেবে, আর এমন এক মেসেজ পাঠাবো যাতে মনে হবে আমি একবছর ধরেই তারিখটা মনে করে রেখেছি ! আমার মন যাদেরকে মনে রাখে, তাদেরকে মেসেজ পাঠাই। অবশ্য আমিও একটা কাজ করি, তা হল, মোবাইলে রিমাইন্ডার দিয়ে রাখি। গিফট কিনতে মনস্থঃ করলে কয়েকদিন আগেই রিমাইন্ডার দিই; শুধু উইশ করতে হলে সেদিনে রিমাইন্ডার দিই। এইতো। এত মানুষের জন্মতারিখ মনে রাখা কি সহজ কথা ?
গত দুই তিন মাসে আমি প্রায় আড়াই থেকে তিন লাখ শব্দ টাইপ করেছি কম্পিউটারে। তাও আবার বেশিরভাগই বাংলায়। এত বেশি টাইপ করে আমি জরজর হয়ে গিয়েছি, এখন তাই লিখতে গেলে একটা ক্লান্তি চলে আসে। আমি অবশ্য জোর করে লিখি না, হাতে লেখা এলে (যেহেতু টাইপ করি, তাই কলমে না এসে হাতে আসে ;) ) তবেই লিখতে বসি। এই যেমন এখন ব্লগ লিখতে বসলাম, কিন্তু উপন্যাস নয়। কারণ তেমন মুড আসে নি। আসলে হাত দিয়ে আপনিই বেিরয়ে আসত। আমি এই ফ্লো ভালো করেই জানি। লেখা যখন ফ্লো করতে শুরু করে, তখন পরীক্ষার বাঁধ দিয়েও তাকে থামানো যায় না। গত semester এ তা-ই হয়েছিল।
নাহ, অনেক কথা হল। আর না।
ওহ হো, আরেকটা কথা। এই গানটা সেদিন সজীব দিল। ভালোই লাগল।
Aaj Ei Akash by nure_alam
নূরে আলম
জুন ২২, ২০১১।
kar gan eta?
উত্তরমুছুনগানটা কার যেন...। একটা বাংলা মুভির গান, যতদূর জানি। গায়িকা হল এলিটা, গায়ক হল মাহদি (কিংবা মাহাদি, আমি ঠিক জানি না)। মাঝখানে 03:15 থেকে 03:45 পর্যন্ত অংশটুকু বিরক্তিকর, এছাড়া গানটা ভালোই... :D আমি ঐ অংশটুকু ট্রিম করে নিয়েছি।
উত্তরমুছুনu need a break.
উত্তরমুছুনI'm not engaged in any other job but study - why do I need break ?
উত্তরমুছুন(ধুরন্ধর, don't go too far ! ;) )
হুমম... অসংলগ্ন চিন্তা থেকে আসা খাপছাড়া কথাবার্তা? তবু ভালই লাগল পড়তে...
উত্তরমুছুনএসব চিন্তা এখানে লিখে রাখবার পর তারা আর আমাকে বিরক্ত করছে না ! এটা একটা ভালো উপায় ;)
উত্তরমুছুনআমি অবশ্য এই কাজ করি না সাধারণত। অর্থাৎ, অপ্রয়োজনীয় চিন্তা ঝাড়ার জায়গা বানাই না ব্লগারকে।
(এজন্যই আমার ব্লগটা অনেক ভালো ! ;) )