সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

ব্লগিঙেতিহাস...

অনেক দিন রাত জেগে ব্লগ লেখা হয় না। আজ সময় আর মুড পেয়ে লিখতে বসে গেলাম।

কী বলব ? আজকে নাহয় আমার ব্লগিং করার শুরু নিয়ে বলি। ব্লগিঙের ইতিহাস বলতে গেলে অনেক কথা বলা হয়ে যাবে, তাই...।
২০০৭ সাল। তখন মইন-ফখরু শাসন চলছে। বেশিদিন হয় নি যায়যায়দিন পত্রিকা রাখা শুরু হয়েছে বাসায়। ম্যাগাজিনগুলো পড়ে ভালোই লাগত- শফিক রেহমান তাঁর পত্রিকা খুব ভালোভাবে সাজিয়েছিলেন। যাহোক, সেখান আর্ট অ্যান্ড কালচার ম্যাগাজিনে বাংলা ব্লগ নিয়ে সামহোয়্যারইনের ব্লগার মাহবুব মোর্শেদ এর লেখা পড়ে ম্যাগাজিন হাতে নিয়ে কম্পিউটারের সামনে এসে দেখে দেখে (যেন নির্ভুল হয়) www.somewhereinblog.net টাইপ করে ঢুকলাম। (এখন মনে পড়ল, তখন আমি ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার ব্যবহার করতাম :( )
ওহ, ভালো কথা, মাসটা ছিল খুব সম্ভবত মে কিংবা জুন।
সেই থেকে যে ব্লগিং শুরু করলাম, এখন পর্যন্ত করে যাচ্ছি। নানান ব্লগে লিখেছি এ পর্যন্ত। কিন্তু ব্লগারের ব্যক্তিগত একটা আবহাওয়া আছে, এখানের মজাতেই তাই মজে আছি। কমিউনিটি ব্লগগুলোতে আর যাই না : বাঙালি নেটিজেনদের স্বভাব ভালোই জানা হয়েছে।
আমি ব্লগিং করতাম দেখে সেজাপু-মেজাপু-যীনাত বিরক্তি দেখাতো। কিন্তু তারপর তাদেরকেও ধীরে ধীরে ব্লগে নিয়ে আসলাম। প্রথম সামহোয়্যার, তারপর ব্লগারে। মাঝে অবশ্য আমরা প্যাঁচালি আর প্রথম আলো ব্লগে কিছুদিন লেখালেখি করেছিলাম।

আমার ব্লগগুলো খুচরো বাদামের মত নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছে।
আমাকে আবার আগের মত করে ব্লগিং করতে হবে।
শুধু আমাকে ঘরে থিতু হতে হবে আবার।
চেয়ারে হেলান দিয়ে, চেয়ারের 'পরই পা তুলে হাঁটুতে থুতনি ভর করে জীবন নিয়ে গভীর দার্শনিক (!) চিন্তাভাবনা করলেই আমার ব্লগগুলো আর নিঃশেষ হবে না।
মস্তিষ্ক উজাড় করে কিছুদিন আগে দীর্ঘ এক লেখা শেষ করেছি তো, এখন তাই আগের মত উর্বর নেই।
এখন আমার শুধু লেখালেখি থেকে কিছুটা ব্রেক নেয়া দরকার।

নূরে আলম
১২ জুলাই, ২০১১।

মন্তব্যসমূহ

  1. হুমম.... আমার ব্লগে আপনার প্রথম মন্তব্য ! এটাও ব্লগিঙেতিহাসে যুক্ত হলো !

    উত্তরমুছুন
  2. তাই? আমিতো আগেও কমেন্ট করার কথা। দীর্ঘদিন যাবত আপনার ব্লগ পড়ি! :S

    উত্তরমুছুন
  3. তাই ! তাহলে হয়তো আমার ভুলোমন ভুলে গিয়েছে। দীর্ঘদিন যাবৎ ব্লগ পড়েন ! ফেসবুকের যুগে মানুষ তো বড় লেখা পড়া ছেড়েই দিয়েছে একপ্রকার বলা যায়। ধন্যবাদ আমার ব্লগ পড়ার জন্য।

    উত্তরমুছুন

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

[ব্লগে কমেন্ট পোস্ট করার পরও যদি না দেখায়, তাহলে দ্বিতীয়বার পোস্ট করার প্রয়োজন নেই। খুব সম্ভবত স্প্যাম গার্ড সেটাকে সরিয়ে নিয়েছে, আমি পাবলিশ করে দেবো।]

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

শিয়া-সুন্নি বিরোধ সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রশ্ন এবং উভয় পক্ষের জবাব

শিয়া-সুন্নি বিভেদ ও দ্বন্দ বহু পুরনো বিষয়। এই দ্বন্দ নিরসনে ইতিহাসে বহু দ্বীনি ব্যক্তিত্ব বৃহত্তর মুসলিম ঐক্য প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করেছেন। বিপ্লবের পরপর ডা. জাকির নায়েকের ওস্তাদ আহমদ দীদাত ইরানের যান এবং সেখান থেকে ফিরে এসে শিয়া-সুন্নি ঐক্য ডায়লগে তাঁর অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন, যা আমি এক সপ্তাহ আগে অনুবাদ করে প্রকাশ করেছিলাম । যা-ই হোক, এই দ্বন্দ নিশ্চিতভাবেই মুসলমানদের জন্য একটি নেতিবাচক ও দুর্বলতার দিক। এমনকি তা অনেককে চরমপন্থার দিকেও নিয়ে গিয়েছে। আগে যেই শিয়া-সুন্নি দ্বন্দ আলেমসমাজ ও কতিপয় জানাশোনা ব্যক্তির মাঝে সীমাবদ্ধ ছিলো, বর্তমান সহজ তথ্যপ্রযুক্তির যুগে তা প্রায় সকল লেভেলে ছড়িয়ে পড়েছে। দেখা যাচ্ছে যে, একদল আরেক দলকে এমন অনেক অভিযোগ করছে, যেগুলো হয়তো শিয়া-সুন্নি উভয় আলেমই অগ্রহণযোগ্য বলে বাতিল করে দেবেন। তবে তথ্যের অবাধ প্রবাহের একটি সুবিধা হলো, এতে মিথ্যার প্রচার যেমন অতি সহজ, তেমনি একইভাবে মানুষের দ্বারে সত্যকে পৌঁছে দেওয়াও খুব সহজ। আমি ব্যক্তিগতভাবে শিয়া ও সুন্নি উভয়কেই মুসলিম ভাই বলে গণ্য করি। কিন্তু তাদের বৃহত্তর ঐক্যে পৌঁছানোর ব্যর্থতা, পরস্পর শত্রুতা ও প্রেজ

ইমাম খোমেনীর জীবন : এক ইসলামী বিপ্লবের ইতিহাস

রুহুল্লাহর গল্প ইমাম আয়াতুল্লাহ রুহুল্লাহ আল মুসাভী আল খোমেনী। বিশ্ব ইমাম খোমেনীকে প্রথমবারের মত চিনেছে ১৯৭৮ সালের শেষাশেষি , যখন ইরানের রাজতন্ত্রের বিরোধিতা করার কারণে তিনি ফ্রান্সে নির্বাসিত ছিলেন। প্যারিসের অদূরে বসে ইরানের শাহ মুহাম্মদ রেজা পাহলভীর বিরুদ্ধে ইমাম খোমেনীর ঘোষিত যুদ্ধ এবং আমেরিকা বিরোধী কঠোর বক্তব্য এক অভূতপূর্ব মিডিয়া কাভারেজ এনে দিলো , এবং ইমামকে বিংশ শতকের অন্যতম বিপ্লবী চরিত্র হিসেবে পরিচিত করলো। পত্র - পত্রিকা আর নিউজ বুলেটিনে তাঁর ছবি ভরে উঠলো। এই ছবি বিশ্বের অসংখ্য মানুষের কাছে , বিশেষতঃ পশ্চিমা বিশ্বের কাছে নিতান্তই অপরিচিত ছিলো। সাদা দাড়ি এবং কালো পাগড়িধারী এই মানুষটিকে দেখে মনে হতো যেনো ইতিহাসের পাতা থেকে সময় অতিক্রম করে বর্তমানে চলে এসেছেন। তাঁর সমস্তকিছুই ছিলো নতুন আর অপরিচিত। এমনকি তাঁর নামটিও : রুহুল্লাহ। আর দুনিয়ার অসংখ্য পলিটিশিয়ান ও সাংবাদিকদের মনে যে প্রশ্নটি নাড়া দিয়ে যাচ্ছিলো , তা ছিলো : কী ধরণের বিপ্লবী মানুষ এই খোমেনী ?

শিয়া-সুন্নি ঐক্য ডায়লগ এবং আহমেদ দিদাতের ইরান অভিজ্ঞতা

(লেখাটি পিডিএফ আকারে ডাউনলোড করতে এখানে ক্লিক করুন। ) আহমেদ দিদাত ( ১৯১৮ - ২০০৫ ) এর নাম হয়তো অনেকের অজানা থাকবে। তবে ডা . জাকির নায়েকের নাম নিশ্চয়ই অজানা নয়। ডা . জাকির নায়েকের বর্তমান কর্মকাণ্ডের অনুপ্রেরণা হলেন আহমেদ দিদাত। আহমেদ দিদাত , যিনি কিনা ডা . জাকির নায়েকের নাম দিয়েছিলেন " দিদাত প্লাস " – পৃথিবীজুড়ে ঘুরে বেড়ানো এবং তুলনামূলক ধর্মতত্ত্ব নিয়ে লেকচার দেয়া ছিলো তাঁর কাজ। যাহোক , ১৯৭৯ সালে ইমাম খোমেইনীর নেতৃত্বে ইসলামী বিপ্লবের মাধ্যমে ইরানে ২৫০০ বছরের রাজতন্ত্রের অবসান ঘটে এবং ইসলামী ইরানের জন্ম হয়। বিপ্লব - পরবর্তী ইরানে ভিজিট করেন আহমেদ দিদাত , সাক্ষাৎ করেন ইমাম খোমেইনীর সাথে এবং নিজদেশে ফিরে এসে ১৯৮২ সালের মার্চ মাসে তাঁর অনুভূতি তুলে ধরেন। আহমেদ দিদাতের নানা বিষয়ে বক্তব্য ও চিন্তাভাবনা বাংলা ভাষায় কিছু না কিছু পাওয়া যায়। কিন্তু শিয়া - সুন্নি ঐক্যের এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে তাঁর চমৎকার বক্তব্যের অনুবাদ কোথাও না পেয়ে সবার সাথে শেয়ার করার উদ্দেশ্যেই অনুবাদ করে ফেললাম। আরেকটি বিষয় উল্লেখ করা প্রয়োজন। মূল অডিও কোথাও কোথাও শুনতে বা বুঝতে অসুবিধা