সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

মে, ২০১৩ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

মতিঝিল গণহত্যা বিষয়ে ইকোনমিস্টের প্রতিবেদন : একটি সংক্ষিপ্ত বিশ্লেষণ

৫ই মে'র গণহত্যার ইন্টারন্যাশনাল কাভারেজকে ইসলাপন্থীরা গুরুত্বসহকারে প্রচার-প্রকাশ করছেন। কিন্তু একইসাথে খেয়াল রাখা দরকার যে, ৫ই মে সহ বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ঘটনাবলীতে ইসলাম সার্বিকভাবে জড়িত, এবং ইসলামের বিষয়ে এই মিডিয়াগুলোর অ্যালার্জির কথা অজানা নয়। এজন্যে এদের বিষয়ে সতর্ক হওয়া দরকার। আমি সাধারণত এগুলো পড়ে দেখি না। কয়েকটা কারণে : ১. বাংলাদেশের বিষয়ে বাস্তবতা জানার জন্য আমাকে বিদেশী (এবং বাংলাদেশের শত্রু দেশের) মিডিয়ার শরণাপন্ন হতে হবে না। ২. ইসলামবিরোধী দেশগুলোর মিডিয়া সত্য-মিথ্যা বিকৃত করে কী লিখলো, এটা জানা থাকা দরকার বটে, কিন্তু সেটা দরকার পড়লে ঐ তারিখের নিউজ বের করে দেখা যাবে। তারা সাধারণত বাংলাদেশের আওয়ামী সরকারের মত নিউজ / তথ্য গুম করে না। মোটামুটি একই কারণে আমি পড়ি না প্রথম আলো, কালের কণ্ঠ, বাংলানিউজ২৪, বিডিনিউজ২৪, ইত্যাদি। কারণ কোনো ঘটনায় ওরা কী নিউজ করবে তা ওদের আগেই লিখে দেয়া সম্ভব। যাহোক, ইকোনমিস্টের আগামীকালের প্রকাশিতব্য ম্যাগাজিনের এই লেখাটি অনলাইনে এসেছে :  Political violence in Bangladesh In hot blood The killing of Islamist hardliners promi

বাঁশেরকেল্লা, ফেইক ছবি আর তথ্য-প্রমাণের দৌড়

পেইজ : বাঁশেরকেল্লা । লাইক সংখ্যা : আড়াই লাখ। পাঠকগোষ্ঠী : ইসলামপন্থী, সরকারবিরোধী, শাহবাগ-বিরোধী। পেইজ : শাহবাগে সাইবার যুদ্ধ । লাইক সংখ্যা : এক লাখ। পাঠকগোষ্ঠী : উপরের বিপরীত। বাঁশেরকেল্লা পেইজ কেনো ৫ই মে'র গণহত্যার নামে কয়েকটা ফেইক ছবি পাবলিশ করলো, তাই নিয়ে গালিগালাজ করে দেশ উদ্ধার করছে তারা। অথচ সেই একই বাঁশেরকেল্লায় প্রকাশিত গণহত্যার অন্যান্য ছবি যেনো তারা দেখতেই পায় না ! দিগন্ত টিভি, ইসলামিক টিভি, আমার দেশ পত্রিকা -- বর্তমান সরকার ইসলামপন্থী মিডিয়াগুলোকে বন্ধ করে দিয়েছে। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে সঠিক তথ্য জানার জন্য তাই প্রায়ই বাঁশেরকেল্লা পেইজে ঢোকা হয়। অথেনটিক নিউজ পাবলিশ করার ক্ষেত্রে তাদের চেষ্টার ত্রুটি নাই। এবং না জেনে ভুল নিউজ / ছবি পাবলিশ করার পর সেটার প্রমাণ পেলে বা বুঝতে পারলে তাদেরকে পোস্ট রিমুভ করতে দেখেছি। ৫ই মে'র গণহত্যার পর শাহবাগীদের পেইজে তাদের বক্তব্য/গালিগালাজগুলো দেখলাম, পড়লাম। প্রাসঙ্গিক কিছু কথা এখানে লিখে রেখে যাই : প্রসঙ্গ : ভেরিফাইড সোর্স বাঁশেরকেল্লা পেইজ কোনো নিউজ পাবলিশ করলে মানুষ প্রশ্ন করতে পারে - সোর্স দেখান।

৫ই মে ২০১৩ : বাংলাদেশে ইসলামের ইতিহাসের নতুন অধ্যায়

৫ই মে ২০১৩। বাংলাদেশ নামক ভূখণ্ডে ইসলামের ইতিহাসের একটি অধ্যায় সূচিত হলো। জয়-পরাজয়ের এই অধ্যায়ের সূচনা থেকে যে উপলব্ধি ও শিক্ষাগ্রহণ, তা এখানে লিখে রেখে যেতে চাই। ঘটনার শুরুটা এরকম ছিলো : ৫ই মে ফজরের পর থেকেই ঢাকার ৬টি প্রবেশমুখে লক্ষ লক্ষ মানুষের অবরোধ, বেলা বাড়ার সাথে সাথে মোট সংখ্যা ৫০ লক্ষ ছাড়িয়ে যায়। উপস্থিত পুলিশদেরকে নিজেদের খাবার-পানি-শরবত দিয়ে আপ্যায়ন করলো হেফাজতে ইসলামের কর্মীরা। দুপুর থেকে সেই অ্যাপ্যায়নের জবাব হিসেবে গুলি করে হত্যাযজ্ঞ শুরু হলো, এবং থেমে থেমে চলতে লাগলো। আন্দোলনের নেতা আহমদ শফি সাহেব মতিঝিলের মঞ্চে পৌঁছাতে পারলেন না নিরাপত্তার অভাবে। অনির্দিষ্টকালের অবস্থান শুরু হলো মতিঝিলে। সন্ধ্যার আগ দিয়ে জনতার ভিড়ের মধ্য দিয়ে দুটি লাশ প্রবেশ করলো মঞ্চে; সেই লাশ দেখে কান্না উত্তেজনায় পরিণত হলো। মানুষজন রাস্তার আইল্যান্ডের গাছের ডাল ভেঙে নিতে শুরু করলো। এটি ছিলো বাংলাদেশের ইতিহাস বদলে দেবার ডিসাইসিভ মোমেন্ট। ইতিহাস বদলে দেবার জন্য তখন প্রয়োজন ছিলো শুধু একটি নির্দেশের : রক্তের বদলা নিতে যুদ্ধে নেমে পড়া। পরিবর্তে নির্দেশ এলো শান্ত থাকার, ধৈর্য ধারণ করার