সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

ডায়রি : অগাস্ট ৩০, বিকেল।


ডায়রিটা কাগজেই লেখা লাগতো। কিন্তু খুব ক্লান্তি লাগছে। কেবল ঘুম থেকে উঠলাম। আগামীকাল বা পরশু ঈদ। কেনো যেনো মনে হচ্ছে আগামীকাল হবে। কে জানে !
এই রোজায় বন্ধু-বান্ধবদের সাথে বেশি দেখা-সাক্ষাৎ করা হয়ে গিয়েছে। আমি ক্লান্ত হয়ে পড়েছি। এত দ্রুত হয়ত ক্লান্ত হতাম না, কিন্তু ক্লান্ত হয়েছি এই কারণে যে ওদের সাথে সময় পার করা মানে সময় নষ্ট করা। সারবস্তুহীন কথা।থাপড়াথাপড়ি, টেপাটিপি... ক্লান্তি এসে যায় দেখলে।
কতদিন পর জলির সাথে দেখা হলো ! না জানতে পারলাম ওর ডাক্তারি পড়া কেমন চলছে, না জানতে পারলাম তার দিনকাল কেমন চলছে। কিংবা আধুনিক, অযাচিত কিছু প্রশ্নের উত্তর- কোনো বয়ফ্রেন্ড আছে কিনা, হলো কিনা, ইত্যাদি।
জাকির বাসা খুব কাছেই, চাইলেই ওর সাথে দেখা করতে পারি। ওর বাসায় কয়েকদিন আগেও যাওয়া হয়েছে, আমার আর লিমনের গল্প করা হয়েছে। কিন্তু সেদিন ওর-ও কোনো খবর জানা হলো না- না সে কেমন আছে, না তার ভার্সিটিতে দিনকাল কেমন চলছে।
মার্জিয়া তো পুরোটা সময় তেমন একটা কথাই বলে নাই, একা একা কী চিন্তা করছিলো কে জানে।
নাহিয়ান তো একদমই mute হয়ে ছিলো- সে আবার কার চিন্তা করছিলো আল্লাহ মালুম।
সজীব- তার সাথে আমার প্রায়ই দেখা হয়, কথা হয়, কিন্তু সেখানে গিয়ে তার সাথেও কোনো কথা হয় নি। এমনকি ব্যক্তিগতভাবে দেখা করলে যে দু-চারটা গল্প হয়, তেমন কিছুও না।
লিমনের সাথে বেশ ক'দিন আগে দেখা হয়েছে, কথা হয়েছে। কিন্তু সেদিন ওর সাথেও তেমন একটা কথা হয় নাই। হাবিজাবি কথার স্রোতে কোনো একটা বিষয়ে কেউ দু-মিনিট টানা কথা বলতে পারে নি। ওর সাথে ইসলামের কী যেন একটা বিষয়ে তাত্ত্বিক কথা বলা শুরু করলাম; দু-চার মিনিট পর সিফাত আর মার্জিয়ার প্রবল বিরোধিতায় তা পণ্ড হয়ে গেলো।
সিফাত তো পুরোটা সময়ই অস্থির- এলোমেলো নানান কথা। একবার কাগজ ছিঁড়ে তাতে কয়েকটা নাম লিখে এক এক জনকে দিলো- কিন্তু সে কৌতুকও জমলো না। সিফাতের সাথে আমার নেটে তেমন একটা কথা হয় না। ফোনেও না। মাঝে মাঝে এমন সব আড্ডায় দেখা হয়; কিন্তু তখনও ওর দিনকাল কেমন চলছে, ভার্সিটিতে নতুন বন্ধু-বান্ধব হয়েছে কিনা, কেমন মানুষ তারা- সেসবের কিছুই জানা হলো না।
বাহ ! বেশ তো ! রোজা মুখে এত কষ্ট করে বোটানিকাল গার্ডেনের ভেতরে হাঁটাহাঁটি করলাম, তেষ্টায় গলা শুকিয়ে গেলো, তবু ওদের সাথে কথা বললাম, কিন্তু সবটাই বৃথা। সত্যি কথা বলতে, আমি এমন আড্ডায় কোনো আনন্দ পাই না। বহুদিন পর পুরনো বন্ধু-বান্ধবের সাথে দেখা হলে তাদের সাথে কথা হবে, তারা 'কেমন আছে', তা জানা হবে, আমি কেমন আছি, তা তারা জানবে- কিন্তু তা আর হলো কই !
খানিক সময় জলি তার মোবাইল বের করে সিফাত আর জাকিকে ছবি দেখালো। জাকি কিছুক্ষণ মোবাইলে গান শুনলো। সিফাতও ফোনে দু-একটা গান বাজালো। আর হলো বন্যার স্রোতের মতো ভেসে যাওয়া কথার মাঝে শুধু অপরকে নিয়ে তামাশা করা- গণহারে 'পচানি'। আমি এ স্রোতে পায়ের আঙুল ডুবিয়ে দেখেছি- এ স্রোত বড় অযাচিত, বড় বিস্বাদ।
বাসায় ফিরে যীনাতকে বলেছি- "আমার ঘাট হয়েছে, I have had enough. পুরো সময়টাই বৃথা গিয়েছে।" ও বলেছে- “আরে ধুর, কী বলিস। আমার তো খুবই ভালো লেগেছে। পুকুরের পানির উপর যখন ভারী বৃষ্টি...।” আরে আমি কি গিয়েছি উদ্ভিদ উদ্যানের সৌন্দর্য উপভোগ করতে ? আমি গিয়েছিলাম বন্ধুদের সাথে দেখা করতে, তাদের খবরাখবর জানতে, আমার খবরাখবর তাদের জানাতে। সেজন্যে আমি গাছপালা, পদ্ম পুকুর, কিংবা শাপলা পুকুরের সৌন্দর্য উপভোগের চিন্তা করি নাই, পুরো আড্ডাটাই তাই বৃথা হয়েছে।
...................................................................................................
গতকাল বৃষ্টি ছিলো। শেডের নিচ থেকে মাথা বাড়িয়ে পুকুরের উপর বৃষ্টির ভারী ভারী ফোঁটায় চমৎকার দৃশ্যের সৃষ্টি হতে দেখেছি। এখনও বৃষ্টি হচ্ছে। একদম সোজা সোজা বৃষ্টি।
বৃষ্টি-বিলাস করতে করতে চেয়ারের উপর পা তুলে অলস বসে ব্লগ লেখা হয় না অনেকদিন। বৃষ্টিতে ভিজতে থাকা নারিকেল পাতার দিকেও তাকানো হয় না অনেকদিন হলো। হয়তো আবার সামনের বছর হবে। এবারের বৃষ্টিটাকে তো উপভোগ করা গেলো না।
এই রমজানটা কিভাবে যেনো কেটে গেলো। বুঝে উঠবার আগেই নিমিষে শেষ। অনেক আগে, যখন ছোট বাচ্চা ছিলাম, তখন ঈদের আগের রাতে ঘুম হতো না। এখন আর তা হয় না। এখন ঘুম হয়, এবং বেশ ভালোভাবেই হয় ! তার প্রমাণ পাওয়া যায় যখন পরদিন বেলা দশটা-এগারোটায় ঘুম ভাঙে।
আর সব ঈদের থেকে এবারের ঈদটা (বেঁচে থাকলে) আলাদা হবে। অবশ্য বাহ্যিকভাবে মোটামুটি একইরকম। আসলে মানুষ বদলে যায় কিনা, তাই প্রতিবছর ঈদগুলো বাহ্যিকভাবে প্রায় আগের মতন থাকলেও অন্যভাবে বদলে যায।

ছোটবেলার ঈদের কথা বলছিলাম। একটা সময় ছিলো ঈদের আগেরদিন, ঈদেরদিন আর ঈদের পরদিন ডায়রি লেখা ছিলো অবশ্য কর্তব্য। সেইদিন এখন শেষ। এখনও যদি আমার ডায়রিতে ঈদের আগেরদিন, ঈদের দিন আর তার পরদিন লেখা পাওয়া যায়, তবে বুঝতে হবে তা 'অবশ্য কর্তব্য' হিসেবে লেখা ডায়রি নয়, তা 'হয়ে যাওয়া' লেখা।
পুরনো ডায়রিগুলোতে এমন ধরণের লেখা ছিলো, যেখানে ঈদের আগেরদিন বসে পুরনো সব ঈদের কথা লেখা হতো। এসব স্মৃতিচারণে তখন বেশ মজা পাওয়া যেতো। এখন আর মজা পাওয়া যায় না। নানান চিন্তায় মাথা ব্যস্ত থাকে। ক্যারিয়ারের চিন্তাও তার মাঝে একটা জায়গা দখল করে নিয়েছে।
তবে এবার কেনো যেনো মনে হচ্ছে, বন্ধু-বান্ধবদের সাথে ঈদে ঘুরতে বেরোলে মন্দ হতো না। শুধু যে 'মন্দ হতো না'- এমনটা মনে হচ্ছে, তা নয়; মন বলছে- 'এ-ই করো'। কিন্তু আমার তা করা হবে না। কলেজের বন্ধুরা সবাই আবার ঈদের দিন দেখা করবে, কিন্তু আমার যাওয়া হবে না। আমিই যাবো না। আমি জানি, আমি যদি যাই তবে ফিরে এসে এমনই এক ব্লগ লিখবো, যা পড়ে সেই বন্ধুরা ভাববে- “মাসুদ এত নাক উঁচু স্বভাবের, কী যে ভাবে নিজেকে...”। আর আমারও ভালো লাগবে না। এমন অভিজ্ঞতা অর্জন সুখকর নয়, আর তা নিয়ে ব্লগ লেখা এবং সেই ব্লগ-পরবর্তী অভিজ্ঞতাও সুখকর নয়। আর আমার উপস্থিতিতে তাদেরও আনন্দ মাটি হবে। কারণ, মাসুদের সামনে 'সব ধরণের' 'কৌতুক' আর 'মজা' করা যায় না।
যাহোক, কী বলতে কী বলে ফেললাম। বৃষ্টি থেমে গিয়েছে আমার লেখা শেষ হতে হতে। কী জানি কী এক অদ্ভুত কারণে মনে হচ্ছে যে আগামীকালই ঈদ হবে !
মোবাইলে টাকা ভরেছি। কিন্তু জানি, ঈদের দিনে যতই মেসেজ পাঠাই আর ফোন দিই না কেনো- নেটওয়ার্ক পাওয়া যাবে না। তার 'পর আবার এয়ারটেলের যে নেটওয়ার্ক- কোনোরকম আশাই করা যায় না যে ঈদের দিনে ফোনটা ব্যবহার করা যাবে।
বেশ অনেকদিন হয়েছে ডায়রি লেখা হয় নি। গত দু'দিন পরপর লিখলাম। আর আবার লিখলাম আজকে। হঠাৎই খুব করে ডায়রি লেখায় ফেরা হয়েছে !
.........................................................................................................
মোবাইলটা চেইঞ্জ করতে হয়েছে। আগেরটা ছিলো samsung sgh-c170. ফোনটা খুব স্লিম- একারণেই ছাড়তে মন চাইছে না।
যাকগে।
আজ এ পর্যন্তই।

নূরে আলম,
অগাস্ট ৩০, ২০১১।

মন্তব্যসমূহ

  1. ছোট ছোট মানুষের ছোট ছোট সমস্যা!!
    আমার মনে হয় আপনার সিদ্ধান্ত বদলানো উচিত..বন্ধুদের সাথে দেখা হলেই ভাল লাগবে। তাছাড়া সবদিন তো আর একরকম কাটে না, তাই না?

    উত্তরমুছুন
  2. হায় হায় ! আমরা তো এখনও ভাই-বোনই আছি :( হঠাৎ কী হইলো :(

    উত্তরমুছুন
  3. ohh accha zeenat tomake 'apni' kore dakse dekhe confused hoe gesilam loll.

    উত্তরমুছুন
  4. হুমম... আমরা আবার বয়সে বড়দের সম্মান করে আপনি ডাকি :|

    উত্তরমুছুন
  5. amr valoi legese shomoi gulo.shudu pa dieso drkhe hoito valo lageni.nodite pa dubie ki r shat-ranor shad paoa jai?

    উত্তরমুছুন
  6. ভাই, স্রোতে ভাসবার পর কি আর খুঁটি ফিরে পাওয়া যায় ?
    আমি আমার নিজের খুঁটি ধরে আছি, এই-ই ভালো।

    উত্তরমুছুন

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

[ব্লগে কমেন্ট পোস্ট করার পরও যদি না দেখায়, তাহলে দ্বিতীয়বার পোস্ট করার প্রয়োজন নেই। খুব সম্ভবত স্প্যাম গার্ড সেটাকে সরিয়ে নিয়েছে, আমি পাবলিশ করে দেবো।]

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

শিয়া-সুন্নি বিরোধ সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রশ্ন এবং উভয় পক্ষের জবাব

শিয়া-সুন্নি বিভেদ ও দ্বন্দ বহু পুরনো বিষয়। এই দ্বন্দ নিরসনে ইতিহাসে বহু দ্বীনি ব্যক্তিত্ব বৃহত্তর মুসলিম ঐক্য প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করেছেন। বিপ্লবের পরপর ডা. জাকির নায়েকের ওস্তাদ আহমদ দীদাত ইরানের যান এবং সেখান থেকে ফিরে এসে শিয়া-সুন্নি ঐক্য ডায়লগে তাঁর অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন, যা আমি এক সপ্তাহ আগে অনুবাদ করে প্রকাশ করেছিলাম । যা-ই হোক, এই দ্বন্দ নিশ্চিতভাবেই মুসলমানদের জন্য একটি নেতিবাচক ও দুর্বলতার দিক। এমনকি তা অনেককে চরমপন্থার দিকেও নিয়ে গিয়েছে। আগে যেই শিয়া-সুন্নি দ্বন্দ আলেমসমাজ ও কতিপয় জানাশোনা ব্যক্তির মাঝে সীমাবদ্ধ ছিলো, বর্তমান সহজ তথ্যপ্রযুক্তির যুগে তা প্রায় সকল লেভেলে ছড়িয়ে পড়েছে। দেখা যাচ্ছে যে, একদল আরেক দলকে এমন অনেক অভিযোগ করছে, যেগুলো হয়তো শিয়া-সুন্নি উভয় আলেমই অগ্রহণযোগ্য বলে বাতিল করে দেবেন। তবে তথ্যের অবাধ প্রবাহের একটি সুবিধা হলো, এতে মিথ্যার প্রচার যেমন অতি সহজ, তেমনি একইভাবে মানুষের দ্বারে সত্যকে পৌঁছে দেওয়াও খুব সহজ। আমি ব্যক্তিগতভাবে শিয়া ও সুন্নি উভয়কেই মুসলিম ভাই বলে গণ্য করি। কিন্তু তাদের বৃহত্তর ঐক্যে পৌঁছানোর ব্যর্থতা, পরস্পর শত্রুতা ও প্রেজ

ইমাম খোমেনীর জীবন : এক ইসলামী বিপ্লবের ইতিহাস

রুহুল্লাহর গল্প ইমাম আয়াতুল্লাহ রুহুল্লাহ আল মুসাভী আল খোমেনী। বিশ্ব ইমাম খোমেনীকে প্রথমবারের মত চিনেছে ১৯৭৮ সালের শেষাশেষি , যখন ইরানের রাজতন্ত্রের বিরোধিতা করার কারণে তিনি ফ্রান্সে নির্বাসিত ছিলেন। প্যারিসের অদূরে বসে ইরানের শাহ মুহাম্মদ রেজা পাহলভীর বিরুদ্ধে ইমাম খোমেনীর ঘোষিত যুদ্ধ এবং আমেরিকা বিরোধী কঠোর বক্তব্য এক অভূতপূর্ব মিডিয়া কাভারেজ এনে দিলো , এবং ইমামকে বিংশ শতকের অন্যতম বিপ্লবী চরিত্র হিসেবে পরিচিত করলো। পত্র - পত্রিকা আর নিউজ বুলেটিনে তাঁর ছবি ভরে উঠলো। এই ছবি বিশ্বের অসংখ্য মানুষের কাছে , বিশেষতঃ পশ্চিমা বিশ্বের কাছে নিতান্তই অপরিচিত ছিলো। সাদা দাড়ি এবং কালো পাগড়িধারী এই মানুষটিকে দেখে মনে হতো যেনো ইতিহাসের পাতা থেকে সময় অতিক্রম করে বর্তমানে চলে এসেছেন। তাঁর সমস্তকিছুই ছিলো নতুন আর অপরিচিত। এমনকি তাঁর নামটিও : রুহুল্লাহ। আর দুনিয়ার অসংখ্য পলিটিশিয়ান ও সাংবাদিকদের মনে যে প্রশ্নটি নাড়া দিয়ে যাচ্ছিলো , তা ছিলো : কী ধরণের বিপ্লবী মানুষ এই খোমেনী ?

শিয়া-সুন্নি ঐক্য ডায়লগ এবং আহমেদ দিদাতের ইরান অভিজ্ঞতা

(লেখাটি পিডিএফ আকারে ডাউনলোড করতে এখানে ক্লিক করুন। ) আহমেদ দিদাত ( ১৯১৮ - ২০০৫ ) এর নাম হয়তো অনেকের অজানা থাকবে। তবে ডা . জাকির নায়েকের নাম নিশ্চয়ই অজানা নয়। ডা . জাকির নায়েকের বর্তমান কর্মকাণ্ডের অনুপ্রেরণা হলেন আহমেদ দিদাত। আহমেদ দিদাত , যিনি কিনা ডা . জাকির নায়েকের নাম দিয়েছিলেন " দিদাত প্লাস " – পৃথিবীজুড়ে ঘুরে বেড়ানো এবং তুলনামূলক ধর্মতত্ত্ব নিয়ে লেকচার দেয়া ছিলো তাঁর কাজ। যাহোক , ১৯৭৯ সালে ইমাম খোমেইনীর নেতৃত্বে ইসলামী বিপ্লবের মাধ্যমে ইরানে ২৫০০ বছরের রাজতন্ত্রের অবসান ঘটে এবং ইসলামী ইরানের জন্ম হয়। বিপ্লব - পরবর্তী ইরানে ভিজিট করেন আহমেদ দিদাত , সাক্ষাৎ করেন ইমাম খোমেইনীর সাথে এবং নিজদেশে ফিরে এসে ১৯৮২ সালের মার্চ মাসে তাঁর অনুভূতি তুলে ধরেন। আহমেদ দিদাতের নানা বিষয়ে বক্তব্য ও চিন্তাভাবনা বাংলা ভাষায় কিছু না কিছু পাওয়া যায়। কিন্তু শিয়া - সুন্নি ঐক্যের এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে তাঁর চমৎকার বক্তব্যের অনুবাদ কোথাও না পেয়ে সবার সাথে শেয়ার করার উদ্দেশ্যেই অনুবাদ করে ফেললাম। আরেকটি বিষয় উল্লেখ করা প্রয়োজন। মূল অডিও কোথাও কোথাও শুনতে বা বুঝতে অসুবিধা