সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

কোনদিন জাগিবে না আর...

(এই ব্লগটা দয়া করে কেউ পড়বেন না। যদিও ব্লগ একেবারেই ওপেন জিনিস, তবুও ইচ্ছা হচ্ছে এই ব্লগটা কেউ না পড়ুক। আমি এখানে কোনো বিশেষ কিছু লিখবো না, লিখবো না কোনো গোপন কথাও। বরাবরের মতই গান শুনতে শুনতে বা মিউজকি চালিয়ে লেখা ব্লগ ! পুরো ব্লগটাই বরাবরের মত। কিন্তু আপনি না পড়লে আমার ভালো লাগবে !)
(ধন্যবাদ ব্লগে আসার জন্য, একটা সুন্দর ছবি দেখুন : )

আজ আমি ক্লান্ত। বেশ ক্লান্ত। সিক্রেট গার্ডেনের nocturnal মিউজিকটা শুনতে শুনতে ব্লগ লিখছি। কী লিখব জানি না। কোনো কিছু লেখার উদ্দেশ্য নিয়ে বসি নি। উদ্দেশ্যহীন ডায়রিও লিখেছি আজ। সবই এই শূন্য আর এক - এ।

আজ BUBT ইউনিভার্সিটির সামনে যখন বাসের জন্য দাঁড়িয়ে ছিলাম, তখন সন্ধ্যা নেমেছে। রাস্তায় বেশ আলো-আঁধারির খেলা। রূপনগর শিয়ালবাড়ি না কী যেনো নাম জায়গাটার ? আজ রিকশাঅলা ভুল রাস্তায় চলে যাচ্ছিলো। এজন্যে পাঁচ টাকা বেশি দিতে হয়েছে।
সারাদিন আবহাওয়া ভালো ছিলো। এসি রুম থেকে বেরিয়ে রাস্তায় যখন হাঁটছি, তখন খারাপ লাগে নি।

আজ প্রচন্ড জ্যাম ছিলো রাস্তায়। অথচ ছুটির দিন -- শনিবার। বিহঙ্গ নামের বাসটা আমাকে ঝাঁকি দিয়ে রাস্তায় নামিয়ে দিলো।
এখানে রাস্তার আলো অন্যরকম। এই আলোয় টাকা আছে। চাঁদের আলো নামিয়ে আনা ফ্লাডলাইটের আলোর সাথে সোডিয়াম বাতির মায়াবী হলুদ আলো মিশে আছে এই আলোতে।
এখানে আমি অনেকটা রাস্তা হেঁটেছি। শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামের Entry -1 থেকে হেঁটে মিরপুর দশ নাম্বার পর্যন্ত গিয়েছি। Entry-3 হেঁটে পার করবার সময় গেইটের দিকে তাকিয়েছি। সেখানে মানুষ ভিড় করে আছে। তবু সেখানে ভুতগুলো চোখ এড়ায় নি। কতরকম ভুত ! সে ভুতকে বাক্সবন্দী করে লাভ নেই।
বাস থেকে যখন লাফ দিয়ে নামলাম, তখন আরো কতগুলো ভুত দেখলাম। এই কাজটা ঠিক না। অনুচিত। নিজের মাঝে বাঁধ ভেঙে যায়। তবু আমি দেখতে থাকি। বাঁধ ভাঙবার উপক্রম হলে আল্লাহ কাছে ক্ষমা চাই। আবার ভুত দেখি। ফুটপাথ দিয়ে হাঁটবার সময়। সোফায় বসে থাকলে। বইমেলায় নজরুলের বই দেখার সময়। বন্ধুদের সাথে ঢাকা ইউনিভার্সিটির পথে হাঁটবার সময়, যখন বন্ধু লিমন বলে -- "এই যে এই এই ফুলার রোড দিয়ে কত মানুষ হাঁটছে, সবার মনেই কত ভিন্ন ভিন্ন চিন্তা !"
হায়, তার গায়ে আর হাড়-মাংস চড়ে না। তারা আর জীবন্ত হয়ে ওঠে না।

যে মারা গিয়েছে, সে আর বেঁচে উঠবার নয়। মণিকোঠায় তার মূর্তিটা পাথর হয়ে গিয়েছে -- আমার নিজ হাতে গড়া কাদামাটির মূর্তি।


নূরে আলম,
ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০১২।

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

শিয়া-সুন্নি বিরোধ সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রশ্ন এবং উভয় পক্ষের জবাব

শিয়া-সুন্নি বিভেদ ও দ্বন্দ বহু পুরনো বিষয়। এই দ্বন্দ নিরসনে ইতিহাসে বহু দ্বীনি ব্যক্তিত্ব বৃহত্তর মুসলিম ঐক্য প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করেছেন। বিপ্লবের পরপর ডা. জাকির নায়েকের ওস্তাদ আহমদ দীদাত ইরানের যান এবং সেখান থেকে ফিরে এসে শিয়া-সুন্নি ঐক্য ডায়লগে তাঁর অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন, যা আমি এক সপ্তাহ আগে অনুবাদ করে প্রকাশ করেছিলাম । যা-ই হোক, এই দ্বন্দ নিশ্চিতভাবেই মুসলমানদের জন্য একটি নেতিবাচক ও দুর্বলতার দিক। এমনকি তা অনেককে চরমপন্থার দিকেও নিয়ে গিয়েছে। আগে যেই শিয়া-সুন্নি দ্বন্দ আলেমসমাজ ও কতিপয় জানাশোনা ব্যক্তির মাঝে সীমাবদ্ধ ছিলো, বর্তমান সহজ তথ্যপ্রযুক্তির যুগে তা প্রায় সকল লেভেলে ছড়িয়ে পড়েছে। দেখা যাচ্ছে যে, একদল আরেক দলকে এমন অনেক অভিযোগ করছে, যেগুলো হয়তো শিয়া-সুন্নি উভয় আলেমই অগ্রহণযোগ্য বলে বাতিল করে দেবেন। তবে তথ্যের অবাধ প্রবাহের একটি সুবিধা হলো, এতে মিথ্যার প্রচার যেমন অতি সহজ, তেমনি একইভাবে মানুষের দ্বারে সত্যকে পৌঁছে দেওয়াও খুব সহজ। আমি ব্যক্তিগতভাবে শিয়া ও সুন্নি উভয়কেই মুসলিম ভাই বলে গণ্য করি। কিন্তু তাদের বৃহত্তর ঐক্যে পৌঁছানোর ব্যর্থতা, পরস্পর শত্রুতা ও প্রেজ

ইমাম খোমেনীর জীবন : এক ইসলামী বিপ্লবের ইতিহাস

রুহুল্লাহর গল্প ইমাম আয়াতুল্লাহ রুহুল্লাহ আল মুসাভী আল খোমেনী। বিশ্ব ইমাম খোমেনীকে প্রথমবারের মত চিনেছে ১৯৭৮ সালের শেষাশেষি , যখন ইরানের রাজতন্ত্রের বিরোধিতা করার কারণে তিনি ফ্রান্সে নির্বাসিত ছিলেন। প্যারিসের অদূরে বসে ইরানের শাহ মুহাম্মদ রেজা পাহলভীর বিরুদ্ধে ইমাম খোমেনীর ঘোষিত যুদ্ধ এবং আমেরিকা বিরোধী কঠোর বক্তব্য এক অভূতপূর্ব মিডিয়া কাভারেজ এনে দিলো , এবং ইমামকে বিংশ শতকের অন্যতম বিপ্লবী চরিত্র হিসেবে পরিচিত করলো। পত্র - পত্রিকা আর নিউজ বুলেটিনে তাঁর ছবি ভরে উঠলো। এই ছবি বিশ্বের অসংখ্য মানুষের কাছে , বিশেষতঃ পশ্চিমা বিশ্বের কাছে নিতান্তই অপরিচিত ছিলো। সাদা দাড়ি এবং কালো পাগড়িধারী এই মানুষটিকে দেখে মনে হতো যেনো ইতিহাসের পাতা থেকে সময় অতিক্রম করে বর্তমানে চলে এসেছেন। তাঁর সমস্তকিছুই ছিলো নতুন আর অপরিচিত। এমনকি তাঁর নামটিও : রুহুল্লাহ। আর দুনিয়ার অসংখ্য পলিটিশিয়ান ও সাংবাদিকদের মনে যে প্রশ্নটি নাড়া দিয়ে যাচ্ছিলো , তা ছিলো : কী ধরণের বিপ্লবী মানুষ এই খোমেনী ?

শিয়া-সুন্নি ঐক্য ডায়লগ এবং আহমেদ দিদাতের ইরান অভিজ্ঞতা

(লেখাটি পিডিএফ আকারে ডাউনলোড করতে এখানে ক্লিক করুন। ) আহমেদ দিদাত ( ১৯১৮ - ২০০৫ ) এর নাম হয়তো অনেকের অজানা থাকবে। তবে ডা . জাকির নায়েকের নাম নিশ্চয়ই অজানা নয়। ডা . জাকির নায়েকের বর্তমান কর্মকাণ্ডের অনুপ্রেরণা হলেন আহমেদ দিদাত। আহমেদ দিদাত , যিনি কিনা ডা . জাকির নায়েকের নাম দিয়েছিলেন " দিদাত প্লাস " – পৃথিবীজুড়ে ঘুরে বেড়ানো এবং তুলনামূলক ধর্মতত্ত্ব নিয়ে লেকচার দেয়া ছিলো তাঁর কাজ। যাহোক , ১৯৭৯ সালে ইমাম খোমেইনীর নেতৃত্বে ইসলামী বিপ্লবের মাধ্যমে ইরানে ২৫০০ বছরের রাজতন্ত্রের অবসান ঘটে এবং ইসলামী ইরানের জন্ম হয়। বিপ্লব - পরবর্তী ইরানে ভিজিট করেন আহমেদ দিদাত , সাক্ষাৎ করেন ইমাম খোমেইনীর সাথে এবং নিজদেশে ফিরে এসে ১৯৮২ সালের মার্চ মাসে তাঁর অনুভূতি তুলে ধরেন। আহমেদ দিদাতের নানা বিষয়ে বক্তব্য ও চিন্তাভাবনা বাংলা ভাষায় কিছু না কিছু পাওয়া যায়। কিন্তু শিয়া - সুন্নি ঐক্যের এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে তাঁর চমৎকার বক্তব্যের অনুবাদ কোথাও না পেয়ে সবার সাথে শেয়ার করার উদ্দেশ্যেই অনুবাদ করে ফেললাম। আরেকটি বিষয় উল্লেখ করা প্রয়োজন। মূল অডিও কোথাও কোথাও শুনতে বা বুঝতে অসুবিধা