সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

রকমারি - ৪

"নিজের মতো" বলে যে একটা ব্যাপার আছে, সেটা বুঝতেই আমার অনেক সময় লেগেছে। স্বকীয়তাকে চিনেছি আমি অনেক দেরীতে।

আমরা ছয় ভাইবোন। প্লাস বাবা-মা -- এই আটজন মানুষ। প্রত্যেকেই "স্বকীয়তায়" ভরপুর। প্রত্যেকেই অপরের থেকে অনেক আলাদা। এর মাঝে ছোটবেলায়ই সেজাপুর তীব্র স্বকীয়তা প্রকাশ পেয়েছিলো। তার-ই বোধকরি সবচে' কমবয়েসে -- আর বাকিদের কথা অতটা মনে নেই, বলতে পারবো না।
যীনাত ছোটবেলায় অনেকটা ভ্যাবলাকান্ত টাইপের ছিলো। কিন্তু পরে বুঝলাম যে সে আসলে অভিনয় করতো, ঐসময় বোকা সেজে থেকে আমার সাথে সাথে ঘুরে আমার যত কর্ম-অপকর্ম রেকর্ড করতো, যেনো পরে ব্ল্যাকমেইল করা যায়। এদিকে আমার আবার অনেকটা এয়ারপ্লেনের ব্ল্যাকবক্সের মতো অবস্থা -- পুরনো দিনের কিছু মনে থাকে না। সেই সুযোগে আমার নামে বানোয়াট গল্পও চালিয়ে দেয় সে।
বাকি তিনজনও এক-একজন boss, কিন্তু সেকথা বলতে গেলে লেখা বড় হয়ে যাবে অনেক।

আমি দেখাদেখি boss হতে চাইতাম ছোটবেলায়। কিন্তু "নকল করা" কাজটা আমাদের পারিবারিক-ঘৃন্য-বিষয়। সুতরাং, স্বকীয়তা তৈরী করতেই হলো -- উপায় ছিলো না আর। নইলে আমি বাকি ভাইবোনদের নকল করেই চালিয়ে নিতাম বোধকরি। যাহোক, আমি boss না হলেও, clerk হয়েছি কোনোরকম। আমার কাজ হলো বাসার ইলেকট্রনিক জিনিসগুলো সারানো, মোবাইলে টাকা ভরে দেয়া, সবার কম্পিউটার সমস্যার সমাধান দেয়া, এমনকি কমোডের ফ্ল্যাশ লিভার ঠিক করা, অর্থাৎ কিনা -- "ছুইপার" :D

[বিজ্ঞাপন : কম্পিউটার সারাই -- ৫০০ টাকা
                 ইলেকট্রিক (!) এর কাজ -- ২০০ টাকা
                 ছুইপার -- করমু না ]

................................ ................................ ................................ ................................ ................................
ভাইয়া আমার নাম দিয়েছিলো "বুড়ো"। কী চিন্তা করে দিয়েছিলো তা তো আর জানি না, হয়তো তারও মনে নেই, কিন্তু এই নামটা কিভাবে যেনো আমার সাথে বেশ মিলে গেলো। এখন আমি অফিশিয়ালি নিজেকে বৃদ্ধ ডিক্লেয়ার করে দিয়েছি :D

"চিন্তা করা" হলো আমাদের ভাইবোনদের; আসলে ফ্যামিলির সবচে' বড় কাজ। কিছুদিন আগে বেশ রাত জেগে চ্যাটিং করছিলাম, ফজরের বেশি বাকী নেই, সারা বাসা ঘুমে -- হঠাৎ যীনাত এসে রুমে ঢুকলো।
-- কী ব্যাপার ?
-- চিন্তার জ্বালায় ঘুমাতে পারলাম না। একটা কাগজ দেন তো।
:P

সেদিন চিন্তা করে বুঝতে পারলাম, বেশি চিন্তা করার কারণেই আমার বার্ধক্য চলে এসেছে এত তাড়াতাড়ি। আর এখন ফেরারও কোনো পথ নেই। বড়াপুর ঐ ডায়লগটার মতো -- "একবার সচেতন হলে আর ফেরার পথ থাকে না।"
:D

বাসায় টিভি নাই। আমি ছোট থাকতেই সাদাকালো বাটারফ্লাই টিভিটা নষ্ট হলো। আর সারানো হয় নি, কেনাও হয় নি। বেশ হয়েছে। জীবনের বহু ঘন্টা বেঁচে গিয়েছে। সেগুলোকে বেহুদা চিন্তা ভাবনা আর আলোচনা-তর্ক-বিতর্কে ব্যয় করেছি। এখন যখন নেটে ফ্রেন্ডের সাথে চ্যাটিং করতে করতে শুনি -- "এখন ২০ মিনিট টিভি দেখবো। তারপর শুয়ে পড়বো", তখন বিরক্ত লাগে। মনে হয় -- এতবড় নিরর্থক কাজটা সারা দুনিয়াব্যাপী মানুষ কিভাবে নিয়ত করে চলেছে ?
কলেজের এক ক্লাসমেটকে হঠাৎ বেশ রাতে অনলাইন দেখলাম। সে-ই আমাকে নক করলো :
-- খেলা দেখবা নাকি যে এত রাত জেগে আছো ?
-- আমি খেলা বুঝি না। আমার বাসায় টিভি নাই।
-- কী বললা ? Is it possible ?
-- হুম। আমি ক্রিকেট বুঝি না। দেখিও না। ইন্টারেস্ট পাই না। আর বাসায় টিভি নাই।
-- কী বলো ভাই ! কেনো ? ফুটবল দেখো ?
-- ফুটবলও দেখি না। মজা লাগে না, কী করবো। আর টিভি খারাপ জিনিষ। বাসায় না থাকাই ভালো।
-- তাবলিগ ধরসে নাকি ???

বেশতো। টিভি না দেখলে তাবলিগ ধরেছে। আরে বেটা, বার্ধক্য ধরেছে। এই রোগের নাম জরা, তাবলিগ নয় !

গত শনিবার রিকশায় করে তিনজন গুলশান-২ নাম্বার যাচ্ছি। নাহিদ বলছে, "ইদানিং মাসুদ কেমন জানি শান্ত হয়ে গেসে।"
শুনেতো আমি রিকশা থেকে পড়ে গিয়ে আবার উঠে বসলাম -- বলে কী !

আসল ব্যাপার হলো গত কয়দিনে বয়স বেড়েছে অনেক বেশি। এজন্যে কথা-কর্মে সংযম পালনের চেষ্টা করি। আর আল্লাহর নাম নেওয়ার চেষ্টা করি -- কখন মারা যাই বলা যায় না। :-(

কম্পিউটার ব্যবহার করতে টেবিলে বসতে ইচ্ছা করে না। কিন্তু ল্যাপটপ কোলে নিয়ে বসা নাকি আবার ক্ষতিকর। চিন্তা করেছি যে ডেন্টিস্টদের চেয়ারের মত একটা বিশাল বিছানা-চেয়ার বানিয়ে নেবো, যার নানান জায়গায় টিপ দিলে প্রয়োজনীয় নানান জিনিস চলে আসবে। ল্যাপটপও হাতের সামনে পারফেক্ট পজিশনে চলে আসবে। তারপর ঘুম চলে আসলে ঐ অবস্থাতেই ঘুমিয়ে পড়বো। আবার ঘুম ভেঙে উঠেই হাতের সামনে ল্যাপটপ। আবার সুইচ চাপ দিলেই খাবার + পানি। বেশ হবে।

যীনাতের জন্মদিন গেলো ক'দিন আগে। সে ইউনিভার্সিটিতে উঠে মানুষকে জাদু করতে শুরু করেছে। আমরা তেমন কেউ-ই এখন আর ঐ ব্যবসা করি না, কিন্তু সে চালিয়ে যাচ্ছে। ফলস্বরূপ আশি পিস গোলাপের তোড়া, গাছ, বই, ডায়রিসহ বহুত কিছু গিফট পেয়েছে। তাই দেখে মেজাপু বলেছে, "আমার সামনে জন্মদিন আসছে, আমি সবাইকে ফোন করে বলবো গিফট দিতে !"

আমার গিফট পেতে ইচ্ছা করে না। একসময় ইচ্ছা ছিলো। এখন দিতেই মন চায় বেশি। মনে হয়, গিফট পেলে মানুষটা কত আনন্দিত হবে। চমকিত হবে। খুশি হবে। সেই খুশি-খুশি চেহারার কল্পনা করেই সুখে ভাসি।

"খাওয়া" কাজটা আমার কাছে প্রায়ই ক্লান্তিকর। কিছু হলেই সবাই বলে -- "চলো খাই" কিংবা "খাওয়াও !"
তখন আবার সবাই মিলে রেস্টুরেন্ট যাওয়া। বার্গার কিংবা এইজাতীয় খাবারের অর্ডার দিয়ে বসে থাকা। খাবার এলে বসে বসে খাওয়া। তখন আমার নিজেকে বোকা-বোকা লাগে। কল্পনায় নিজেকে দেখি -- বৃদ্ধ মানুষের মত ধীরে ধীরে চিবিয়ে থুতনি নাড়িয়ে অনেক সময় নিয়ে বার্গার খাচ্ছে, আর একটু পরপর শুকনা গলায় গিলছে। আমার আবার গ্রাস ছোটো, বার্গারের মত অভদ্র-মোটা খাবার খেতে গেলে গালে লেগে যায়। সময়ও লাগে অনেক।
"খাওয়া" কাজটার উদ্দ্যেশ্যে যে সবাই মিলে কোথাও যাওয়া যেতে পারে, এবং আর কোনো কথা / কাজ নেই -- শুধুই খাওয়া বসে বসে -- বিষয়টা আমার কাছে এখনও অদ্ভুত। তবুও সবার সাথে যেতে হয়, তাই যাই।

বাইরে ঘুরতে যেতেও আমার ইচ্ছা করে না। আগ্রহ পাই না। বোটানিক গার্ডেন কিংবা কোনো পার্ক -- সবার সাথে যেতে হয় বলেই যাওয়া -- নইলে শুধু শুধু রাস্তা / গাছের নিচ দিয়ে হাঁটার কী মানে ! উদ্দ্যেশ্যহীন ঘোরাঘুরি।
তবে শেরেবাংলানগরে জিয়া উদ্যান জায়গাটা আমার ভালো লাগে। সেখানে হাঁটলে এইসব বার্ধক্য-চিন্তা সম্ভবত দূর হয়ে যায়। যতবারই সেখানে যাই, খারাপ লাগে না। এটা ব্যতিক্রম।

আমার ভালো লাগে কথা বলতে। বসে বসে গল্প করতে। নতুন নতুন মানুষকে জানতে। আমার এতেই আনন্দ। যদি কথা বলার একটা চাকরি পেতাম, তাহলে আর ঘর থেকে বেরই হতাম না। সারাদিন কথা বলেই কাটিয়ে দিতাম। যাহোক, তেমন সুযোগ নেই। সুতরাং আমাকে কম্পিউটার এঞ্জিনিয়ার হতে হবে।




[ ব্লগ এখানেই শেষ, কারণ শেষ করতে পারছি না ]




নূরে আলম
সেপ্টেম্বর ৭, ২০১২।

মন্তব্যসমূহ

  1. বুড়া ব্লগারের প্রতি কতগুলো অভিযোগ আছে আমার -
    ১. আমি ভ্যাবলাকান্ত ছিলাম না।
    ২. আমি বোকা সেজে অভিনয় করতাম না। ছোটবেলায় অভিনয় করার কাজটা 'মাতুত' ছাড়া আর কেউ করত না।
    ৩. আপনার নামে আমি বানোয়াট গল্প বলি না। (আপনার জীবনের অপমানজনক ঘটনাগুলো নিয়ে ব্লগ লিখে দেব, তখন বুঝবেন মজা!)
    ৪. চিন্তার জ্বালায় আমার ঘুম না হবার কথা আপনার ব্লগে লেখার আগে অনুমতি নিয়েছেন?? এজন্যে টাকা দিতে হবে।
    ৫. আমি মানুষকে জাদু করে গিফট আনি নাই। এইধরনের মারাত্মক অভিযোগের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।

    (ব্লগ পড়ে হাসতে হাসতে আমি শেষ। তবে আপনি যে ছোয়েপার :) এইটা প্রকাশ করার জন্য সাধুবাদ)

    উত্তরমুছুন
    উত্তরগুলি
    1. আমাকে নিয়ে লেখো, আবার আমি তোমাকে নিয়ে লিখবো। ডায়রির ফিতার সুতা যেমন টানলে বের হতেই থাকে, তেমন দুই জনেরই কাহিনী বের হতে থাকবে। তারচেয়ে ভালো চুক্তি করি :-)

      মুছুন
  2. এই যে বার্ধক্য ভালোই লিখেছো । যীনাতকে পড়িয়েছো তো দেখ তোমাকে ও মামলা দিয়ে দিবে । আর মানুষের ভাল লাগা বিভিন্ন হতে পারে তবে তোমার টা বাদে অন্য গুলাকে ছোট করে দেখার কিছু নাই । কারো হয়তো মাঝে মাঝে ঘুরতে ভালো লাগে কারো হয়ত খেলা দেখতে ভালো লাগে । তবে তুমি মানুষের সাথে কথা বলতে ভালবাসো নতুন কারো সম্মন্ধে জানতে ভালবাসো এটা ভাল .......
    আর একটা বিষয় বার্ধক্য আসলে মনের ব্যাপার তুমি তোমার মনকে ঠিক করো তো সব ঠিক.

    উত্তরমুছুন
  3. তোমাকে একটা বিয়ে করালেই তোমার সব বার্ধক্য কেটে যাবে:P

    উত্তরমুছুন

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

[ব্লগে কমেন্ট পোস্ট করার পরও যদি না দেখায়, তাহলে দ্বিতীয়বার পোস্ট করার প্রয়োজন নেই। খুব সম্ভবত স্প্যাম গার্ড সেটাকে সরিয়ে নিয়েছে, আমি পাবলিশ করে দেবো।]

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

শিয়া-সুন্নি বিরোধ সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রশ্ন এবং উভয় পক্ষের জবাব

শিয়া-সুন্নি বিভেদ ও দ্বন্দ বহু পুরনো বিষয়। এই দ্বন্দ নিরসনে ইতিহাসে বহু দ্বীনি ব্যক্তিত্ব বৃহত্তর মুসলিম ঐক্য প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করেছেন। বিপ্লবের পরপর ডা. জাকির নায়েকের ওস্তাদ আহমদ দীদাত ইরানের যান এবং সেখান থেকে ফিরে এসে শিয়া-সুন্নি ঐক্য ডায়লগে তাঁর অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন, যা আমি এক সপ্তাহ আগে অনুবাদ করে প্রকাশ করেছিলাম । যা-ই হোক, এই দ্বন্দ নিশ্চিতভাবেই মুসলমানদের জন্য একটি নেতিবাচক ও দুর্বলতার দিক। এমনকি তা অনেককে চরমপন্থার দিকেও নিয়ে গিয়েছে। আগে যেই শিয়া-সুন্নি দ্বন্দ আলেমসমাজ ও কতিপয় জানাশোনা ব্যক্তির মাঝে সীমাবদ্ধ ছিলো, বর্তমান সহজ তথ্যপ্রযুক্তির যুগে তা প্রায় সকল লেভেলে ছড়িয়ে পড়েছে। দেখা যাচ্ছে যে, একদল আরেক দলকে এমন অনেক অভিযোগ করছে, যেগুলো হয়তো শিয়া-সুন্নি উভয় আলেমই অগ্রহণযোগ্য বলে বাতিল করে দেবেন। তবে তথ্যের অবাধ প্রবাহের একটি সুবিধা হলো, এতে মিথ্যার প্রচার যেমন অতি সহজ, তেমনি একইভাবে মানুষের দ্বারে সত্যকে পৌঁছে দেওয়াও খুব সহজ। আমি ব্যক্তিগতভাবে শিয়া ও সুন্নি উভয়কেই মুসলিম ভাই বলে গণ্য করি। কিন্তু তাদের বৃহত্তর ঐক্যে পৌঁছানোর ব্যর্থতা, পরস্পর শত্রুতা ও প্রেজ

ইমাম খোমেনীর জীবন : এক ইসলামী বিপ্লবের ইতিহাস

রুহুল্লাহর গল্প ইমাম আয়াতুল্লাহ রুহুল্লাহ আল মুসাভী আল খোমেনী। বিশ্ব ইমাম খোমেনীকে প্রথমবারের মত চিনেছে ১৯৭৮ সালের শেষাশেষি , যখন ইরানের রাজতন্ত্রের বিরোধিতা করার কারণে তিনি ফ্রান্সে নির্বাসিত ছিলেন। প্যারিসের অদূরে বসে ইরানের শাহ মুহাম্মদ রেজা পাহলভীর বিরুদ্ধে ইমাম খোমেনীর ঘোষিত যুদ্ধ এবং আমেরিকা বিরোধী কঠোর বক্তব্য এক অভূতপূর্ব মিডিয়া কাভারেজ এনে দিলো , এবং ইমামকে বিংশ শতকের অন্যতম বিপ্লবী চরিত্র হিসেবে পরিচিত করলো। পত্র - পত্রিকা আর নিউজ বুলেটিনে তাঁর ছবি ভরে উঠলো। এই ছবি বিশ্বের অসংখ্য মানুষের কাছে , বিশেষতঃ পশ্চিমা বিশ্বের কাছে নিতান্তই অপরিচিত ছিলো। সাদা দাড়ি এবং কালো পাগড়িধারী এই মানুষটিকে দেখে মনে হতো যেনো ইতিহাসের পাতা থেকে সময় অতিক্রম করে বর্তমানে চলে এসেছেন। তাঁর সমস্তকিছুই ছিলো নতুন আর অপরিচিত। এমনকি তাঁর নামটিও : রুহুল্লাহ। আর দুনিয়ার অসংখ্য পলিটিশিয়ান ও সাংবাদিকদের মনে যে প্রশ্নটি নাড়া দিয়ে যাচ্ছিলো , তা ছিলো : কী ধরণের বিপ্লবী মানুষ এই খোমেনী ?

শিয়া-সুন্নি ঐক্য ডায়লগ এবং আহমেদ দিদাতের ইরান অভিজ্ঞতা

(লেখাটি পিডিএফ আকারে ডাউনলোড করতে এখানে ক্লিক করুন। ) আহমেদ দিদাত ( ১৯১৮ - ২০০৫ ) এর নাম হয়তো অনেকের অজানা থাকবে। তবে ডা . জাকির নায়েকের নাম নিশ্চয়ই অজানা নয়। ডা . জাকির নায়েকের বর্তমান কর্মকাণ্ডের অনুপ্রেরণা হলেন আহমেদ দিদাত। আহমেদ দিদাত , যিনি কিনা ডা . জাকির নায়েকের নাম দিয়েছিলেন " দিদাত প্লাস " – পৃথিবীজুড়ে ঘুরে বেড়ানো এবং তুলনামূলক ধর্মতত্ত্ব নিয়ে লেকচার দেয়া ছিলো তাঁর কাজ। যাহোক , ১৯৭৯ সালে ইমাম খোমেইনীর নেতৃত্বে ইসলামী বিপ্লবের মাধ্যমে ইরানে ২৫০০ বছরের রাজতন্ত্রের অবসান ঘটে এবং ইসলামী ইরানের জন্ম হয়। বিপ্লব - পরবর্তী ইরানে ভিজিট করেন আহমেদ দিদাত , সাক্ষাৎ করেন ইমাম খোমেইনীর সাথে এবং নিজদেশে ফিরে এসে ১৯৮২ সালের মার্চ মাসে তাঁর অনুভূতি তুলে ধরেন। আহমেদ দিদাতের নানা বিষয়ে বক্তব্য ও চিন্তাভাবনা বাংলা ভাষায় কিছু না কিছু পাওয়া যায়। কিন্তু শিয়া - সুন্নি ঐক্যের এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে তাঁর চমৎকার বক্তব্যের অনুবাদ কোথাও না পেয়ে সবার সাথে শেয়ার করার উদ্দেশ্যেই অনুবাদ করে ফেললাম। আরেকটি বিষয় উল্লেখ করা প্রয়োজন। মূল অডিও কোথাও কোথাও শুনতে বা বুঝতে অসুবিধা