সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

2016 থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

The Traveler and the Stranger

1. The traveler said, "here, have some water." The stranger did not know his language, but smiled at him after drinking the water. He was so thirsty! If only eyes could talk, the stranger's eyes were saying, "Thank you, traveler. I love you." The traveler replied, "I love you too." (November 4, 2016) 2. The traveler said, "Oh, what a beautiful day it is! It's sunny outside." The stranger asked, "What it feels like to be out in the sun? And how the world appears in sunlight?" For he was a blind man, he did not have vision. The traveler replied, "Come! I'll take you out in the sun. Perhaps you will feel it too." Then they sat on grass under the warm sunlight of winter. The stranger had his eyes closed, but he could almost see it in the warmth of the sun, as the traveler kept on describing: "The yellow leaves on the trees are looking like gold plates, a white dove just flew over us, and it...

Life in Estonia...

আমার এখানে এখন রাত। জানালা দিয়ে তাকালে রাস্তা দেখা যায়। মাঝে মধ্যে দুই একটা গাড়ি যাচ্ছে, কিংবা লাক্স এক্সপ্রেস এর মত বড় বাস। সকাল হলেই গাড়ির সংখ্যা একটু বেড়ে যাবে, সেইসাথে বাইক, সাইকেল, ইত্যাদি। তবু খুব বেশি না। কোনো হর্ন শুনতে পাইনি আজ পর্যন্ত; এস্টোনিয়াতে এসেছি তিনদিন হলো। আমার জানালা থেকে নদী দেখা যায়, দুই মিনিটের পথ। ছোট্ট নদী, কিন্তু এরা খুব সুন্দর করে বাঁধাই করে রেখেছে দুই পাড়। একটু পরপর পার্ক আর সেখানে বসার বেঞ্চি। পাথরের ফুটপাথ। রাস্তার দুইপাশে তো বটেই, এমনকি ছোট পায়েচলা পথগুলিতে পর্যন্ত স্ট্রিট লাইট। মায়াবী নিয়ন আলো। তাই দেখে ছোটবেলার কত স্মৃতি মনে পড়ে যায়! গভীর রাতে নিয়ন আলোয় আর দিনেরবেলা সূর্যের আলোয় এখানের রাস্তা, ফুটপাথ ইত্যাদি ছোটবেলার কিছু স্মৃতি জাগিয়ে তোলে। কত্ত সুন্দর জায়গা! এসব গল্প আর নতুন করে করার কী আছে? ইউরোপ আমেরিকার বহু দেশেই এমনটা আছে। সবকিছু পরিপাটি সুন্দর, গোছানো, নিয়মতান্ত্রিক। দুনিয়ার বহু দেশেই আছে। 'থাকার' জন্য খুব সুবিধাজনক আর আরামদায়ক। কিন্তু তাতে কী? Home is where heart is -- আমার মনে হয় কিছুদিন পরেই আমি আবার বাসায় ফিরে যাব, আমার রুমে গিয়...

গাদীরে খুমের উপেক্ষাই মুসলমানদের দূর্দশার কারণ

গাদীরে খুমের উপেক্ষাই মুসলমানদের দূর্দশার কারণ। এবং দুঃখজনক হলেও সত্য, এর গোটা ব্যাপারটাই মুসলমানদের in-house ব্যাপার; বহিঃশত্রুর কোনো হস্তক্ষেপে নয়। গাদীরে খুমের ঘটনা কী? মহানবী (সা.) তাঁর জীবনের শেষ হজ্জ্ব শেষে ফিরবার পথে ১৮ই জিলহজ্জ্ব তারিখে গাদীরে খুম নামক স্থানে থামলেন এবং সকল সাহাবীকে একত্র হবার নির্দেশ দিলেন। সেখানে তিনি ইমাম আলী (আ.)-কে সাথে নিয়ে মঞ্চে উঠে একটি সংক্ষিপ্ত ভাষণ দিলেন। এই ভাষণে মুসলিম উম্মাহর জন্য গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা ছিল। তার মাঝে প্রথমটি ছিল "কুরআন ও আহলে বাইতের" অনুসরণের আদেশ, এবং দ্বিতীয়টি ছিল "ইমাম আলী(আ.) এর অভিষেক", অর্থাৎ হযরত আলী (আ.) কে মুসলিম জাতির মওলা ঘোষণা করা। [মওলা শব্দের অনেক অর্থ হয়, যেমন মনিব, বন্ধু, অভিভাবক, শাসক ইত্যাদি।] "কুরআন ও আহলে বাইত" বিভিন্ন সহীহ সূত্রে বর্ণিত, হাদীসে সাকালাইন নামে পরিচিতি এই হাদীসের মূল কথাটি মোটামুটি এরকম: নবীজি (সা.) বললেন, "আমি তোমাদের মাঝে দুটি গুরুত্বপূর্ণ/ভারী/মূল্যবান বস্তু রেখে যাচ্ছি, আমি দেখব তোমরা এর সাথে কী আচরণ করো।" এরপর তিনি বললেন, "একটি...

বেহেশতের রঙ অথবা বাঁশিওয়ালার গল্প

বহুকাল যাবৎ মানুষ সুরের সন্ধান করে আসছে। সেজন্যে বানিয়েছে কত বাদ্যযন্ত্র, লিখেছে কত গান, কত সুর। তবু মনে শান্তি নেই। এক গান শেষে আরেক গান। এক সুর ছেড়ে আরেক সুর। অস্থির অশান্ত মানব মন। সব গান আর সব সুর শোনা শেষ হয়, তবু তৃপ্তি নেই। ..... ..... ..... ..... ..... ..... ..... ..... ..... ..... তারপর একদিন সব গান আর সুরের জগত মন্থন শেষে সুরপাগল শুনল নতুন এক সুর। পাখির গান, পাতার শব্দ, জলের কোলাহল আর মাটির ঘ্রাণের সাথে শিশিরভেজা ঘাসের স্পর্শ আর ভোরের আলো-আঁধারির লুকোচুরি একত্রে মিশালে হয় সেই সুর। আর সুশীতল এক বাতাস বয়ে নিয়ে যাবে সেই সুরকে। সেই সুরেলা বাতাসের গতি অনুসরণ করে সুরপাগল পৌঁছে গেল সাত আসমানের ‘পার। খোদার আরশ আছে সেইখানে। সুরপাগল তখন দেখে বেহেশতের রঙ। ..... ..... ..... ..... ..... ..... ..... ..... ..... ..... খোদাতায়ালা কথা বলেন না। তিনি কেবল ইশারা করেন। তিনি হাসেন। ভালোবাসেন। মানব-হৃদয়ের গভীরে, রক্তে ঢেউ তোলেন। তিনি সুরপাগলের নাম দিলেন বাঁশিওয়ালা। বাঁশিওয়ালা ফিরে আসে। মানুষকে ডেকে বলে, খোদাতায়ালা আমার নাম দিয়েছেন বাঁশিওয়ালা। আমাকে শিখিয়েছেন সুর। এসো, আমরা একসাথ...

আধ্যাত্মিক যাত্রার পূর্বপ্রস্তুতি

ভূমিকা বেশ কিছুদিন যাবৎ মানুষের হৃদয়ের জগত সম্পর্কে কিছু লেখার কথা ভাবছিলাম। অর্থাৎ, আধ্যাত্মিক বিষয়াবলী, এবং আধ্যাত্মিক উন্নতি ও চর্চার কিছু পথ। অথচ সেটা কিভাবে সম্ভব? যেখানে আল্লাহ তায়ালা নিজেই এই বিষয়গুলিকে প্রকাশ্য করেননি, বরং লুকিয়ে রেখেছেন কুরআনের বিভিন্ন আয়াতের আড়ালে। আমরা জানি যে, ব্যাখ্যায় মূলভাবের মান কমে যায়। তবু আল্লাহ তায়ালা কুরআন দিয়েছেন, আবার তার ব্যাখ্যাকারকও দিয়েছেন। নাযিল অর্থ অবতরণ, নেমে আসা, উঁচু থেকে নিচুতে নামা। সদাজ্ঞানী আল্লাহপাকের থেকে মুহাম্মদ (সা.) এর অন্তরে যখন “ভাব” প্রদান করা হলো, তখনই তার মান কমে গেল, কেননা তাকে মানব-হৃদয়ে ধারণ করার মত করে আল্লাহপাক ব্যাখ্যা করলেন। তবু সেটা সর্বোচ্চ পর্যায়, কেননা কোন নূরই মুহাম্মদী নূরের সমান হতে পারে না। এরপর মহামানব মুহাম্মদ (সা.) যখন তাঁর অন্তরের এই ভাবকে আল্লাহর আদেশক্রমে সর্বোন্নত ভাষা আরবীতে প্রকাশ করলেন, তখন তার মান আরো কমে গেলো। আমরা পেলাম মহাগ্রন্থ আল কুরআন। সেই কুরআনেই যখন আধ্যাত্মিক বিষয়াবলীকে আমরা লুক্কায়িত দেখতে পাই, তবে প্রকৃত মহাসত্য না জানি কী রকম! এরপর যুগে যুগে ওলী-আউলিয়া, বড় বড় আ’রেফ -- তাঁরা নিজ...