তোমরা বাড়ি পৌঁছে গেছ?
আমি কিন্তু এখনও ডিপার্চার লাউঞ্জে।
এখানে অনেক মানুষ
আমার দিকে তাকিয়ে মৃদু হাসে
হাত বাড়িয়ে -- হ্যান্ডশেইক করে।
আমি বাঁ-হাতটা বাড়িয়ে দেই
আমার মুঠো করা ডান হাতটার দিকে তাকিয়ে,
ওরাও হাত বদল করে।
ওরাতো জানে না, কতটা লুকিয়ে কয়েক বিন্দু অশ্রুজল এনেছি আমি!
তোমরা বাড়ি পৌঁছে গেছ?
আমি কিন্তু এখনও ডিপার্চার লাউঞ্জে।
হাতের মুঠোয় কয়েক বিন্দু অশ্রুজল খেলা করে!
এখানেও শিশুরা হাসে
ছুটে বেড়ায় এদিক-ওদিক,
দৌড়ে আসে কাছে, আবার হেসে চলে যায়: খেলছে, আপন-মনে।
অথচ ওরাতো জানে না
শেকড় কেটে নেয়া হয়েছে ওদের --
এ-যে ডিপার্চার লাউঞ্জ, এখান থেকে যে কেউ আর ফিরে যায় না!
তেমনি এক শিশু ছুটে আসে কাছে
দু-হাত বাড়িয়ে, আলিঙ্গনে নিতে যেয়েও নিজেকে না-বলে উঠি।
কিভাবে? এ দেহে যে তোমাদের আলিঙ্গনের ছাপ!
তোমরা বাড়ি পৌঁছে গেছ?
আমি কিন্তু এখনও ডিপার্চার লাউঞ্জে।
চোখ বুঁজলে তোমাদের আলিঙ্গন এখনও অনুভবে আসে!
প্রিয়মুখ -- চোখে ভাসে,
শেষ চুম্বন রক্তে দোলে
আলিঙ্গনে বাঁচবার ইচ্ছা প্রবল হয়ে উঠলে ‘পরে
বোর্ডিঙের ডাক চলে আসে।
তোমরা বাড়ি পৌঁছে গেছ?
আমি কিন্তু এখন বোর্ডিঙের পথে।
অশ্রুজল -- শুকিয়ে গেছে।
নিজেকে আবিষ্কার করি কোনো এক শ্বেত-শুভ্র আলিঙ্গনে,
ভালোবাসার সব চিহ্ন মুছে নিয়ে যায় সে।
________________________________
ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ঢাকা
উপরের ছবিটা অনেক সুন্দর । লেখাটাও চমৎকার ।
উত্তরমুছুন