কারেন্ট চলে গেলে মোম জ্বালানো হতো, আর সে মোম গলে পড়ে মেঝেতে কিংবা টেবিলের উপর ছোট্ট গোল আকৃতি তৈরী করত। কারেন্ট আসলে সবাই ফুঁ দিয়ে সবগুলো রুমের মোম নিভাতো। আর আগে থেকেই আমাদের ভাই-বোনদের ডিক্লেয়ার করা থাকত: কোন মোমের গলে পড়া অংশ কে নেবে; মোম নিভানোর পর ঠাণ্ডা হয়ে যেত দুই মিনিটেই, আর সেগুলো যে যারটা নিয়ে নিতাম।
তো, এরকম বিভিন্ন 'সম্পদ' থাকত আমাদের। এমনকি স্কুলে পড়ি, তখনও। একবার সেজাপুর বার্থডেতে আমি আর আমার ছোটবোন মিলে একটা গিফট দিলাম। 'প্রজাপতি ম্যাচ' এর একটা খালি বাক্স, তার ভিতরে একটা পোড়া ম্যাচের কাঠি, এবং ঐ গলে পড়া সবচে সুন্দর শেপ-এর এক টুকরা মোম।
সেজাপুও যত্ন করে সেটা রেখে দিল। আমরা সবাই-ই কিন্তু তখন স্কুলে পড়ি, প্রাইমারিতে।
মোর্শেদের সাথে কথা হচ্ছিল, হঠাৎ সেই 'উপহার' এর কথা মনে পড়ল।
ও বলছে, "নাসিমের বাসায় আজকে রান্না হয়নি, ওকে নিয়ে আসলাম, ও আর একজন গেস্ট মিলে আমার খাবারটা অর্ধেক করে খেল, আর আমি ন্যুডলস রান্না করে খেলাম, তেল ছিল না, পানিতে সেদ্ধ ন্যুডলস।"
আমি বললাম, "বাহ! কী সুন্দর।"
সুন্নাহ মোতাবেক খাওয়া: "একজনের খাবার দুইজনের জন্য যথেষ্ট"। আর, যেমন খাবারই থাকুক, প্রতিটা খাবারই 'আল্লাহর পক্ষ থেকে উপহার', তাই সন্তুষ্টচিত্তে তৃপ্ত হয়ে আনন্দ সহকারে খাওয়া।
যে ভালোবাসার সম্পর্কে আন্ডারস্ট্যান্ডিং ভালো থাকে, সেখানে 'পোড়া ম্যাচের কাঠি, ম্যাচবক্স আর গলে-পড়া-মোম' উপহার হতে পারে, আবার অপরদিকে সেটা কৃতজ্ঞতাসহকারে 'উপহার হিসেবে গৃহীত'-ও হয়।
আমাদের গোটা জীবনটাই আল্লাহর পক্ষ থেকে উপহার: সুখ-দুঃখ, খাদ্য-ক্ষুধা, শক্ত মাটি কিংবা আরামদায়ক বিছানা --
খোদাতায়ালার সাথে যাঁদের সেই আন্ডারস্ট্যান্ডিং থাকে, তাঁরা দিনশেষে পোড়া ভাত খেয়েও মুচকি হাসেন, তারপর শক্ত মাটির 'পর শুয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। দামী খাবার-বিছানাতেও তাঁদের সেই মুচকি হাসি বদলায় না। কারণ তাঁরা উপহারকে ছাপিয়ে উপহারদাতাকে দেখতে শিখেছেন। খোদাপ্রেমিকেরা যে "প্রতি নিঃশ্বাসে নবজীবন লাভের" কথা বলেন, এটাই হলো সেই রহস্য; কেননা প্রতিটা নিঃশ্বাসও আল্লাহপাকেরই উপহার।
পোড়া ম্যাচের কাঠি দিয়ে মানুষে-মানুষে ভালোবাসা আদান-প্রদান করতে শিখেছি আমরা, একদিন পোড়া ভাত আর মাটির বিছানা দিয়েও তা করতে শিখব। হয়ত!
…………………………………………………………………………
"তোমার প্রতি ভালোবাসার রসায়ন থেকে (হে খোদা!)
আমার ধূলিময় চেহারা হয়েছে ঝলমলে স্বর্ণ।
হ্যাঁ, তোমার দয়ার আশীর্বাদে ধূলিও হয়ে যায় স্বর্ণ।"
-- মহাকবি হাফিজ।
এইযে রাসয়ন, যা সবাই খুঁজে বেড়াচ্ছে -- এই ভালোবাসাই হলো সেই জিনিস। বাকিগুলো হলো উচ্ছিষ্ট।
এখন চিন্তা করে দেখো, কেনো লোকে বলে:
"ধুয়ে মুছে ফেলো তোমার যত বই,
যদি আমরা যা পড়ি, তুমিও তা-ই পড়ো।
কারণ ভালোবাসার জ্ঞান কোনো কিতাবে নেই।"
তো, এরকম বিভিন্ন 'সম্পদ' থাকত আমাদের। এমনকি স্কুলে পড়ি, তখনও। একবার সেজাপুর বার্থডেতে আমি আর আমার ছোটবোন মিলে একটা গিফট দিলাম। 'প্রজাপতি ম্যাচ' এর একটা খালি বাক্স, তার ভিতরে একটা পোড়া ম্যাচের কাঠি, এবং ঐ গলে পড়া সবচে সুন্দর শেপ-এর এক টুকরা মোম।
সেজাপুও যত্ন করে সেটা রেখে দিল। আমরা সবাই-ই কিন্তু তখন স্কুলে পড়ি, প্রাইমারিতে।
মোর্শেদের সাথে কথা হচ্ছিল, হঠাৎ সেই 'উপহার' এর কথা মনে পড়ল।
ও বলছে, "নাসিমের বাসায় আজকে রান্না হয়নি, ওকে নিয়ে আসলাম, ও আর একজন গেস্ট মিলে আমার খাবারটা অর্ধেক করে খেল, আর আমি ন্যুডলস রান্না করে খেলাম, তেল ছিল না, পানিতে সেদ্ধ ন্যুডলস।"
আমি বললাম, "বাহ! কী সুন্দর।"
সুন্নাহ মোতাবেক খাওয়া: "একজনের খাবার দুইজনের জন্য যথেষ্ট"। আর, যেমন খাবারই থাকুক, প্রতিটা খাবারই 'আল্লাহর পক্ষ থেকে উপহার', তাই সন্তুষ্টচিত্তে তৃপ্ত হয়ে আনন্দ সহকারে খাওয়া।
যে ভালোবাসার সম্পর্কে আন্ডারস্ট্যান্ডিং ভালো থাকে, সেখানে 'পোড়া ম্যাচের কাঠি, ম্যাচবক্স আর গলে-পড়া-মোম' উপহার হতে পারে, আবার অপরদিকে সেটা কৃতজ্ঞতাসহকারে 'উপহার হিসেবে গৃহীত'-ও হয়।
আমাদের গোটা জীবনটাই আল্লাহর পক্ষ থেকে উপহার: সুখ-দুঃখ, খাদ্য-ক্ষুধা, শক্ত মাটি কিংবা আরামদায়ক বিছানা --
খোদাতায়ালার সাথে যাঁদের সেই আন্ডারস্ট্যান্ডিং থাকে, তাঁরা দিনশেষে পোড়া ভাত খেয়েও মুচকি হাসেন, তারপর শক্ত মাটির 'পর শুয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। দামী খাবার-বিছানাতেও তাঁদের সেই মুচকি হাসি বদলায় না। কারণ তাঁরা উপহারকে ছাপিয়ে উপহারদাতাকে দেখতে শিখেছেন। খোদাপ্রেমিকেরা যে "প্রতি নিঃশ্বাসে নবজীবন লাভের" কথা বলেন, এটাই হলো সেই রহস্য; কেননা প্রতিটা নিঃশ্বাসও আল্লাহপাকেরই উপহার।
পোড়া ম্যাচের কাঠি দিয়ে মানুষে-মানুষে ভালোবাসা আদান-প্রদান করতে শিখেছি আমরা, একদিন পোড়া ভাত আর মাটির বিছানা দিয়েও তা করতে শিখব। হয়ত!
…………………………………………………………………………
"তোমার প্রতি ভালোবাসার রসায়ন থেকে (হে খোদা!)
আমার ধূলিময় চেহারা হয়েছে ঝলমলে স্বর্ণ।
হ্যাঁ, তোমার দয়ার আশীর্বাদে ধূলিও হয়ে যায় স্বর্ণ।"
-- মহাকবি হাফিজ।
এইযে রাসয়ন, যা সবাই খুঁজে বেড়াচ্ছে -- এই ভালোবাসাই হলো সেই জিনিস। বাকিগুলো হলো উচ্ছিষ্ট।
এখন চিন্তা করে দেখো, কেনো লোকে বলে:
"ধুয়ে মুছে ফেলো তোমার যত বই,
যদি আমরা যা পড়ি, তুমিও তা-ই পড়ো।
কারণ ভালোবাসার জ্ঞান কোনো কিতাবে নেই।"
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
[ব্লগে কমেন্ট পোস্ট করার পরও যদি না দেখায়, তাহলে দ্বিতীয়বার পোস্ট করার প্রয়োজন নেই। খুব সম্ভবত স্প্যাম গার্ড সেটাকে সরিয়ে নিয়েছে, আমি পাবলিশ করে দেবো।]