সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পৃথিবীর দীর্ঘতম দিনে...

আজ যে দীর্ঘতম দিন ছিলো, তা আমার স্মরণে ছিলো না। খেয়াল হলো যখন প্রকৃতি বললো, "আজকে বড় দিন, আজকে বেশিক্ষণ খেলবো।"
 মুহিত, মাহদী, প্রকৃতি, সপ্তমী -- এরা হলো আমার ক্ষুদে বন্ধু। যদিও বন্ধুত্বটা ওদের পক্ষ থেকে কনফার্ম করা হয়নি এখনো ! বিকেল হলে ওরা নিয়ম করে ছাদে খেলতে আসে, আর আমার গাছগুলোর যত্ন নেয়া শেষে সন্ধ্যা পর্যন্ত আমি ওদের খেলা উপভোগ করি; কখনোবা ঝগড়া মিটমাট করে দিই, কিংবা খেলার নিয়ম ঠিক হলো কিনা, কেউ চুরি করলো কিনা, ইত্যাদি বিচার করি।

আজ বিকেলে ছাদে উঠলাম, হাতে এক মগ পানি -- গাছে দিতে হবে। উঠে দেখি পুরো ছাদ পানিতে মোটামুটি ডুবে আছে। পানির ট্যাংক ভরে উপচে পড়ে এই অবস্থা। এদিকে একটা নষ্ট টিউব লাইট দিয়ে ড্রেইন পাইপের ছাঁকনি পরিষ্কার করার চেষ্টা করছে মাহদী, যেনো পানি সরে যায়। ছাদে আরেকটা ড্রেইন পাইপ আছে, কিন্তু সেটার মুখও গাছের পাতা জমে বন্ধ হয়ে আছে। একটা ভাঙা টবের টুকরা দিয়ে জায়গাটা পরিষ্কার করে দিলাম, আর হুহু করে পানি নেমে যেতে লাগলো। কী যেনো কথা বলতে বলতে মুখ তুলে তাকিয়েছি, ততক্ষণে মাহদী হাওয়া ! নিজেকে কেমন একটু বোকা বোকা লাগলো ! মানে বাচ্চাদের উপযোগী করে কথা বলতে বলতে মুখ তুলে তাকিয়ে দেখি -- আমার কথা শোনার লোক আছি কেবল আমিই !

বাসায় এসে হান্টিংটনের ক্ল্যাশ অব সিভিলাইজেশন পড়া রিজিউম করলাম। খানিক পরে মুহিতের কণ্ঠ পেয়ে বুঝলাম, তারা ছাদে এসেছে খেলতে। অবশ্য অন্যান্য দিনে সবারই কণ্ঠ পাওয়া যায় : বিকেল হলেই হই-হুল্লোড় করতে করতে তারা ছাদে ওঠে, আর সন্ধ্যা হলে ঝগড়া করতে করতে নামে। তারপর লিফটের সামনে দাঁড়িয়েও চলে অভিযোগ আর ঝগড়া। "মাইমুনা তুমি ওরম করো কেনো ? প্রকৃতি কি ওর বড় বোনের সাথে এভাবে কথা বলে ?" খেলার দলের অনিয়মিত সাথী মীম তার ছোট বোনকে বলে।

যাহোক, হান্টিংটন পড়ছিলাম, মুহিতের কণ্ঠ পেয়ে ছাদে গিয়েই বললাম -- চমৎকার ! আসলেই চমৎকার মেঘ ছিলো আজকে।

ছবি : চমৎকার মেঘ ছিলো আজকে...
শীতকালে আকাশে কোনো মেঘই থাকে না। পুরো ফ্ল্যাট একটা আকাশ। অথচ এখন ! কোনো একদিনের মেঘের সাথে আরেকদিনের মেঘের মিল নেই। প্রতিদিনই নিত্যনতুন আকৃতি। আমি অবশ্য অন্যদের মত মেঘের ভিতরে বাঘ-ভাল্লুক কিংবা রবীন্দ্রনাথ খুঁজি না, তবে তাকিয়ে থাকতে বেশ লাগে।

প্রকৃতি (বয়স ছয়, ক্লাস টু-তে পড়ে) এক টুকরা ভাঙা টাইলস দিয়ে পানি সরিয়ে ড্রেইন পাইপের ছাঁকনির মুখে ফেলছিলো। আর মুহিত (বয়স ছয়, ক্লাস ওয়ানে পড়ে) একটা ডাবের খোসায় করে পানি সেঁচার চেষ্টা করছিলো। হাসি পেয়ে গেলো। মাহদী আর সপ্তমী একটু বড়, যথাক্রমে ক্লাস থ্রি আর ফোরে পড়ে। সপ্তমী উদাস হয়ে বসে ছিলো ছোটো সিঁড়িটায়, আর মাহদী দাঁড়িয়ে বাকিদের কাণ্ড দেখছিলো। বেকুব কেয়ারটেকারের কারণে ওদের খেলার মাঠ(!) ভিজে গিয়েছে। এর মধ্যে তো আর ফুলটোকা কিংবা মাংসচোর খেলা চলে না। সূর্য তো হেলে পড়েছে, তাই রোদের তাপে শুকোবে, সেই আশাও নেই। আমি আসার আগ দিয়ে মনে হয় তারা এসব নিয়েই কথা বলছিলো, আমি আসার পর শুনলাম আশাবাদী প্রকৃতি বলছে, "আজকে বড় দিন, আজকে বেশিক্ষণ খেলবো।"
"বড় দিন মানে ?" জিজ্ঞাসা করলাম আমি।
"আজকে ২২শে জুন, আজকে সবচে' বড় দিন।" বললো সপ্তমী।
বললাম, "বাহ, তোমরা তো অনেক জানো ! আমার তো মনেই ছিলো না !"
"আমাদের ম্যাডাম বলসে আজকে সবচে' বড় দিন।" (প্রকৃতির আবার বুদ্ধি আছে বেশ।)
মুহিত : "আমার আজকে পরীক্ষা ছিলো।"
প্রকৃতি : "আমারো ছিলো। কিন্তু আমি এখন খেলতে আসছি।"

ওরা কথা বলতে লাগলো, আমি রেলিং দেয়া অংশটুকুতে দাঁড়িয়ে গেলাম মেঘ দেখতে। এত চমৎকার আলো, এত ঝকঝকে আকাশ আর আকাশ-ভরা মেঘ আজকে, ছবি না তুললেই নয়। মুহিতকে পাঠালাম ক্যামেরা আনতে। ও, আরেকটা কথা। মুহিত হলো আমার ছোটো মামার ছেলে।

ক্যামেরার মোড সেট করে মেঘের ছবি তুললাম। Twirling clouds কথাটা হঠাৎই মাথায় এলো। একবছর আগে ঠিক এই জায়গা থেকেই মোটামুটি এই একইরকম মেঘের ছবি তুলেছিলাম, আর নাম দিয়েছিলাম twirling clouds। বছর বছর এই মেঘটা ফিরে আসবে। কোনোদিন twirling clouds ক্যাপশনে, কোনোদিন বা "চমৎকার মেঘ ছিলো আজকে..." এই ক্যাপশনে অনলাইনে পোস্ট করা হবে। যেটা বছর বছর ফিরে আসবে না, তা হলো এই বাচ্চাগুলো। তাদের খেলা, তাদের ঝগড়া আর তাদেরকে দেখে আমার অনুভব করা মুগ্ধতা। আমি ওদের ছবি তুললাম।

ভেবেছিলাম ওদের অগোচরে ছবি তুলবো, কিন্তু মুহিত দেখে ফেললো।
ওহ, আরেকটা কথা। ছাদে এসে ওদের পানি সেঁচা দেখতে দেখতে খেয়াল করলাম একটা ডায়রি রাখা (উপরের ছবিতে যেখানে সপ্তমী বসে আছে, সেখানে)। প্রকৃতির কাছ থেকে জেনে সপ্তমীর অনুমতি নিয়ে ডায়রিটা উল্টে দেখলাম। পুরো ডায়রি জুড়ে স্নো হোয়াইট, সিনডারেলা, এদের স্টিকার লাগানো। বিভিন্ন কার্টুনের স্টিকার। ডায়রির শুরুতে ইংরেজিতে লেখা আছে সপ্তমী খান, ক্লাস ফোর। সেইসাথে বাবা-মা এর নাম। আর কিছুটা ভুল বানানে লেখা : কার্টুন ডায়রি। যাহোক, ওদের প্রথম ছবিটা তোলার পর আর গোপনে ছবি তোলার সুযোগ ছিলো না। ক্যামেরায় রয়ে যাওয়া কিছু ছবি ওদেরকে দেখালাম তখন। আমাদের বারান্দার ছবি, সেখানে আমার বড় নিম গাছটার ছবি; তারপর কামিনী, বেলি, সন্ধ্যামালতি ফুলের গাছ। ডায়রি দিয়ে সূর্যের আলো থেকে ক্যামেরার স্ক্রিনে শেড দিয়ে ওরা দেখতে লাগলো। সবরকম ছবি দেখানো শেষ হলো। তখন ছাদ শুকোয়নি। আর আমারও ইচ্ছা ছিলো না আজ ওরা গতানুগতিকভাবে খেলুক ! সামনের চার্চটা দেখিয়ে গল্প শুরু করলাম।
"হুম, আমাদের স্কুলের ওখানে খ্রিষ্টানদের সুন্দর একটা বাড়ি আছে।" এইসব গল্প। এরপর ওদের ছবি তুলতে চাইলাম। আহা, বাচ্চারা কী সরলভাবেই না ক্যামেরার সামনে এসে দাঁড়াতে পারে ! আশা করি বয়স ২০-২২ হলে ওদের অবস্থা আমার মত হবে না -- ক্যামেরা সামনে এলেই চোখমুখ বাঁকতে শুরু করে ! হাহাহা...

আমি চেয়েছিলাম ছবিটা এমন হবে : সবাই রেলিং ধরে দাঁড়িয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে, কেউবা আঙুল দিয়ে কোনো একটা ঘুড়ি দেখাচ্ছে। Silhouette একটা একটা ছবি হবে। কিন্তু বাচ্চাদের তা পছ্ন্দ ছিলো না। আসলে আমারও বোঝা উচিত ছিলো। চেহারা দেখা না গেলে আর ছবি কিসের !

ছবি তোলার কথা বলতেই রেলিং ধরে দাঁড়িয়ে গেলো সবাই। নতুনজন হলো মেহেদী, আমার খালাতো ভাই।
খ্রিষ্টান মিশনারিদের বিল্ডিং দেখিয়ে দু-চারটা গল্প করে ক্যামেরা থেকে ডিসট্র্যাক্ট করার চেষ্টা করলাম। ক্যাজুয়াল ছবি তুলতে হবে না ! শেষমেষ অবশ্য তেমনটা আর হয়নি, কেবল এই ছবিটায় ওরা ক্যামেরা ভুলে মিশনারি বিল্ডিঙের টাকলা দারোয়ানকে নিয়ে তামাশা করছিলো।

"এই আমারে দেখসে !" "টাক্কু !" "হাহাহা..." "মনে হয় ঘুমাচ্ছে।"...
এরপর ওদের বেশ কয়েকটা ছবি তুললাম। আরো অনেক ২২শে জুন আসবে, আরো অনেক twirling cloud এর ছবি তোলা হবে, কিন্তু এই সময়টা আর আসবে না।


ছবি : (বাঁ থেকে) মাহদী, মুহিত, মেহেদি, প্রকৃতি, সপ্তমী।
মেহেদী ক্যামেরার ফ্রেমে আসছে না, একথা বলায় প্রকৃতি তাকে উঁচু করে ধরছে !

আমরা বন্ধু !

মেহেদি, প্রকৃতি, সপ্তমী, অপূর্ব (পরে রাতে মুহিত বলছে, অপূর্ব হলো হিন্দু। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ইনফরমেশান !)

আনমনে...

বড় বোন !

আমার ছোট্ট বন্ধুরা।

এরপর পৃথিবীর দীর্ঘতম দিনটি শেষ হয়ে এলো।

... এরপর পৃথিবীর দীর্ঘতম দিনটি শেষ হয়ে এলো।



নূরে আলম।
২২ জুন, ২০১৩।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

শিয়া-সুন্নি বিরোধ সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রশ্ন এবং উভয় পক্ষের জবাব

শিয়া-সুন্নি বিভেদ ও দ্বন্দ বহু পুরনো বিষয়। এই দ্বন্দ নিরসনে ইতিহাসে বহু দ্বীনি ব্যক্তিত্ব বৃহত্তর মুসলিম ঐক্য প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করেছেন। বিপ্লবের পরপর ডা. জাকির নায়েকের ওস্তাদ আহমদ দীদাত ইরানের যান এবং সেখান থেকে ফিরে এসে শিয়া-সুন্নি ঐক্য ডায়লগে তাঁর অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন, যা আমি এক সপ্তাহ আগে অনুবাদ করে প্রকাশ করেছিলাম । যা-ই হোক, এই দ্বন্দ নিশ্চিতভাবেই মুসলমানদের জন্য একটি নেতিবাচক ও দুর্বলতার দিক। এমনকি তা অনেককে চরমপন্থার দিকেও নিয়ে গিয়েছে। আগে যেই শিয়া-সুন্নি দ্বন্দ আলেমসমাজ ও কতিপয় জানাশোনা ব্যক্তির মাঝে সীমাবদ্ধ ছিলো, বর্তমান সহজ তথ্যপ্রযুক্তির যুগে তা প্রায় সকল লেভেলে ছড়িয়ে পড়েছে। দেখা যাচ্ছে যে, একদল আরেক দলকে এমন অনেক অভিযোগ করছে, যেগুলো হয়তো শিয়া-সুন্নি উভয় আলেমই অগ্রহণযোগ্য বলে বাতিল করে দেবেন। তবে তথ্যের অবাধ প্রবাহের একটি সুবিধা হলো, এতে মিথ্যার প্রচার যেমন অতি সহজ, তেমনি একইভাবে মানুষের দ্বারে সত্যকে পৌঁছে দেওয়াও খুব সহজ। আমি ব্যক্তিগতভাবে শিয়া ও সুন্নি উভয়কেই মুসলিম ভাই বলে গণ্য করি। কিন্তু তাদের বৃহত্তর ঐক্যে পৌঁছানোর ব্যর্থতা, পরস্পর শত্রুতা ও প্রেজ

ইমাম খোমেনীর জীবন : এক ইসলামী বিপ্লবের ইতিহাস

রুহুল্লাহর গল্প ইমাম আয়াতুল্লাহ রুহুল্লাহ আল মুসাভী আল খোমেনী। বিশ্ব ইমাম খোমেনীকে প্রথমবারের মত চিনেছে ১৯৭৮ সালের শেষাশেষি , যখন ইরানের রাজতন্ত্রের বিরোধিতা করার কারণে তিনি ফ্রান্সে নির্বাসিত ছিলেন। প্যারিসের অদূরে বসে ইরানের শাহ মুহাম্মদ রেজা পাহলভীর বিরুদ্ধে ইমাম খোমেনীর ঘোষিত যুদ্ধ এবং আমেরিকা বিরোধী কঠোর বক্তব্য এক অভূতপূর্ব মিডিয়া কাভারেজ এনে দিলো , এবং ইমামকে বিংশ শতকের অন্যতম বিপ্লবী চরিত্র হিসেবে পরিচিত করলো। পত্র - পত্রিকা আর নিউজ বুলেটিনে তাঁর ছবি ভরে উঠলো। এই ছবি বিশ্বের অসংখ্য মানুষের কাছে , বিশেষতঃ পশ্চিমা বিশ্বের কাছে নিতান্তই অপরিচিত ছিলো। সাদা দাড়ি এবং কালো পাগড়িধারী এই মানুষটিকে দেখে মনে হতো যেনো ইতিহাসের পাতা থেকে সময় অতিক্রম করে বর্তমানে চলে এসেছেন। তাঁর সমস্তকিছুই ছিলো নতুন আর অপরিচিত। এমনকি তাঁর নামটিও : রুহুল্লাহ। আর দুনিয়ার অসংখ্য পলিটিশিয়ান ও সাংবাদিকদের মনে যে প্রশ্নটি নাড়া দিয়ে যাচ্ছিলো , তা ছিলো : কী ধরণের বিপ্লবী মানুষ এই খোমেনী ?

শিয়া-সুন্নি ঐক্য ডায়লগ এবং আহমেদ দিদাতের ইরান অভিজ্ঞতা

(লেখাটি পিডিএফ আকারে ডাউনলোড করতে এখানে ক্লিক করুন। ) আহমেদ দিদাত ( ১৯১৮ - ২০০৫ ) এর নাম হয়তো অনেকের অজানা থাকবে। তবে ডা . জাকির নায়েকের নাম নিশ্চয়ই অজানা নয়। ডা . জাকির নায়েকের বর্তমান কর্মকাণ্ডের অনুপ্রেরণা হলেন আহমেদ দিদাত। আহমেদ দিদাত , যিনি কিনা ডা . জাকির নায়েকের নাম দিয়েছিলেন " দিদাত প্লাস " – পৃথিবীজুড়ে ঘুরে বেড়ানো এবং তুলনামূলক ধর্মতত্ত্ব নিয়ে লেকচার দেয়া ছিলো তাঁর কাজ। যাহোক , ১৯৭৯ সালে ইমাম খোমেইনীর নেতৃত্বে ইসলামী বিপ্লবের মাধ্যমে ইরানে ২৫০০ বছরের রাজতন্ত্রের অবসান ঘটে এবং ইসলামী ইরানের জন্ম হয়। বিপ্লব - পরবর্তী ইরানে ভিজিট করেন আহমেদ দিদাত , সাক্ষাৎ করেন ইমাম খোমেইনীর সাথে এবং নিজদেশে ফিরে এসে ১৯৮২ সালের মার্চ মাসে তাঁর অনুভূতি তুলে ধরেন। আহমেদ দিদাতের নানা বিষয়ে বক্তব্য ও চিন্তাভাবনা বাংলা ভাষায় কিছু না কিছু পাওয়া যায়। কিন্তু শিয়া - সুন্নি ঐক্যের এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে তাঁর চমৎকার বক্তব্যের অনুবাদ কোথাও না পেয়ে সবার সাথে শেয়ার করার উদ্দেশ্যেই অনুবাদ করে ফেললাম। আরেকটি বিষয় উল্লেখ করা প্রয়োজন। মূল অডিও কোথাও কোথাও শুনতে বা বুঝতে অসুবিধা