সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

ডিসেম্বর, ২০১২ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

জাফর ইকবাল : একজন স্বাধীন লেখক

আজকের প্রথম আলোতে জাফর ইকবাল সাহেবের একটি সাদাসিধে কথা প্রকাশিত হয়েছে : “ বিশ্বজিতের লাল শার্ট”। আবেগী কথাবার্তা আর " স্যার - স্যার” সম্বোধনের আড়ম্বর বাদ দিয়ে মুল কথাটা বলে যাই। গত ৭ ডিসেম্বর ও আজকে , ২০ ডিসেম্বরে প্রকাশিত হয়েছে জাফর ইকবালের দুটি লেখা। শিরোনাম যথাক্রমে " তোমরা যারা শিবির করো” এবং “বিশ্বজিতের লাল শার্ট”। তার আজকের লেখার শিরোনামটা চমৎকার , তবে তার লেখনীতে আমরা এমন শিরোনাম দেখি না : " মুজাহিদের সাদা টুপি " ( ১৭ বছর বয়সী শিবির কর্মী , যাকে পুলিশ গুলি করে হত্যা করেছে ) " নাম - না - জানা ছেলের নীল শার্ট " ( ৪ ডিসেম্বরে মিরপুরের কালশীতে রাস্তায় ফেলে যেই শিবিরকর্মীকে লীগের ছেলেরা পিটিয়ে মৃত ভেবে ফেলে রেখে চলে গিয়েছিলো ) “ নাম - না - জানা বৃদ্ধের স্বজনদের কান্না” ( বিশ্বজিত হত্যার একই দিনে , ৯ ডিসেম্বরে যেই বৃদ্ধ জামাত কর্মীকে হত্যা করা হয়েছিলো ) “ ২৮শে অক্টোবরের দুঃসহ স্মৃতি ” ( ২৮শে অক্টোবর , ২০০৬ এ লীগের ছেলেরা লগি - বৈঠা দিয়ে পিটিয়ে ৫ জন শিবির কর্মীকে হত্যা করে প্রকাশ্যে তাদের লাশের উপর নেচেছিলো ) কিংবা আরো অনে...

মেসেজ

কিছু বিষয় পরিষ্কার করা দরকার। এই বাংলাদেশে মানুষকে অনেক ভাবে ভাগ করা যায়। আওয়ামী লীগ সমর্থনের ভিত্তিতে, বিএনপি সমর্থনের ভিত্তিকে, জামায়াতে ইসলামীকে সমর্থনের ভিত্তিকে এবং আরো অনেক কিছুর ভিত্তিতে। কিন্তু এই বিবেচনার বাইরে আমি এদেশের মানুষকে ভাগ করেছি ২৮শে অক্টোবর, ২০০৬ এর ঘটনার ভিত্তিতে। ঐদিনের ঘটনাকে যারা সমর্থন করেছে, তাদেরকে অসভ্য বর্বর জানোয়ার হিসেবে বিবেচনা করেছি। সেদিন প্রকাশ্য দিবালোকে শিবিরের কয়েকজন ছেলেকে রাস্তার উপর ফেলে লগি-বৈঠা দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে লাশের উপর নেচেছে আওয়ামী লীগ। এক সাংবাদিক ভাইয়ের আনা সেই ভিডিও দেখে শিউরে উঠেছিলাম সেই সময়ে। সেই ঘটনা হয়তো এখন পুরনো হয়ে গিয়েছে। হয়তো সেসময়ে অনেকের বয়স কম ছিলো, অনেকে ঘটনাটি দেখেনি কিংবা অনেকের বিবেক-বিচারবুদ্ধি সম্পূর্ণ গড়ে ওঠেনি। তাই আজকে আবার চিন্তা করতে বসেছি। গতকাল, ৪ঠা ডিসেম্বর, ২০১২ তারিখে যা ঘটে গেলো এই বাংলাদেশে, তার ভিত্তিতে আবার মানুষকে আলাদা করতে বসেছি। শিবিরের মিছিলে কয়েকজন ছেলের উপর সেই ২৮শে অক্টোবরের নারকীয় তাণ্ডব চালালো আওয়ামী লীগ। রাস্তায় ফেলে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে, মাথায়-মুখে লাথি দিয়ে, ...

ঘেটুপুত্র কমলা : হুমায়ুন আহমেদের শেষ কর্ম

হাওরে পানি এলে তিন মাস জমিদারের কোনো কাজ থাকে না। এই কর্মহীন সময়ে আমোদ ফূর্তি করার জন্য জমিদার সাহেব ঘেটুগানের দল ভাড়া করে আনে। ঘেটুগানের দলে কমবয়েসী সুন্দর ছেলে থাকে। এই ছেলে মেয়ে সেজে নাচ - গান করে এবং জমিদারের ইচ্ছানুযায়ী তার সাথে সমকামিতায় লিপ্ত হয়। এজাতীয় ছেলেদেরকে ঘেটুপুত্র বলা হতো। মুভির ঘেটুপুত্রের নাম কমলা। টাকার অভাবে সে এই কাজে আসে। ঘেটু দলে তার বাবাও থাকে , সে হলো দলের অধিকারী। বেশ ক ' দিন জমিদারকে আনন্দ দেবার পর একদিন জমিদারে স্ত্রীর হিংসার শিকার হয়ে কমলার অপমৃত্যু ঘটে : কাজের মহিলা টাকার বিনিময়ে কমলাকে ছাদ থেকে ফেলে দিয়ে হত্যা করে। হুমায়ন আহমেদের শেষ কর্ম হলো এই " ঘেটুপুত্র কমলা” নামক মুভি। মুভির মূল বিষয় সমকামিতা (homosexuality) । ইতোমধ্যেই এটা বেশ আলোচিত - সমালোচিত হয়েছে। ঈদের দিনে প্রচারিত হয়েছিলো টিভিতে , সেই ভার্সন দেখলাম গতকাল। হুমায়ুন আহমেদের কথা - কর্ম নিয়ে কখনো সেভাবে লেখার প্রয়োজন বোধ করি নাই , কিন্তু মুভিটা দেখা হয়ে যাওয়ায় লেখার প্রয়োজন বোধ করছি। কেউ হয়তো দেখেছেন , কেউ হয়তো দেখেন নি , কেউ হয়তো শুধু পত্র - পত্রিকা ক...