সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

আগস্ট, ২০১২ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

UNTITLED - 9

এক ফ্রেন্ডের স্বপ্নের কথা বলি। স্বপ্নটা এমন -- মনে হয় আমি বাড়ির বারান্দায় বসে থাকবো। হাতে কোনো বই থাকবে। বিকেল বেলা। "ও" বারান্দায় এসে বসবে। বলবে, কী করছো। বলবো, এইতো, কিছু না। তারপর ও বলবে, দাঁড়াও, তোমার জন্য চা বানিয়ে আনি। চা আমার খুব পছন্দ। তারপর ও আমার জন্য চা বানিয়ে আনবে। তারপর... বাকিটুকু বলবো না।  বন্ধুটি যখন তার কল্পনার সংসারের গল্প বলতে থাকে, তখন -- না, আমি নিজের সংসার কল্পনা করি না।  তবে আমি তার কল্পনার প্লট তৈরী করে ফেলি মনে মনে ! উপরের কথাগুলো এক ফ্রেন্ডের, কিন্তু সেগুলো শুনবার সময়ে আমি কল্পনা করলাম গুলশান-২ এর ১০৩ নাম্বার রোডের এক বাড়ির D শেপের খোলা বারান্দাটা। সেখানে একটা দোলনা রাখা -- দু'জন বসা যায়, এমন। ছিমছাম, রডের তৈরী মিনিমালিস্টিক ডিজাইনের দোলনা। সেখানে বসে বন্ধুটি কোনো একটা বাংলা উপন্যাস পড়ছে। পাতলা একটা বই। বিকেল বেলা। যদিও সামনেই ব্যস্ত রোড, কিন্তু আজ সেখানে শব্দ নেই। মৃদুমন্দ বাতাস, যেটাতে গরম লাগে না। তারপর তার "ও" (ওয়াইফ) বারান্দায় এলো। এসে পেছন থেকে "কী করছো" বলে... । তারপর বন্ধুটা একটু হেসে বলবে, এইতো, কিছু ন...

আমি বাড়ি যাচ্ছি...

দুপুর আড়াইটা। পরীক্ষা শেষে ইউনিভার্সিটি থেকে বের হলাম সবাইকে বিদায় জানিয়ে। পরিচিত এক আঙ্কেলের কাছে গেলাম। আঙ্কেল বলেছিলো যে আমি যেদিন বাড়ি যাবো, তার আগে তার কাছে যেতে। সে আমাকে একটা বেল্ট গিফট করলো। বিকাল চারটা। বাসায় আসলাম। বাসা ভাড়ার আমার অংশটুকু অপুকে দিলাম, যেনো দশ তারিখ ও ভাড়া দেওয়ার সময় আমারটাও দিয়ে দেয়। তারপর আমার ব্যাগ গুছালাম। বোনের জন্য কিছু জিনিস কিনেছি ঈদ উপলক্ষে। আমার বার্থডে তে ফ্রেন্ড চকোলেট গিফট করেছিলো, ওখান থেকে আমি অনেকগুলো চকোলেট রেখে দিয়েছিলাম আমার বোনের আর মা-র জন্য -- ওগুলো নিলাম। আমার রুমমেট তার অফিস থেকে অরেঞ্জ ফ্লেভারড টি এনেছিলো আমার জন্য, কারণ আমি চা খুব পছন্দ করি। সেখান থেকে কয়েকটা টি ব্যাগ আমার বোনের জন্য নিলাম। অপু ন্যুডলস রান্না করেছিলো, সেটা বক্সে ভরে ব্যাগে নিলাম। মোবাইল আর ল্যাপটপ চার্জে দিয়ে রেখেছিলাম, সেগুলো ব্যাগে ভরলাম। ছয়টা বেজে গেলো। ব্যাগ গুছানোর সময় আম্মু একবার ফোন দিয়েছিলো। জানতে চায় আসবো কবে। আমি বলেছি বাড়ি নাও আসতে পারি। আজই আসবো, তবে নানু বাড়ি। তারপর আমার বোনকে ফোন দিলাম। ওর সাথে টুকটাক কথা হলো। আমি এখন বাসে, ...