১. “ওয়া আলা আলে মুহাম্মাদ” -- নানাজীর মুখ থেকে এই কথাটাই আমি সর্বশেষ শুনেছি। দরুদের শুরুর অংশটা পড়ছিলাম আমি, আর শেষ অংশটা নানাজী। ঠাণ্ডা লেগে বুকে কফ বসে গিয়েছিল; কারো সাথে কোনো কথা বলছিলেন না, শুধু মাথা নেড়ে আর ইশারায় কথা। কিন্তু আমি যখন বললাম, নানাজী, আমার সাথে সাথে দরুদ পড়েন, দরুদ পড়লে চোখের জ্যোতি বাড়ে -- তারপর আমরা অর্ধেক-অর্ধেক করে দরুদ পড়লাম। ওটাই ছিল নানাজীর সাথে আমার শেষ কথা। কতই না সুন্দর সে কথা! “আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মাদ” - “ওয়া আলা আলে মুহাম্মাদ।” মুহাম্মদের (সা.) উপর দরুদই হলো সেই একটিমাত্র কাজ, যা আল্লাহ নিজে করেন, তাঁর ফেরেশতাকুল করেন এবং পাশাপাশি মুমিনগণকে সেই কাজে শামিল হতে আদেশ করেন। দরুদের অনেক মর্তবা। নানাজী এসব জানেন। তারপর আমার তসবিটা নানাজীর হাতে দিয়ে দিলাম। চলে আসার আগদিয়ে দেখলাম নির্জীব হয়ে শুয়ে আছেন, কিন্তু তসবি পড়ছেন। সেদিন ঢাকা মেডিকেলে নানাজী ভর্তি হবার দ্বিতীয় দিন; ছোট খালা আর আমার স্ত্রীকে সাথে নিয়ে দেখতে গিয়েছিলাম। প্রথমদিনও গিয়েছিলাম, আম্মুকে নিয়ে। তখন দেখেছি সাততলায় ৩ নং লিফটের সামনে মেঝেতে নানাজীকে রেখেছে। চারিদিকে পুলিশ, কাছে যাওয়া যা...
At the end of my life, with just one breath left, if you come, I'll sit up and sing.