এখন ভোর। আকাশের মেঘ দ্রুত সরে সরে যাচ্ছে। সদা জাগ্রত সশব্দ শহরে এটুকুই নীরবতা। এই একই ভোর, আর আকাশের সেই মৃদু আলোতে মেঘেদের দ্রুত পলায়ন – এই ঘটনা জীবনে হাজারবার ঘটেছে। কখনো সেটা হয়েছে প্রচণ্ড শীতে পুকুর পাড়ে মাছ ধরা দেখতে দেখতে, কখনো মাটির চুলায় পিঠার হাঁড়ির পাশে, কখনোবা বড়দের সাথে হাত ধরে হাঁটতে বের হয়ে, আর কখনো শিশিরভেজা শিউলি ফুল কুড়াতে গিয়ে। অথবা কাগজ-কলম হাতে অঝোর ধারার বৃষ্টি দেখে দেখে। আর অসংখ্যবার এমন ভোর পার হয়েছে নির্বোধের মতন ঘুমিয়ে। অথচ প্রতিটা ভোরেরই আলাদা রহস্য আছে : বেহেশতের রঙ বয়ে আনে তারা। কিন্তু সোনা-রূপায় বন্দী মানুষ তড়িঘড়ি করে রাত্রির অন্ধকার খোঁজে। হতাশ ফেরেশতারা রঙের ডালি নিয়ে ফিরে যায়। "আয় খোদা ! এরা যে নিজেদের দুনিয়ার রঙে রাঙিয়েছে।" সাত আসমানের ওপারে খোদা আবারো মৃদু হাসেন। পরদিন ভোর হলে ফেরেশতারা আবারো আলহামদুলিল্লাহি রব্বিল আলামিন বলতে বলতে দুনিয়ায় আসে। রঙের খরিদ্দার খোঁজে।
At the end of my life, with just one breath left, if you come, I'll sit up and sing.