সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

ডিসেম্বর, ২০১৩ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

শান্তিপূর্ণ আন্দোলন, জিহাদ, হারানো মুসলিম গৌরব এবং সেই আদিম বিরোধ

অহিংসা মুসলমানের পরম ধর্ম নয় ! আমরা মুসলমানেরা যোদ্ধার জাতি। এই দুনিয়ায় যদি কারো যুদ্ধ করা সাজে তো সেটা মুসলমানদের। কারণ আমরা যুদ্ধ করি আল্লাহর রাহে। আর খোদার রাহে যে যুদ্ধ , তার চেয়ে অধিক সঙ্গত যুদ্ধ আর কী হতে পারে ! অহিংসা তো আমাদের পরম ধর্ম নয় ! হ্যাঁ , এটা সত্য যে আমরা সদা সহিংস নই। আমরা অনেক সময় ইসলাম প্রচারের জন্য শত অত্যাচার নির্যাতন নীরবে সহ্য করে যাই। দশ কোটি অমুসলিমের মাঝে যখন আমি একা মুসলমান , তখন আমার হাতের অস্ত্র হবে শুধুই কুরআন। আর সেই কুরআনের বাণী প্রচারের জন্য যদি আমাকে মৃত্যুও বরণ করতে হয় , তবুও আমি সশস্ত্র সংগ্রাম করবো না। এ হলো আমাদের নবীর শিক্ষা , আল্লাহর আদেশ। আবার এ - ও সত্য যে আমরা চির - অহিংস নই। যখন আমাদের পর্যাপ্ত লোকবল রয়েছে , যখন দশ কোটির মাঝে আমরা নয় কোটিই মুসলমান ; তখনও আমরা মুখ বুঁজে নির্যাতন সয়ে যাবো , এ আমাদের নীতি নয়। তখন প্রতিষ্ঠিত ইসলামকে রক্ষা করার জন্য যুদ্ধ আমাদের উপর ফরজ। আল্লাহ তায়ালা আমাদের উপর যুদ্ধ ফরজ করেছেন , যদিওবা আমরা তা অপছন্দ করি ( কুরআন , ২ : ২১৬ ) । আবার কখনো কখনো যুদ্ধ নিষিদ্ধও করেছেন , যদিওবা সীমাহীন নির্যাতন আমাদেরকে অস্ত্র...

ইমাম খোমেনীর জীবন : এক ইসলামী বিপ্লবের ইতিহাস

রুহুল্লাহর গল্প ইমাম আয়াতুল্লাহ রুহুল্লাহ আল মুসাভী আল খোমেনী। বিশ্ব ইমাম খোমেনীকে প্রথমবারের মত চিনেছে ১৯৭৮ সালের শেষাশেষি , যখন ইরানের রাজতন্ত্রের বিরোধিতা করার কারণে তিনি ফ্রান্সে নির্বাসিত ছিলেন। প্যারিসের অদূরে বসে ইরানের শাহ মুহাম্মদ রেজা পাহলভীর বিরুদ্ধে ইমাম খোমেনীর ঘোষিত যুদ্ধ এবং আমেরিকা বিরোধী কঠোর বক্তব্য এক অভূতপূর্ব মিডিয়া কাভারেজ এনে দিলো , এবং ইমামকে বিংশ শতকের অন্যতম বিপ্লবী চরিত্র হিসেবে পরিচিত করলো। পত্র - পত্রিকা আর নিউজ বুলেটিনে তাঁর ছবি ভরে উঠলো। এই ছবি বিশ্বের অসংখ্য মানুষের কাছে , বিশেষতঃ পশ্চিমা বিশ্বের কাছে নিতান্তই অপরিচিত ছিলো। সাদা দাড়ি এবং কালো পাগড়িধারী এই মানুষটিকে দেখে মনে হতো যেনো ইতিহাসের পাতা থেকে সময় অতিক্রম করে বর্তমানে চলে এসেছেন। তাঁর সমস্তকিছুই ছিলো নতুন আর অপরিচিত। এমনকি তাঁর নামটিও : রুহুল্লাহ। আর দুনিয়ার অসংখ্য পলিটিশিয়ান ও সাংবাদিকদের মনে যে প্রশ্নটি নাড়া দিয়ে যাচ্ছিলো , তা ছিলো : কী ধরণের বিপ্লবী মানুষ এই খোমেনী ?

একটি বাংলাদেশ, অনেকগুলো লোলুপ দৃষ্টি, আর আমাদের সাময়িক বিজয়োল্লাস

বাংলাদেশের রাজনীতিকে ৫৬ হাজার বর্গমাইলের ক্ষুদ্র গণ্ডিতে সীমাবদ্ধ করে চিন্তা করাটা বোকামী। এটা খুবই দুঃখজনক যে , বাংলাদেশের মত ভূ - রাজনৈতিক গুরুত্বসম্পন্ন এলাকার অধিবাসীদের রাজনৈতিক চিন্তা হাসিনা - খালেদার ক্ষমতার পালাবদলের মধ্যে সীমাবদ্ধ হয়ে আছে। অথচ বিশ্ব ক্ষমতার ভারসাম্যের পরিবর্তনের সাথে সাথে এই ভূখণ্ডের ভূ - রাজনৈতিক গুরুত্ব দিনদিন বেড়েই চলেছে। এমতাবস্থায় বাংলাদেশের রাজনীতিক , রাজনৈতিক নেতা - কর্মী এবং সর্বোপরি সচেতন মানুষের পক্ষে আর হাসিনা - খালেদা ও বাংলাদেশ - ইন্ডিয়া - আমেরিকার সরল সমীকরণে থাকা চলবে না। বরং এই দেশ ও এর জনগণ আরো বড় সমীকরণের অংশ ; বিশ্ব ক্ষমতার ভারসাম্য পরিবর্তনের একটি নিয়ামক , যা কিনা কিছুদিন আগে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে চীন। বাণিজ্যিক বিষয় ছাড়া চীন সাধারণতঃ কোনো দেশের রাজনৈতিক বিষয়ে কথা বলে না। খুব সচেতনভাবেই তারা এটাকে এড়িয়ে চলে। দিল্লিকা লাড্ডু হলেও সারাবিশ্ব যেখানে গণতন্ত্রের এক দুর্বোধ্য স্ট্যান্ডার্ডের সাথে নিজেদের খাপ খাওয়ানোর চেষ্টা করছে , সেখানে গোটা বিশ্ব ব্যবস্থার বিপরীতে দাঁড়িয়ে স্যোশালিস্ট রাষ্ট্র পরিচালনা করে যাচ্ছে চীন।...

অগুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় বিষয়ে বিবাদ করা প্রসঙ্গে

“ হে মানবজাতি ! আমি তোমাদেরকে এক পুরুষ ও এক নারী থেকে সৃষ্টি করেছি এবং তোমাদেরকে বিভিন্ন জাতি ও গোত্রে বিভক্ত করেছি , যাতে তোমরা একে অপরকে চিনতে পারো। নিশ্চয় আল্লাহর কাছে সে - ই সর্বাধিক মর্যাদাসম্পন্ন যে সর্বাধিক পরহেযগার। নিশ্চয় আল্লাহ সর্বজ্ঞ , সবকিছুর খবর রাখেন।” ( সূরা আল হুজুরাত , ৪৯ : ১৩ ) “ তারা যখন অবাঞ্ছিত কথাবার্তা শ্রবণ করে , তখন তা থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয় এবং বলে , আমাদের জন্যে আমাদের কাজ এবং তোমাদের জন্যে তোমাদের কাজ। সালামুন আলাইকুম। আমরা অজ্ঞদের সাথে জড়িত হতে চাই না।” ( সূরা আল - কাসাস , ২৮ : ৫৫ ) “ আর অবশ্যই আমার প্রেরিত ফেরেশতারা ইব্রাহীমের কাছে সুসংবাদ নিয়ে এসেছিলো , তারা বললো – ' সালাম ', তিনিও বললেন – ' সালাম ' । ...” ( সূরা হুদ , ১১ : ৬৯ ) “ এবং তাদের ( ছেলেদের ) দিক থেকে তিনি ( ইয়াকুব ) মুখ ফিরিয়ে নিলেন এবং বললেন : হায় আফসোস ইউসুফের জন্যে ! এবং দুঃখে তাঁর চক্ষুদ্বয় সাদা হয়ে গেলো। এবং অসহনীয় মনস্তাপে তিনি ছিলেন ক্লিষ্ট।” ( সূরা ইউসুফ , ১২ : ৮৪ ) “ তিনি বললেন : আমি তো আমার দুঃখ ও অস্থিরতা আল্লাহর সমীপেই নিবেদন করছি এবং আল্লাহর পক্ষ থেকে আমি যা...