সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

নভেম্বর, ২০১৮ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

দেবশিশু

বাংলাদেশে এখন শীত। সেখানে আমার রুমের মেঝেতে কার্পেট পাতা আছে। জানালায় ভারী পর্দা আঁটা আছে, আর টেবিলের কাছে একটা ছোট্ট হিটার ঘুরে ঘুরে ঘর গরম করছে। দুই সিটের সোফার উপর কিছু শীতের পোষাক এলোমেলো রাখা আছে; পাশেই দুটো খেজুর পাতার পাটি আছে: একটা শোবার, একটা খাবার। আরেকটা ছিল, প্রার্থনার। এইখানে ঈশ্বর গল্প রচনা করেছে। চোখ বুঁজলে দেখা যায়। এস্তোনিয়ায় সারা বছরই শীত: কম আর বেশি। এখানেও ঈশ্বর আছে; গল্প আছে। কেজানে কে কোন ঈশ্বরের পূজো করে? ঈশ্বর ছিল এক কাঁচের আয়না। তারপর সে মাটিকে ভালোবাসল। মাটিতে পড়ে এক ঈশ্বর ভেঙে শত খোদা হলো। সেই কাঁচের টুকরা গিয়ে বিঁধল কারো চোখে, কারো বুকে, কারোবা আবার ঠোঁটে। মর্ত্যের মানুষ স্বর্গলাভ করল। -- আর আমি? - তুমিতো ঈশ্বর! -- সত্যি? - হুম। তারপর সে দেবশিশু বড় হয়। যে আগে নিজেই পূজো দিত, এখন সে-ই পূজনীয় হয়ে ওঠে। ঈশ্বরের কলম থামে না। দিন যায়, বছর ঘুরে বছর আসে। ঈশ্বরের কলম থামে না। ঈশ্বরের কলম থামে না। নূরে আলম নভেম্বর ২৯, ২০১৮ তালিন, এস্তোনিয়া